আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মা যুদ্ধফেরত ছেলের মুখের দিকে না তাকিয়ে শুধু অবাক বিস্ময়ে দেখছিল.....................

ব্লগে আসার বা থাকার কোন কারন খুজে পাই না,তবু পুরনো টানে বার বার আসি সামুতে

এক মা, যুদ্ধ শেষ। সম্মুখ সমরে ক্লান্ত আমি বাড়ি ফিরবো। বাড়ি এসে সবার আগে তোমাকে জড়িয়ে ধরবো। তুমি নিশ্চয় অনেক কাঁদবে। জানি মা,এ কান্না হবে তোমার আনন্দ অশ্রু।

তারপর বাবাকে কদমবুচি করবো। বাবা অনেক শক্ত মানুষ। তবুও বাবার চোখের কোণটা পানিতে ভরে যাবে না?ততক্ষণে হয়ত সমস্ত গ্রামে ছড়িয়ে পরবে আমার ফিরে আসার খবর। সবায় দেখতে আসবে তোমার ছেলেকে। গর্বে তোমার সমস্ত বুকটা ভরে যাবে।

আলম,রফিক,শফিক ওরাও নিশ্চয় আসবে। আবার মানুষে মানুষে গমগম করবে আমাদের বাড়িটা। পুরনো দিনগুলো আবার ফিরে পাবো। কিন্তু মা একটা কথা,এই যুদ্ধ আমার অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু আমাকে একজন বন্ধু দিয়েছে।

তার মত বন্ধু আমি কোথাও পাই নি। মা,ওর বাড়ি নেই। যুদ্ধে ওর সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষতও। ওর দুটো পা-ই উড়ে গেছে। মা,ওকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসি? অনেক ভালবাসা তোমার ছেলে দুই বাবা, আমি জানি তুই কষ্ট পাবি।

তবুও একটা কথা না বলে পারছি না। তোকে আমাদের সাংসারিক বাস্তব অবস্থাটা বুঝতে হবে। আমার আর তোর বাবার কি একটা পঙ্গু ছেলেকে দেখে রাখার সামর্থ্য আছে?তারপরও তুই যা ভাল বুঝিস করিস। তোর মা তিন এরপর ছেলেটি ফিরে আসলো। জীবিত না মৃত?কারণ আত্মহত্যা।

কিন্তু মা তার মৃত ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল না শুধু অবাক বিস্ময়ে দেখছিল তার নিজের ছেলের দুইটি পা। সেখানে কিছু নেই। (পুরো লেখাটি লিখতে গিয়ে আমার চোখ ভিজে গেছে,মাথা নিচু হয়েছে লজ্জায়। আমরা পারিনি মুক্তিযুদ্ধের সম্মান ধরে রাখতে,পারিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে,পারিনি যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার করতে,পারিনি এখনও প্রকৃত মুক্তির পতাকা উঁচু করে ধরতে। এই লজ্জা আমার,এই লজ্জা আমাদের,লজ্জা পুরো জাতির।

লেখাটি সাম্যের অনুবাদে ভিয়েতনামিয় ছন্দে যেন মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যবান জীবনের ত্যাগের প্রুতিচ্ছবি,লাখ লাখ মায়ের বুক খালি হওয়ার ছবি। শত সহস্র সালাম সেই মুক্তিযোদ্ধাদের। )


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।