জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গত ৩১ জুলাই তাঁর সরকারি কার্যালয়ে মুসলিম বিশ্বের কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেন। ইফতার আয়োজনে ৩৪টি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূত এবং তাঁদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদবিন মোমেন সস্ত্রীক অংশগ্রহণ করেন। ইফতার আয়োজনে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিরো মোরি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উপস্থিত ছিলেন।
৪০টি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ইফতার আয়োজনে।
দেশগুলো হচ্ছে আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেনিন, ব্রুনেই দারুস সালাম, মিসর, গ্যাইনিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, জর্ডান, কাজাখস্তান, কুয়েত, কিরঘিজস্তান, লেবানন, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া, মরক্কো, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন অথরিটি, কাতার, সৌদি আরব, সেনেগাল, সুদান, তাজিকিস্তান, তিউনিশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও ইয়েমেন।
ইফতার-পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে মুসলিম দেশগুলোর কূটনীতিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ইফতার আয়োজন বন্ধুপ্রতীম মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। আবে বলেন, ‘গত বছরের শেষ নাগাদ আমি সরকার গঠন করে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগ দিই। এজন্য আমি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য সফর করি। ’ আরব-আফ্রিকান মুসলিম দেশ মিসর থেকে আসা সুমো কুস্তিগীর ওসুনারাশিকে সম্মানজনক আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী আবে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আবে আরও বলেন, ইফতার আয়োজন মুসলিম দেশগুলির সঙ্গে জাপানের বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজে লাগবে।
জাপানে মুসলিম দেশগুলোর কূটনীতিক সি আলজেরিয়ায় রাষ্ট্রদূত সিড আলি কেটরানজি আবে জোট সরকারের শরিক ‘নিউ কোমেইতো পার্টি’র প্রতিনিধিদলের প্রধান নাত্সুও য়ামাসুচি ইফতার আয়োজনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
ইফতার চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী আবে উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে ব্যক্তিগত পরিচিতি এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। একপর্যায় তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও সৌজন্য শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অতি সম্প্রতি উচ্চকক্ষ নির্বাচনে আবের দল এলডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করায় রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন তাঁর ব্যক্তিগত এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানালে প্রধানমন্ত্রী আবে ধন্যবাদ জানিয়ে তার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবে ২০০৭ সালে প্রথম মেয়াদে সরকার গঠন করলে মুসলিম দেশগুলোর কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেন। প্রথম মেয়াদে তিনি এক বত্সর ক্ষমতায় ছিলেন। ২০০৩ সালের নভেম্বরে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী কোইজুমি জুনইচিরোও অনুরূপ ইফতারের আয়োজন করেছিলেন।
মোখলেসুর রাহমান
টোকিও, জাপান
rahmanmoni@gmail.com
সূত্র: জাপান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ছবি: ফাহমিদা জাবিন সোমা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।