আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিকিৎসার নামে খালেদা ছেলের পাচার করা অর্থের তদ্বিরে গেছেন

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। রাগ করে লন্ডনে না গিয়ে খালেদা জিয়া-সিঙ্গাপুর থেকেই দেশে ফিরছেন। ছোট ছেলের পাচার করা অর্থের তদ্বিরে গিয়ে কট খাইয়া উনি কট খাইছ্বেন। আর তাতেই মেজাজ খারাপ। জামাত লন্ডনে বইসা আরাম করে আর ছোট ছেলেটা.... আহারে! গত ১৯ ফেব্র“য়ারি তিনি সিঙ্গাপুরে যান, সিঙ্গাপুর থেকে চলতি সপ্তাহেই লন্ডনে আসার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপারসনের।

সিঙ্গাপুরে গ্র্যান্ড হায়াৎ হোটেলে অবস্থান করছেন সাথে একান্ত সচিব এএসএম সালেহউদ্দিন আহমেদ , গৃহকর্মী কানিজ ফাতেমা ও মোসাদ্দেক আলী ফালু তার সাথে সিঙ্গাপুরে আছেন বলে জানা যায়। চিকিৎসার নামে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ছেলের পাচার করা অর্থের বিষয়ে তদ্বির করতে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। তবে তদ্বিরেও কোন লাভ হয়নি। কোকোর পাচার করা অর্থ ফেরত দিতে সিঙ্গাপুরের আদালত রায় দিয়েছে। জনসমর্থন হারিয়ে ও নতুন প্রজন্মের মহাজাগরণ দেখে দিশেহারা খালেদা জিয়া এখন বিদেশীদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন।

রাজাকার-আলবদর-যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ না করলে দেশের জনগণ একদিন খালেদা জিয়ারও বিচার করবে। বিএনপি-জামায়াত দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। খালেদা জিয়ার নিজের ওপরও আস্থা নেই, জনগণের ওপরও আস্থা নেই। গত নির্বাচনে দেশের জনগণ আপনাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়া আগুন নিয়ে খেলছেন।

নতুন প্রজন্মের মহাজাগরণ দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কোটি কোটি টাকা লগ্নি করে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। জনসমর্থন হারিয়ে খালেদা জিয়া এখন বিদেশীদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। তবে আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিদেশে ধর্না দিয়ে লাভ হবে না, ভোট দেবে দেশের জনগণ, অন্য কেউ নয়। বঙ্গবন্ধুই জিয়াকে মেজর থেকে লে, কর্নেল, কর্নেল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও মেজর জেনারেল করেছিলেন।

অথচ বঙ্গবন্ধুর হত্যা ঠেকাতে তিনি কোন ভূমিকা নেননি। বরং তাঁর ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। স্বার্থ ও রাজাকারদের পুনর্বাসনই বিএনপির রাজনৈতিক নীতি। জিয়ার পরিবার কী পরিমাণ দুর্নীতিগ্রস্ত তা আজ দেশে-বিদেশে প্রমাণিত হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতার ৫ বছরে প্রতিবার দেশকে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছে।

বিশ্ব রেটিংয়ে বাংলাদেশ এখন সম্ভাবনাময় দেশ এবং উন্নয়নের রোল মডেল। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা স্তব্ধ করতেই খালেদা জিয়ারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের জনগণ একাত্তরের মতোই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবেই। মহান ভাষা আন্দোলনের মাসে যারা পবিত্র শহীদ মিনারে আঘাত করেছে, লাখো শহীদের রক্তাক্তত জাতীয় পতাকায় আগুন দিয়েছে- সেইসব রাজাকার-আলবদরকে সমর্থন দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের দোসর হিসেবে নিজে প্রমাণ করেছেন। যদি হিটলারের বান্ধবীদের বিচার হতে পারে, তবে জানজুয়ার বান্ধবীদের কেন বিচার হবে না? যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ না করলে দেশের জনগণ একদিন খালেদা জিয়ারও বিচার করবে।

বেগম জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচারকৃত অর্থের বিষয়ে আজ সিঙ্গাপুরে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। কোকোর দুর্নীতি আজ বিশ্বেও প্রমাণিত। তবে দুঃখ লাগে, এরপরও বিএনপির ভেতরে বাইরের শিক্ষিত লোকেরাও কোকোর ‘গুণগান’ করেন। ধিক্কার জানাই সেসব শিক্ষিত ব্যক্তিকে যারা অর্থ পাচারের বিষয়কে সমর্থন করেন। শাহবাগের তরুণদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য আজ নতুন প্রজন্ম মাঠে নেমেছেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য দেশব্যাপী দাবি উঠেছে। এ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে ভিক্ষার, আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে আত্মমর্যাদার। ইসলামের কথা বলে জেনারেল জিয়া ৩৬৮টি মদের লাইসেন্স দিয়েছিলেন। তাঁর ছোট ছেলে কোকো আজ অর্থ পাচারের ঘটনায় ধরা পড়েছে। খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুরে গিয়ে তদ্বির করেও কোন লাভ হয়নি।

সুত্র ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.