আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
সাধারণ সূচকের রেকর্ড পতন এবং অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে আজ রোববারের ঢাকা শেয়ারবাজারের (ডিএসই) লেনদেন। বেলা তিনটায় লেনদেন শেষ হওয়ার সময় ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৫৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৭,৬৫৪ পয়েন্টে। এটি ঢাকার শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সাধারণ মূল্যসূচকের সর্বোচ্চ পতন বলে জানা গেছে।
আজ বেলা ১১টার সময় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই সাধারণ সূচক ৩০০ পয়েন্টেরও অধিক কমে যায়। মাঝখানে এই পতনের হার ২৫০ থেকে ২৯০-এর মধ্যে থাকলেও দিন শেষে তা ৫০০ ছাড়িয়ে যায়।
সাধারণ সূচকের পতন ৩০০-র ঘর অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গেই চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তাঁরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। এ সময় ইত্তেফাক মোড় থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিনিয়োগকারীরা এসইসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম স্লোগান দিতে থাকেন। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
একপর্যায়ে শাপলা চত্বরের কাছে একটি বাসও ভাঙচুর করেন বিনিয়োগকারীরা।
আজ রোববার সাধারণ মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে সঙ্গে অধিকাংশ শেয়ারের দামও কমে যায়। ডিএসইতে আজ লেনদেন হওয়া ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দামই কমে যায়। এর পাশাপাশি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ে। অপরিবর্তিত থাকে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে আজ সর্বমোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার।
এদিকে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের এই ধসকে পরিকল্পিত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা এ ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Click This Link
******************************
সেই ১৯৯৬ সালে যখন শেখ হাসিনা প্রথমবারের মত ক্ষমতায় আসে তখন ঐ বছরের শেয়ার বাজারে ঘটে মহা র্দূনীতি। যেখানে ৪০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়।
নভেম্বর-ডিসেম্বরে এই ঘটনা ঘটে। ঐ সময়ে সেপ্টেম্বর মাসে খালেদা জিয়া বলেছিলেন সরকারের উদ্দেশ্য
বলেছিলেন আলীগের কিছু নেতা-ব্যাবসায়ী এবং ভারতীয় মাড়োয়ারীরা শেয়ার ম্যানিপুলেশনের মাধ্যমে লুটপাট করার চক্রান্ত করছে। তাই হাসিনার প্রতি তখনই ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। জবাবে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মরহুম কিবরিয়া সাহেব বলেছিলেন শেয়ার ও শেয়ার বাজার কি জিনিস উনি তা বুঝেন না। যেখানে ১৯৯১-৯৬ সালে খালেদা জিয়ার প্রথম আমলে ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জে একদিনের লেনদেন কখনই ২৫-৩০ কোটি টাকার বেশী উঠেনি(উঠলেও কদাচিৎ) সেখানে হাসিনা আসার পর পরই শেয়ার দর পতন পূর্ব পর্যন্ত প্রতিদিনের গড় লেনদেন ৫০ কোটি টাকা।
তারপর হাসিনার প্রথম আমলে শেয়ার বাজার ছিল প্রায় মরা। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার চার দলীয় জোট পুনরায় ক্ষমতায় এলে অর্থমন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমানের দক্ষ, আন্তরিক, সৎ ভূমিকার কারণে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন শেয়ার লেনদেনে কড়া নজরদারী করে। ফলে ২০০১-০৬ শেয়ার মার্কেট ছিলি স্থিতিশীল। আর জোটের আমলেই শেয়ার বাজার পুনরায় নিজ পায়ে দাড়িয়ে মজুবত অবস্থানে চলে আসে। ফখরুদ্দিনের সময়েও আরও এগিয়ে যায়।
কিন্তু আবার হাসিনা ক্ষমতায় এলে আলীগ ব্যাবসায়ীরা ভারতীয় মাড়োয়ারীদের সাথে মিলে হু হু করে বাড়িয়ে দিতে থাকে শেয়ার দর। এবার ৬ মাসের মধ্যে নয় প্রায় দীর্ঘ ২ বছর ধরে এমন গভীর চাল চেলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে কাভার তৈরি করে যে ৯৬ সালের মত কিছু ঘটবে না। কিন্তু এখন আবার সেই ৯৬ এর মত বরং আরো বড় আকারের পতন অব্যাহত আছে। মহা বাল জোট সরকার কথায় কথায় হাওয়া ভবন এবং সাবেক জোট সরকারের বিরুদ্ধে র্দূনীতির ঢালাও অভিযোগ করে যে ২০০১-০৬ সালে নাকি দেশের কোন উন্নতি হয় নি। জোট ফেরেশতা ছিল এ কথা আমি কখনই বলিনি।
কিন্তু শেয়ার বাজার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে তাকে নিয়ে কেন কেন বার বার আলীগ কারসাজি করে? বিএনপি যদি ব্যাপক হারেই র্দূনীতি করত তবে তার সময় শেয়ার বাজার মজবুত হত না। ঐ সময়েও কেলেংকারী হত। দেশে ইলেকট্রিসিটি, গ্যাস, যোগাযোগ সমস্যা সমাধানে সরকার এখনও কোন উল্লেখযোগ্য কিছু করতেতো পারেই নি বরং সামনের গ্রীস্মে নাকি এই সংকট ভয়াবহ হবে। সামগ্রিক ভাবেই দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে শেয়ার বাজার লুটপাট মড়ার উপর খড়ার ঘা।
আজকে যদি বিএনপির সময় এমন কিছু হত তো বালের সমর্থক পত্রিকা, সাংবাদিক প্রতিদিনই বিএনপিকে তুলোধোনা করত। কিন্তু কি ৯৬ আর এই ২০১০ আওয়ামী-বাকশালী গং এ নিয়ে কিছুই বলে না। দেশের ও সাধারণ জনগণের স্বার্থ জঞ্জালি দিয়ে ভারতের সাথে চুক্তি এবং আভ্যন্তরীন লুটপাটের মহোৎসব করে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে রাখাই এর উদ্দেশ্য। যাতে বাংলাদেশ আজীবন ভারতের উপর নির্ভরশীল থাকে। তাই চারদলীয় জোটের উচিত নিজস্ব শক্তিশালী মিডিয়া গড়ে দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক গণ সংযোগ চালানো।
নতুবা মহা বাল জোট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।