আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পেন্টাগনের ষড়যন্ত্রে যৌন হয়রানি মামলার শিকার হয়েছি : অ্যাসাঞ্জ

আর কেন সম্মেহন-এ পাপ, থাক- ‘বেদনা আমারি থাক’
গুপ্তচরবৃত্তি অধ্যাদেশ লঙ্ঘন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা সুইডেনে কথিত যৌন হয়রানির মামলা বিষয়ে এবার মুখ খুললেন বিশ্ব মিডিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়া উইকিলিকসের প্রতষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। রোববার সুইডেনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ‘পেন্টাগনের ষড়যন্ত্রেই মামলার শিকার হয়েছি আমি। ’ এর মাত্র এক বছর আগেই আইসল্যান্ডের রেকজাভিক দ্বীপে আমেরিকান অ্যাম্বাসির একটি ককটেল পার্টিতে অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। এদিকে সোমবার উইকিলিকসের ফাঁস করা তারবার্তা থেকে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা বাহিনীর আশঙ্কা ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইল সামরিক হামলা চালাবে এবং এর ফলে পরমাণু যুদ্ধও শুরু হবে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, দ্য টেলিগ্রাফ, বিবিসি, এএফপি, ওয়াশিংটন পোস্ট বৃটেনে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে সুইডেনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ওই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতাকে এ সাক্ষাৎকার দেন অ্যাসাঞ্জ।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমেরিকার হস্তক্ষেপে সুইডেনের বিচার বিভাগের এ ধরনের অপব্যবহার হয়েছে। ’ এ বিষয়টি নিয়ে ওই প্রামাণ্যচিত্রে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। নভেম্বরের শেষদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিনিময় করা আড়াই লাখ গোপন বার্তা ফাঁস করে ওয়াশিংটনের চূড়ান্ত বিরাগভাজন হন অ্যাসাঞ্জ। এর আগে ইরাক ও আফগান যুদ্ধ নিয়ে পেন্টাগনের কয়েক লাখ গোপন দলিল প্রকাশ করে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আমেরিকান সেনাদের যুদ্ধকালীন ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয় উইকিলিকস। এ অবস্থার মধ্যেই দুই সুইডিশ নারী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনলে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সুইডেন।

ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে ৭ ডিসেম্বর অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে বৃটিশ পুলিশ। অ্যাস্যাঞ্জ বর্তমানে ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে রয়েছেন। প্রামাণ্যচিত্রে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ‘পেন্টাগনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক তথ্য প্রকাশনার কাজে একজন শরণার্থী প্রকাশক হিসেবে আমি সুইডেনে এসেছিলাম। পেন্টাগন মানুষকে আটক করে রেখেছে এবং তারা আমাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে চায়। ’ অ্যাসাঞ্জ আরো বলেন, ‘তাই সুইডিশ বিচার বিভাগ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আমি অসন্তুষ্ট এবং হতাশ।

’ অথচ মাত্র এক বছর আগেই আমেরিকান অ্যাম্বাসির ডেপুটি চিফ অফ মিশন স্যাম ওয়াটসনের বাসভবন আইসল্যান্ডের রেকজাভিক দ্বীপে আমন্ত্রিত ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। সে সময় তারা বেশ খোলামেলাভাবে আড্ডাও দিয়েছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর বৃটেনের আদালতে আবারো শুনানির মুখোমুখি হবেন অ্যাসাঞ্জ। ওদিকে উইকিলিকস ও অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আমেরিকার গোপন কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশের জন্য ১৯১৭ সালের গুপ্তচরবৃত্তির অধ্যাদেশের লঙ্ঘনসহ একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ দায়েরের চেষ্টায় তৎপর রয়েছে আমেরিকার বিচার বিভাগ। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলার আশঙ্কা : সোমবার উইকিলিকসের ফাঁস করা তারবার্তা থেকে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা বাহিনীর আশঙ্কা ছিলÑ ইসরাইল সামরিক হামলা চালাবে ইরানে এবং এর ফলে পরমাণু যুদ্ধও বেধে যেতে পারে।

রাজধানী ক্যানবেরার আমেরিকান দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো গোপন এ তারবার্তা উইকিলিকস কর্তৃপক্ষ ‘দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ পত্রিকার কাছে পাঠিয়েছে। এতে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার তার মিত্রদের কাছে এ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে। উইকিলিকসের ফাঁস হওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা ২০০৯ সালের মার্চে ওয়াশিংটনকে বার্তা পাঠানÑ ‘অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানের উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে ইরানের সম্ভাব্য পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন ও এর সময়সীমা। একইসঙ্গে সমন্বয় না করে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক হামলা ঠেকাতে আমেরিকার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। ’ এতে আরো লেখা হয়, ‘তাৎক্ষণিকভাবে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন যে, পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জনের পেছনে ছোটার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকাকে জড়িয়ে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ বেধে যেতে পারে।

এমনকি পরমাণু যুদ্ধ বাধতে পারে। এর ফলে অস্ট্রেলিয়াও এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে। ’
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।