নতুন নতুন ধারণার জম্ম দিতে চাই
সবাই বলে- আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু যে জন্য স্বাধীনতা, সেটা কি আমরা পেয়েছি?
এই প্রশ্ন আজ আর কেহ করেনা। এর জবাবও খুজে পাওয়া যায় না। স্বাধীনতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল যে, কিসের জন্য স্বাধীনতার যুদ্ধ? কি কারণে আমাদের স্বাধীনতার প্রয়োজন ছিল? সেই প্রয়োজনগুলো পেয়ে যাওয়াটাই আমাদের জন্য গুরত্বপূর্ণ ।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানীদের সাথে আমাদের যুদ্ধের মূল কারণ ছিল – তারা আমাদেরকে রাজনৈতিক ভাবে, অর্থনৈতিক ভাবে, সাস্কৃতিকভাবে শোষণ করছিল।
তারা আমাদের সম্পদ তাদের অংশে নিয়ে পুরটাই ভোগ করতো। এই পয়েন্টেই তাদের সাথে আমাদের সংঘাত ছিল। যার চুড়ান্ত পর্যায় ছিল- মুক্তিযুদ্ধ ।
মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তবে সবাই পাইনি।
কিছু লোক স্বাধীনতার ষোল আনাই পেয়েছে। কিন্তু আমরা যারা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধে করেছি, রক্ত ঝরিয়েছি, আহত হয়েছি, সাথীদের লাশ কাধে বহন করে কবর দিয়েছি, যুদ্ধে আত্মীয়-স্বজন হারিয়েছি, সেই আমরা স্বাধীনতার তিল-কণাও পাইনি। আজ স্বাধীনতার ৪০ বছরে দাড়িয়ে নিজেকে শোষিতদের দলেই খুজে পাই। ৫২ তে সালাম-জব্বার-রফিক রক্ত দিয়েছে নিজের ভাষার জন্য। আজ ২০১০ এ মন্জু-সালাম-বেলাল রক্ত দিচ্ছে নিজের পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্যের জন্য।
১৯৫২ আর ২০১০ মাঝে কোন পাথক্য খুজে পাইনা। তখন শাসকগোষ্ঠী গুলি চালিয়েছে ছাএদের উপর, আর এখন সেই শাসকগোষ্ঠীই শ্রমিকের বুকের উপর গুলি চালিয়ে হত্যা করছে। তখন ধষর্ণকারী ছিল পান্জাবী, আর এখন আমার স্বদেশী। আমার দেশের সম্পদ এখন আর পাকিস্তানীরা নেয় না, নেয় আমার দেশের নেতারা। আমার দেশের কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যায় নেতাদের আর্শিবাদে।
আজও অধিকার আদায়ের মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করে, মুক্তির বদলে নতুন নতুন শোষণের শিকলে গলা পর্যন্ত আটকিয়ে দেয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশের অবস্হা সেই ৭১ এর বাংলাদেশের চেয়ে কোন অংশেই ভাল নয়। স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু যে জন্য স্বাধীনতার দরকার ছিল, সেই দরকারগুলো পাই নি। এখনো আমরা প্রতিনিয়তই শোষিত হয়ে যাচ্ছি।
আমার কাছে স্বাধীনতার স্বাদ বছরে একদিনই আসে।
আর বাকি ৩৬৪ দিন আমি শোষিত হয়ে যাচ্ছি এই স্বাধীন বাংলাদেশে। যা কখনোই আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট কাম্য ছিলনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।