বাংলাদেশের প্রায় ৪,৪৯৮টি ইউনিয়নের সকল গ্রামেই ষাটোর্ধ্ব বিপুল সংখ্যক প্রবীণ আছেন। তাঁরা সমাজের সর্বস্তরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবদান রেখেছেন। অথচ তাঁদের প্রতি আমাদের যেন কিছু করণীয় নেই। রাজনীতিবিদদের মধ্যে অনেকে প্রবীণ সমাজের অর্ন্তভুক্ত হলেও অবহেলিত এ সমাজের উন্নয়নে এঁদের ভূমিকা উল্লেখ করার মতো নয়। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর মেনিফেস্টোতে এ ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করা আছে বলে মনে হয় না।
বিত্তশালী প্রবীণরা অর্থের বিনিময়ে সাহায্য-সেবা আদায় করতে সক্ষম হলেও সাধারণ সহায়-সম্বলহীন প্রবীণদের উদ্ধারে কে এগিয়ে আসবে?
রাজধানী ঢাকার আশপাশে বা মফস্বলের কিছু শহরে সামান্য কয়েকটা আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে অনেক শিক্ষিত প্রবীণ আশ্রয় নিয়েছেন। দেশ ও সমাজ এঁদের অনেকইে কাজে লাগাতে পারতো। এঁদের মূল্যবান শিক্ষা, মেধা, অভিজ্ঞতা, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজে লাগালে দেশ ও সমাজ বহুলাংশে উপকৃত হতো। মনে রাখা দরকার যারা সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে চাকরি করেছেন তারা শুধু নেননি- দিয়েছেনও অনেক।
যাঁরা শুধু বেতনের টাকায় পরিবারের ভরণ-পোষণ করে রিক্ত হাতে কর্মময় জীবন থেকে বিদায় নিয়েছেন। মনে রাখা দরকার। শুধুমাত্র বেতনের ওপর নির্ভরশীল চাকরিজীবীগণ তাদের মেধা-সততা নামক বিশেষ প্রাপ্তিকে বিসর্জন দিয়ে বিত্তশালী হননি। যে সকল চাকরিজীবী বিত্তের মোহে আকৃষ্ট ছিলেন তারা অনেকে বিশেষ মর্যাদার আসনে। ফলে চাকরিজীবীদের মধ্যেও একটা অসম শ্রেণী সৃষ্টি হয়েছে।
চাকরি-ব্যবসার সুবাদে যারা শহরে অবস্থান করছেন তাঁদের অনেকে মান-সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্য নিজ গ্রামে গিয়ে সমাজ সেবামূলক কোনো কাজে সম্পৃক্ত হতে পারছেন না। অথচ সময়ের চাহিদানুযায়ী তাঁদের দিয়ে অনেক গঠনমূলক কাজ করানো সম্ভব হতো। স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত সকল স্তরে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নানাবিধ প্রকল্প, চাহিদা, আয়-ব্যয় ইত্যাদি বিষয় স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে তৈরির জন্য অভিজ্ঞ লোকদের সাময়িকভাবে লাগানোর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।