বৃহস্পতিবার ঈদের এ দিনে মুরসির স্ত্রী নাগলা মাহমুদও প্রথমবারের মতো সমাবেশে উপস্থিত হয়ে ভাষণ দেন।
অন্যদিকে সেনাবাহিনী ও সেনাসমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থকরা কায়রোর তাহরির স্কয়ারে জমায়েত হয়ে ঈদ উদযাপন করেছে।
তাহরির স্কয়ারে ঈদের জামাত পরিচালনা করেন শেখ গোমা মোহাম্মদ আলী। খুতবায় তিনি আরো রক্তপাতের বিরোধীতা করে মুরসি সমর্থকদের বিক্ষোভ শিবির ত্যাগ করে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
কায়রোর রাব্বা আল আদাবিয়া মসজিদ ও নসর সিটিতে শিবির স্থাপন করে লাগাতার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে মুরসি সমর্থকরা।
ঈদের দিন ব্রাদারহুডের রাব্বা প্রতিবাদ শিবিরে হাজার হাজার পুরুষ, নারী ও শিশু জমায়েত হয়। সেখানে ঈদের জামাতের পর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মুরসির স্ত্রী নাগলার উপস্থিতিতে সমর্থকদের উত্তেজনা তুঙ্গে উঠে। এ সময় নাগলার সঙ্গে ব্রাদারহুডের নেতা মোহাম্মদ এল বেলতাগিও উপস্থিত ছিলেন।
“আল্লাহ চাচ্ছেন তিনি ফিরে আসুন, আল্লাহ চাচ্ছেন, আল্লাহ চাচ্ছেন,” উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন নাগলা।
“আল্লাহর গুণগান করুন, মিশরবাসী প্রমাণ করেছে তারা ইসলামপন্থী,” বলেন তিনি।
হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি সত্ত্বেও চাপা পড়া ভয়ের স্রোত পুরো সমাবেশ জুড়েই প্রবাহিত ছিল। এখানে উপস্থিত ৩২ বছর বয়সী মুরসি সমর্থক আব্দেল লতিফ মোহাম্মদ বলেন, “সেনা অভ্যুত্থান সবসময়ই শক্তি প্রয়োগে সম্পন্ন হয়, তাই তারা শক্তি প্রয়োগ করতে পারে তার আশঙ্কা সবসময়ই আছে। ”
তবে ঈদের দিন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোথাও কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
মিশরের রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ব্যর্থ হওয়ার পর পরিস্থিতি বিপদজনক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
৩ জুলাই মুরসিকে সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে লাগাতার প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে আসছে মুরসির সমর্থক গোষ্ঠি মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা। প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদের দিনও তা অব্যাহত রাখল তারা।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ প্রতিবাদ বিক্ষোভে সৃষ্ট সহিংসতায় প্রায় ৩শ’ মানুষ নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে গত ২৭ জুলাই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একদিনেই নিহত হয়েছেন ৮০ জন মুরসি সমর্থক।
বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর অভিযান সত্ত্বেও বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করেনি মুরসির সমর্থক ব্রাদারহুড সদস্যরা।
ঈদের সমাবেশে মুরসির স্ত্রী ভাষণ দেয়ার সময়ও সমর্থকরা “পুনর্বহাল! পুনর্বহাল!” শ্লোগান দেয়।
কিন্তু বিক্ষোভস্থল পরিত্যাগ করে ফিরে যাওয়ার জন্য তাদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি জানিয়েছে সেনসমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে সরকার ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হাজেম এল বেবলাবি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।