আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এয়ারটেল এবং আমি!!!!!!!

আমি এক পথহারা যুবক

আপনি যদি টিভি অন করে বাংলাদেশের বেসরকারী চ্যানেলগুলো দেখেন তাহলে একটা জিনিস খুব তাড়াতাড়ি নজরে চলে আসবে। জিনিসটা কালকে থেকেই আছে। এক কোনায় ছোট লাল স্কয়ারে একটা কাউন্ট ডাউন চলছে একযোগে। বাংলাদেশে ইতিপূর্বে এমন জিনিস কেউ দেখে নাই। প্রথম প্রথম বুঝতে না পারলেও এই জিনিসটা কী, এখন প্রায় সবাই জানে।

এয়ারটেল। ভারতীয় টেলকম কোম্পানী, ভারতী এয়ারটেলের বাংলাদেশ যাত্রার কাউন্ট ডাউন। এখন থেকে হিসাব করলে, আর মাত্র ১৮ ঘন্টা পরই আসছে সেই ক্ষণ। মোবাইলে কথা বলতে আমার বরাবরই অনীহা। বোধহয় অতীতে আনলিমিটেড ইউজ (মিস ইউজ)’এর ফল।

এখন সেটার ফেয়ার ইউসেজ পলিসি চলছে। ফলে, কার কী ট্যারিফ প্ল্যান, কী কী সুবিধা, কোন অপারেটরে সবচে কম কথা বলা যায়- এসব নিয়ে তেমন মাথা ঘামাই না। তবে এইবার একটু ঘামাতেই হলো। বেশ কয়েক দিন আগে ওয়ারিদের সীম মেন্যু হঠাৎ করেই এয়ারটেল লাইভ হয়ে যায়। আমি ঘাবড়ালাম না।

বুঝতে পারলাম, গুজবটা তাহলে সত্যিই ছিল। এয়ারটেল আসছে। আজকে ঘুম থেকে উঠে যখন মোবাইলের স্ক্রিন লগো ওয়ারিদের বদলে এয়ারটেল দেখলাম, ক্ষণিকের জন্য মনে হলো এটা আবার অন্য কারও মোবাইল নয়ত! যে কোন কারনেই হউক, মোবাইল অপারেটর, হ্যান্ডসেট, কলরেট ইত্যাদি নিয়া কথা বলা কিংবা গবেষণা করা আমরা খুবই পছন্দ করি। এটি আড্ডার একটি জনপ্রিয় টপিকও বলা যায়। শুধুমাত্র এই বিষয়টাতে যে পরিমাণ মেধা অপচয় হয়েছে, অন্য কিছুতে সেটা ঢাললে বাঙালি নি:সন্দেহে আরও কিছুদূর এগিয়ে যেত।

বাঙালি কিছু দিন পর পর একটা না একটা টপিক খুঁজে বের করে অথবা টপিক উপহার দেয়া হয়। আমরা সেইটা নিয়া ঘাটাঘাটি করতে করতে ফেনা তুলে ফেলি। শেষে অবস্থা এমন দাঁড়ায়, মূল ঘটনাই আড়ালে পড়ে যায়, হিতে বিপরীত হয়ে যায়। যেমন মুসা ইব্রাহীমের পর্বতাভিযান, ড. ইউনুসের তহবিল স্থানান্তর, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বেগম জিয়া’র বাড়ি থেকে উচ্ছেদ ইত্যাদি ইত্যাদি। বর্তমানে যেমন চলছে, সাকার গ্রেপ্তার এবং পুঁজিবাজারের মারাত্মক ধস; চারদিকে কেবল একটাই রব, দোস্ত, তোর কত গেল রে! এবং এর সাথে সর্বশেষ সংস্করণ, এয়ারটেলের বাংলাদেশ আগমন।

এর মধ্যেই লোকজনের মনে নানা গুজব ডানা মেলতে শুরু করেছে। কেউ বলছে, সস্তায় ভাল ভাল হ্যান্ডসেট দিবে, কলরেট অনেক কমিয়ে দেবে, ইন্টারনেট সুবিধা বহুগুন বেড়ে যাবে ইত্যাদি। এর বিপরীত কথাও বলা হচ্ছে। কেউ বলছে, এসবই আসলে এয়ারটেলের বিরূদ্ধে অপপ্রচার। এভাবে এয়ারটেলের উপর জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে যেন পরবর্তিতে তা বাজারে এলে জনগণ হতাশ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

অন্যদিকে, বেশ কয়েক মাস আগে দেশের প্রায় সবকটি পিএসটিএন সরকার বন্ধ করে দেয়। এর সাথে এয়ারটেল-এর সংশ্লিষ্টতা আছে বলে অনেকে সন্দেহ পোষণ করছেন। আবার অনেকে আর্থিক বেশ কিছু অসংগতিও খুঁজে পেয়েছেন। সবকিছু ছাপিয়ে ভারতী এয়ারটেল বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, সেটাই হলো মূল কথা। ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি।

বিনিয়োগ করবে প্রায় ৩০ কোটি ডলার। ইতিমধ্যে তারা ওয়ারিদের দুই হাজার বিটিএস’কে সাড়ে ছয় হাজারের বেশিতে উন্নীত করেছে। (সূত্র: একাধিক বাংলা ওয়েবসাইট) এই পোস্ট যে কারনে দিলাম, এখন সেটা বলি। গতকাল মালয়েশিয়ায় বড় ভাইয়ের কাছে ফোন দিয়েছিলাম। কথা শেষে দেখলাম মিনিটে তিন টাকা পয়ঁতাল্লিশ পয়সা কেটেছে।

এত সস্তায় মালয়েশিয়ায় কথা বলা যায় দেখে বেশ তখন বেশ অবাক হয়েছিলাম। এখন বুঝলাম, এয়ারটেল সেই কারন। পাঠক এখন আপনি যদি বিদেশে সস্তায় কথা বলা টেস্ট করতে চান, তাহলে নিজ দায়িত্বে করবেন। কট খাইলে আমার কোন দোষ নাই

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.