নদীদূষণ করার জন্য আকিজ ট্যাননারিকে ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর বিগত কয়েক মাস যাবত এধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে তাদের এই কাজের জন্য ধন্যবাদ জানানো উচিত। ভাল কাজের প্রশংসা অন্যদেরও এধরনের কার্যক্রম গ্রহণে উৎসাহী করবে।
এই ঠিকানায় তাদের ধন্যবাদ দিতে পারেন
DG Environment:
বিস্তারিত তথ্য
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: শিল্প কারখানার বর্জ্য ফেলে ভৈরব নদী দূষণের অভিযোগে যশোরে সরকারদলীয় সাংসদ আফিল উদ্দিনের মালিকানাধীন এস এ এফ ইন্ডাস্ট্রিজ (আকিজ ট্যানারি) লিমিটেডকে প্রায় ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের অভিযানে এটিই টাকার অংকে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ অর্থদণ্ড।
রোববার দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীর নেতৃত্বে ঢাকা ও খুলনার যৌথ দল অভিযান চালায় এ শিল্প কারখানায়।
অভিযানকারী দল কারখানার বিভিন্ন ইউনিট ও স্থাপনা এবং দূষণের উৎসমুখ ভৈরব নদীর পয়েন্ট সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, কারখানাটি ১৯৭৯ সাল থেকে কারখানার দূষিত তরল ও অপরিশোধিত বর্জ্য সরাসরি ভৈরব নদীতে নির্গমন করে আসছিলো। দূষণ বন্ধে কারখানাটিকে বছরের পর বছর নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তা আমলে নেয়নি।
অভিযানের সময় একটি নালার মাধ্যমে কারখানার ঘনকালো বর্ণের দূষিত তরল বর্জ্য সরাসরি ভৈরব নদীতে নির্গত হতে দেখা যায়। এতে নদীর তীর বরাবর একটি অংশের স্রোত কালোবর্ণ হয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যায়।
গত প্রায় দেড় বছরে এ কারখানা থেকে ২.২০ লাখ ঘনমিটার দূষিত ও অপরিশোধিত তরল বর্জ্য ভৈরব নদীতে নির্গত হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায় এনফোর্সমেন্ট টিমের অনুসন্ধানে।
এনফোর্সমেন্ট টিম কারখানার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নদীমুখে নিঃসরণ করা তরল বর্জ্যরে নমুনা সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিকভাবে রাসায়নিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে।
পরীক্ষায় নিঃসৃত এ তরল বর্জ্যরে মধ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিষাক্ত ক্রোমিয়ামসহ অন্যান্য মারাতœক ক্ষতিকর উপাদানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
কারখানার মালিককে এ অপরাধে দণ্ডিত করে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৬৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা অবিলম্বে পরিশোধ এবং আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসাথে কারখানার সৃষ্ট দূষিত বর্জ্য ভৈরব নদীতে নির্গমন না করে নিজস্ব সংরক্ষণাগারে সংরক্ষণ ও দূষণ প্রশমনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ আদেশ অমান্য করা হলে মামলা দায়েরসহ কারখানার বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
তথ্যসুত্র: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।