আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দয়াল বাবার কৃপায় তিনি এখন একজন বিশিষ্ট মর্দ হেকিম

তোমার অস্তিত্বে সন্দিহান, তবু্ও সদাই তোমায় খুঁজি

প্যারেড সর্দারের প্রথম খাস লাঠিয়াল বাহিনীর সর্বকনিষ্ঠ লাঠিয়াল ছিলেন। সর্দারের মৃত্যুর পর বেগম সাহেবার প্রথম উজিরসভার পয়গাম কালেকশানের উজিরের দায়িত্বও পাইছিলেন। তয় একবার এক ভুল পয়গাম সরবরাহ করায় বেগম সাহেবা রাগান্বিত হইয়া এমন এক গদাম লাত্থি দিলেন যে তিনি প্রাসাদ থাইকা সোজা রাজপথে গিয়া পড়লেন। পরে আবার ম্যানেজ কইরা বেগম সাহেবার দ্বিতীয় উজিরসভার যোগাযোগ উজিরের খাস দায়িত্ব পাইলেন। আম-পাব্লিকরে চুম্বক ট্রেন, সিন্দাবাদী ট্রেন, পাতাল ট্রেন, উড়ন্ত বোরাকের স্বপ্ন দেখাইলেন।

শেষতক সিন্দবাদের বোতলের জ্বীনের মতো সব হাওয়া কইরা সবকিছু নিজের পেটে ঢুকাইলেন। সেরা খানেওয়ালার খেতাব জিতলেন। মাঝখানে ওনার গুরুদেব অর্থাৎ ভূতপূর্ব প্যারেড সর্দারের শিষ্যেরা তখত দখল করিল। ঠিক কেন জানি তিনি এবার গুরুদেবের শিষ্যদের ম্যানেজ করতে পারলেন না। ওনার দোষ দিয়া কি লাভ, ওনার বেগম সাহেবাও তার সোয়ামীর শিষ্যদের বশে আনতে ব্যর্থ হলেন।

ফলস্বরূপ সোজা জিন্দানখানায়। শুনা যায়, ইষৎ রামধোলাইও নাকি খাইয়াছিলেন। জিন্দানখানা হইতে ছাড়া পাওনের পর কেন জানি আর বেগম সাহেবার সুনজর পাইলেন না। কেন পাইলেন না তাহা ওনি আর ওনার বেগম সাহেবা আর বড় শাহজাদাই সঠিক কইতে পারবেন। আম-পাব্লিকের এইসব অন্দরের খবর জানার কথা না।

ইলেকশানে হারলেন, দলের পদও হারাইলেন। স্বাভাবিক নিয়য়ে গোস্বা করলেন। গোস্বা ভাঙ্গনের লাইগা বেগম সাহেবা ছোট-খাট একটা পদ দিলেন। কিন্তু এতো অল্পতে তুষ্ট হওয়ার মতো মরদ ওনি না। দল বয়কট করা শুরু করলেন, দলও ওনারে নিয়া আর গরজ দেখাইল না।

পার্টিতে বেইল নাই। মানুষরে ফান্দে ফালানোর আইন ব্যবসাও আগের মতো জমজমাট না। বলা যায়, মেলা অবসর। তবে আজাইরা এবং আকামে বসে থাকার মানুষ ওনি না। এই অখন্ড অবসরে আধ্যাত্মিক সাধনার লাইগা বিবির পরামর্শে সোজা চইলা গেলেন এক বিখ্যাত দয়াল বাবার দরবারে।

ওনি সর্ব গুণ সম্পন্ন। এসব গুণের বদৌলতে দয়াল বাবারে পটাইতে বেশি সময় লাগল না। দয়াল বাবা তানার সেবা আর ভক্তিতে মুগ্ধ হইয়া তানারে এক বিশাল বর দিলেন। দয়াল বাবার এই বরে এহন ওনি পুরুষ মানুষের মুখ দেইখাই কইতে পারেন কার মর্দামি শক্তি কতটুকুন আর কে নপুংশক। শুধু তাইনা, দয়াল বাবার সরাসরি ডিরেকশনে ওনি এমন মর্দামি বর্ধক সালশা আবিস্কার করছেন যার বরকতে এই ব-দ্বীপের যৌবন হারানো সব পুরুষেরা মর্দামি শক্তি পুনরায় ফিরা পাবেন।

দয়াল বাবার কৃপায় সারা জীবন বেহুদা প্যাচাল আর বেহুদা কাম করা ওনি এখন বিশিষ্ট মর্দ হেকিম। দেখা যাক, এই বুড়া বয়সে ওনার আবিস্কৃত এই মহৌষধ অকালে যৌবন হারানো মুর্খ বাঙালির যৌবন ফিরাইতে কতটুকুন কি করে। তয় কিছু কিছু উজবুকেরা আবদার করতাছে ওনার যৌবন ফেরানো মহৌষধদার টেস্ট কেসটা যেন ওনারে দিয়াই হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.