আগে জজ ছিলেন, বর্তমান ডিজিটাল সরকার ক্ষমতায় আসার পর নিয়োগপ্রাপ্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক, ইসলামিক জ্ঞানহীন ও মার্কিন তরুনীদের নাচের ভক্ত, কাঙ্গালী সূফিয়ার সূরে মাতাল সে, যিনি ইসলাম র্ধমের অনুসারী হয়েও সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের জন্য সঠিক, সর্বশ্রেষ্ঠ বিধান ইসলাম ও মুসলমানদের দায়ী করেছেন, সে হলো আমাদের বহুল আলোচিত ফিতরা নির্ধারণ কেলেংকারীর জনক সামীম মোহাম্মদ আফজাল। মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর থেকেই নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, সর্বোপরি শরিয়তবিরোধী ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ইসলামি ফাউন্ডেশনে অস্থিরতার পাশাপাশি সর্বমহলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত দুই বছর ধরে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির ঐতিহ্য রক্ষা এবং আরও গতিশীল করার দাবি জানানো হলেও সরকারের কোনো টনক নড়েনি। টনক লড়ছে না কেন?
আর ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়েও জজ থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি পদে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টিও সবার কাছে রহস্যময়।
মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম, ইমাম প্রশিক্ষণ ও তাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ইসলামের মর্মবাণী শিক্ষা দেয়া, বাংলা ভাষায় পুস্তক রচনা ও প্রকাশ, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানা মহতী উদ্দেশ্য ছিল ইসলামি ফাউন্ডেশনের সূচনালগ্ন থেকেই।
তার ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরে হামদ, নাত ও ইসলামী সঙ্গীত তথা ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিশেষ ভূমিকা ছিল। কিন্তু ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল হাতে গত ২ বছর ধরে সেই ঐতিহ্য ও ভূমিকা ম্লান হতে চলেছে। এখন এসব সংস্কৃতির বদলে আয়োজন করা হয় অশ্লীল নাচ-গানের আসর।
ইফার মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের শিক্ষার্থী, ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং অভিভাবকদের নিয়ে গত ১৭ মার্চ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ইফার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ফাউন্ডেশন ভবনের অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া। এ সময় কাঙ্গালিনী সুফিয়ার সঙ্গে করমর্দনও করেন ডিজি। কাঙ্গালিনী সুফিয়ার একতারা এবং শরীর দুলিয়ে নাচ-গানে বিব্রত অবস্থায় পড়েন উপস্থিত ইমামরা। এছাড়া ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল ইফার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে জাতীয় শিশু-কিশোরদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে হামদ ও নাতের বিচারক হিসেবে আঁখি আলমগীরসহ এমন শিল্পীদের আনা হয় যাদের অনেকেই ইসলামী সঙ্গীতের সঙ্গে পরিচিত নন। এ নিয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে অনেকে প্রশ্ন তুললেও ডিজি তাদের পাত্তা দেননি।
গত ২৭ নভেম্বর ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ঘটে সবচেয়ে জঘন্য ঘটনা। ওইদিন আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসে একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের সম্মানে আয়োজন করা হয় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। একপর্যায়ে ডিজির অনুরোধে ইমামদের সামনে মার্কিন তরুণ-তরুণীরা পরিবেশন করে অশ্লীল ব্যালে নৃত্য। অবশ্য ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যালে ড্যান্স নয় ৩৫ সেকেন্ডের ‘সুয়িং ড্যান্স’ পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আগত মার্কিন তরুণীদের সঙ্গে হ্যান্ডশেকও করেন ইফা ডিজি। ইমামদের সামনে নৃত্য পরিবেশনের এ ঘটনায় তাত্ক্ষণিকভাবে হতভম্ব হয়ে যান উপস্থিত ইমাম ও কর্মকর্তারা। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এ ধরনের অশ্লীল কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে কয়েকজন গভর্নরসহ অনেকেই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। পরে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনের ছবিসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এই ডিজি চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্ব মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করে মন্তব্য করেছিল, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ শুধু ইসলাম ও মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
ইহুদি, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের মধ্যে সন্ত্রাস নেই।
প্রশ্নঃ
পর নারীকে হাত দ্বারা স্পর্শ করা হলে হাতের দ্বারা যিনা-ব্যভিচার হওয়াকে বুঝায়, এটাই ইসলামী শরিয়ার বিধান। ইফা ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল মার্কিন তরুনীকে যে হাত দ্বারা স্পর্শ করেছেন তার প্রমাণ ছবিতেই বিদ্যমান। সে কি কাজে লিপ্ত?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।