আমি, কথা কম -কাজ বেশীতে বিশ্বাসী......
যে কারনে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে মেয়েদের ফুটবল খেলা হয় ।
# দাতা দেশদের খুশি করার জন্য এই আয়োজন। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্টানের ঋণ দেয়ার প্রধান শর্ত হলো মেয়েদের কে বাইরে আনতে হবে।
# দ্বিতীয়ত আমরা আধুনিক আমরা ডিজিটাল যুগে প্রবেশ রত এটা বুঝাতে ।
কিন্তু আমার প্রশ্ন যারা মেয়েদের এই ফুটবল খেলা নিয়ে খুব আহ্লাদিত তাদের বোন কিংবা মেয়েদের কী এই ফুটবল খেলতে দিচ্ছেন না কোনোদিন দিবেন ?
বাংলাদেশের টিমের বেশির ভাগ মেয়েই আদিবাসি-উপজাতি ।
আমাদের তথাকথিত সুশীল সমাজ ,নারীবাদী মুসলিম বা সনাতন ধর্মের মেয়েরা আসেনা কেনো ?
কক্সবাজার এলাকার জেলেরা মাছ ধরা বাদ দিয়ে প্রয়োজনে মালিককে জরিমানা দিচ্ছে তবুও তারা মেয়েদের ফুটবল দেখছে । এরা কী সত্যি ফুটবল খেলা দেখতে মাঠে যাচ্ছে না মেয়েদের অঙ্গ দোলা ? আর সরকার বাহাদুর সত্যিই তাদের বিনোদনের জন্য এ আয়োজন করেছে ? তাহলে মংলার জেলেরা বা ঢাকার রিকসাওলারা মিস করবে কেনো ?কেনো আমাদের তথাকথিত মডার্ন ভাইয়েরা এতো টাকা খরচ করে রাণী গং নাচ দেখতে যায় ?জেলায় জেলায় বেশি-বেশি মেয়েদের ফুটবল আয়োজন হোক ।
উপমহাদেশের অন্য টিমগুলি একটু বিশ্লেষণ করি । সবার চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত । ভারতের টিমের বেশির ভাগ সদস্য উডিসা ,কেরালা বিহার রাজ্যের ।
তারা আসছে সংখ্যালুঘু মুসলিম পরিবার থেকে নয়তো উপজাতি-আদিবাসি হতে। কোনো ব্রাহ্মণ পরিবারের একটা মেয়েও নাই । ঘটনা পরিস্কার উচ্চ গরিব এবং অসহায় সংখ্যালঘু পরিবারগুলোর মেয়েদেরকে টাকার লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসা যায় এই ফুটবলে ।
নেপালের টিমেও কোনো সনাতন ব্রাহ্মণ বা উচ্চ বংশের কোনো মেয়ে নেই। আদিবাসি এবং উপজাতি তাদের টিম সাপ্লাইয়ার ।
পাকিস্হান টিমে শুনেছি এতিম খানার মেয়েও আছে ।
ভূটানের স্কুল পড়ুয়া মেয়েরা । বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত এ খেলা মেয়ারা খেলতে পারে । এ জন্য আমি ভূটানকে ধন্যবাদ জানাই এ ধরনের টিম আনার জন্য । আসলে ভূটান মহিলাদের টিম করার মতো লোকই পায় নি।
মালদ্বীপেরও বেশির ভাগ খেলোয়ার স্কুল পড়ুয়া । প্রথম দিন স্কাফ মাথায় কয়েকজন ফটোসেশনে অংশ নেয়ার জন্য হুলস্হুল করেছে ।
শ্রীলঙ্কার বেশির ভাগ মেয়েই সংখ্যালঘু তামিল গোত্রের ।
খেলাধূলার দরকার আছে সবার কিন্তু ফুটবল খেলার মতো একটা শারিরীক পরিশ্রমের খেলা মেয়েদের জাতীয় পর্যায়ে না খেললেই কী নয়।
তাদের শারিরীক ঘটন এই খেলার অনুকুলে নয়।
চুল ,স্হনের কথা বাদই দিলাম । কিন্তু মাসিকের সময় যে স্বাভাবিক দুর্বলতা থাকে এটার কী হবে । এ অবস্হায় মেয়েদের দৌড়াদৌড়ি একদম নিষেধ । তাছাড়া মাসিকের কয়েকদিন মাথা ঝিমঝিম করবে মন আনমনা থাকবে । উন্নত দেশে মেয়েদের এ অবস্হায় গাড়ির ড্রাইভিং নিষেধ ।
তাছাড়া বাঙালি মেয়েরা ভাত মাছ শরীর এমনিতেই দুর্বল থাকে । যে কথা বলে পুরুষ ফুটবলে আমরা দোহাই দেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।