আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের দূর্নীতি গেলো কোথাই???????

আমি দিতে প্রস্তুত,আপনি কি গ্রহণ করতে সক্ষম।
ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০০৭ সালের পর থেকে বাংলাদেশের কোন্ কোন্ খাতে দুর্নীতি বেড়েছে এবং অবৈধ অর্থের লেনদেন বেড়েছে তা নিয়ে প্রকাশিত এক গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে দেখো যাচ্ছে যে বাংলাদেশে ২০০৭ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশী দুর্নীতি বেড়েছে বিচার বিভাগে এবং অবৈধ অর্থের লেনদেন সবচেয়ে বেশী হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে। প্রায় ৬০০০ পরিবারে এই জরিপ চালিয়ে যে তথ্য তারা পেয়েছে তা থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায় বাংলাদেশে ২০০৭ সালের পর থেকে দুর্নীতি সবচেয়ে বেশী বেড়েছে বিচার বিভাগে, অন্যদিকে অবৈধ অর্থের লেনেদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশী আইনর্শঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে। গবেষণাটির রিপোর্ট নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ড: ইফতেখারুজ্জমান বলছিলেন, তারা অবৈধ অর্থের লেনদেন বা ঘুষ লেনেদেনের বিষয়টিকে আলাদাভাবে দেখার চেষ্টা করেছেন।

তবে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পর্কে এভাবে বলার অবকাশ আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জুডিশিয়াল সার্ভিসেস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো: জাহাংগীর হোসেন। তিনি বলেন, এই গবেষণাতে বিচার বিভাগ বলতে কি বোঝানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয় -- বিচার বিভাগে যেমন বিচারকরাও কাজ করেন তেমনি এখানে বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্মচারীরাও কাজ করেন। দুনীর্তিগ্রস্ত শীর্ষ চারটি খাতের মধ্যে ভুমি ব্যবস্থাপনা একটি; এ বিষয়ে কথা বললে ভুমি মন্ত্রনালয়ের সচিব মো:মোখোলেসুর রহমানও গবেষণার স্পষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৻ তবে তিনি একথাও বলেন এই খাতে যে দুর্নীতি একদম নেই তা বলা যাবে না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই শীর্ষ তালিকায় থাকার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদশর্ক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, তিনি এখনো এই গবেষণা রিপোর্টটি সম্পর্কে জানেননা৻ তাই কোন মন্তব্য করতে চাননি৻আমার প্রশ্ন হলো তিনি পুলিশের মহাপরিদশর্ক হয়ে টিআইবির রিপর্ট নাজেনে থাকেন। তবে এর আগে টিআইবি প্রকাশিত এক রিপোর্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিহ্নিত করা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে এই গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।

সর্বপরি,, ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা যে পদ্ধতিতে গবেষণাটি পরিচালনা করেছে সেটিকে প্রায় নিভুর্ল বলে ধরে নেয়ো যেতে পারে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.