নাজমুল ইসলাম মকবুল
ভাগ্য বদলের স্বপ্নে বিভোর হয়ে স্বপ্নের সোনার হরিনের নেশায় স্ত্রীর শাড়ির আচল ধরে সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে সুদুর বিলেত যাওয়ার অভিপ্রায়ে সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার মন্ডলকাপন গ্রামের আমিনুর রহমান বাচ্চু বিয়ে করে বাংলাদেশী বংশদ্ভোত ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী কন্যা তারই খালাতো বোন লিপি বেগমকে ২০০১ সালে। বিয়ের পর স্পাউজ ভিসায় লন্ডন পাড়ি জমায় আমিনুর রহমান বাচ্চু। ২০০৩ সালে তাদের ঘরে একটি ছেলেও জন্ম নেয়। কিন্তু সেই শাড়ির আচলের রূপচ্ছটাকে অনেক চেষ্টা করেও আকড়ে ধরে রাখতে পারেননি আমিনুল। শাড়ির আচলকে ছিহ্ন ভিন্ন করে পরিবারে নেমে আসে অমানিশার তান্ডব।
শুরু হয় একে অন্যের উপর কর্তৃত্ব নিয়ে ঝগড়াঝাটি। শেষ পর্যন্ত দুজনার মধ্যে হয়ে যায় বিচ্ছেদ। স্ত্রী লিপিকে আবারও আপন করে পেতে অনেক চেষ্টা করে বাচ্চু। শেষ পর্যন্ত দুজনের মধ্যে একটা বোঝাপড়া হয় যে বাচ্চু লিপির কথামতো চলবে এবং তার সমস্ত বেতনের টাকা লিপির হাতে তুলে দিবে। কিন্তু এতে ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়েন বাচ্চু।
নিজের হাতে কোন টাকা পয়সা না রাখতে পেরে এবং স্ত্রীর কর্তৃত্বপরায়ন ব্যবহার তাকে ুব্ধ ও হতাশ করে তুলে। হতাশা আর ঝগড়া থেকে ােভের এক পর্যায়ে স্ত্রী লিপিকে উপর্যুপরি ছুরির আঘাতে খুন করেন তিনি। খুন করার চার ঘন্টা পর নিজেই নর্থ কেন্ট পুলিশ ষ্টেশনে গিয়ে বলেন যে তিনি স্ত্রীকে খুন করেছেন। মেইড ষ্টোন ক্রাউনকোর্ট দীর্ঘ শুনানী শেষে বাচ্চুকে ১৪ বছরের জেলদন্ডে দন্ডিত করেন। লিপি সুপার মার্কেট চেইন মাক্স এন্ড স্পেন্সার এ চাকুরি করতেন।
ছুরিকাঘাতে মারা যাওয়ার সময় লিপি তিন মাসের অন্তসত্বা ছিলেন। এই ঘটনা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী কম্যুনিটিতে প্রচন্ড আলোড়ন তুলেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।