"বাউল মানুষ"
সাকিব তার ১০১তম ওয়ানডে ম্যাচে ১৭তম ফিফটির দেখা পেয়েছেন। আর মাত্র সাতটি উইকেট পেলে এক বছরে ৫০ উইকেট পাওয়ার কৃতিত্বও অর্জন করবেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৫০তম ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে বিজয় তুলে নিয়েছেন সাকিব। এই সব তথ্য তো আপনার জানাই আছে। কিন্তু আরও একটি অর্ধশতকও গতকাল পূর্ণ করেছেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে জয় করে নিয়েছেন ৫০ শতাংশ ম্যাচ। মোট ৩২টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। এর মধ্যে জয় পেয়েছেন ১৬টিতে। বাকি ১৬টি ম্যাচে পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু এই পরাজয়ের চেয়ে সাকিবের জন্য জয়ের পরিসংখ্যানটাই হয়ে উঠেছে মুখ্য।
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন হাবিবুল বাশার। তিনি ৬৯টি ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে খেলে জয় করেছেন ২৯টি ম্যাচ। প্রায় ৪২ শতাংশ জয়ের পরিমাণ। আশরাফুল ৩৮টি ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে খেলে জয় করেছেন ৮টি ম্যাচ। সাকিবের ৩২ ম্যাচে ১৬টিতে বিজয় তাই অন্যরকম ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
এদিকে বিশ্ব সেরা অধিনায়কদের মধ্যে ক্লাইভ লয়েড জয় করেছেন প্রায় ৭৬ শতাংশ ম্যাচ। তবে সবচেয়ে বেশি ২২১ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে ৭২ শতাংশ জয় তুলে নিয়েছেন রিকি পন্টিং। সেদিক থেকে ক্লাইভ লয়েডের অনেক উপরে আছেন রিকি পন্টিং। লয়েড অধিনায়কত্ব করেছেন মাত্র ৮৫ ম্যাচে। সাকিব আল হাসানের এই কৃতিত্ব বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশ্ববিখ্যাত অধিনায়কদের পাশে স্থান করে নিতে সাকিবের বেশি সময় লাগবার কথা নয়। বিশেষ করে সৌরভ গাঙ্গুলিকে তিনি এই সিরিজেই পিছনে ফেলে দিতে পারেন সামনের দুটো ম্যাচ জয় করে। সৌরভের ম্যাচ জয়ের পরিমাণ ৫১ শতাংশ। পাকিস্তানের বিশ্ব জয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের ম্যাচ জয়ের পরিমাণ ৫৩ শতাংশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৫০তম ম্যাচে নিজের জন্য আরও একটি পঞ্চাশ নিয়েই মাঠ ছাড়লেন সাকিব আল হাসান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।