মিডিয়ার হলুদ সাংবাদিকতার উপর আর আস্থা নাই। গত কয়েক দিন যাবত ওরা যেভাবে খবর প্রচার করে আসছে তাতে করে আর মিডিয়ার উপর কোন ভাবেই আস্থা রাখা যয় না। গতকালের হরতাল নিয়েই দেখেন নিউজ দেখব, খুব সুন্দর করে বলবে জনগনের প্রতিরোধে হরতাল ব্যার্থ হয়েছে। অথবা কোথাও বলবে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়েছে আজকের হরতাল। তাই এদের কথা শুনে লাভ নাই ।
নিজের চোখে যা দেখি তাই বিশ্বাস করি। আমার অফিস একেবারে ঢাকার একটি ব্যাস্ততম মহা সড়কের পাশে। অন্যান্য হরতালের চেয়েও আমার মতে আজরেকর হরতাল অনকে সফল হয়েছে। যেখানে সরকার আর তার পোষা পুলিশ নামের অমানুষ গুলো পাখির মত গুলি করে মানুষ মারছে তার পরও হরতাল সফল হয়েছে। সকাল থেকে বের হতেই সরকার দলীয় আওয়ামী লীগের নেতা খেতাদের দেখলাম হরতাল ঠেকানোর জ্ন্য তারা খুব ভোরেই মনে হয় ঘুম থেকে উঠে পড়েছে।
তারপর রাস্তায় রাস্তায় মিটিং মিসিল করল। এরপরও হরতাল সফল হল। রাস্তায় প্রাইভেট কার খুব একটা চোখে পড়েনি। দুর পাল্লার বাস ছাড়েনি মহাখালি থেকে যদিও একাত্তর টেলিভিশন বলছে যে, গতকাল নাকি দুর পাল্লার বাস চলাচল করেছিল। আর বাস সল্পতার জন্য অফিসের লোক জন দুপুরের দিকে আসলো।
এটাতো আরো পজিটিভ দিক যে মারামারি আর হাঙমা ছাড়াই জনগনের দাবি হরতাল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আর সরকার যেখানে বিজিবি মোতায়েন করছে তাতে করে তো একথা আরো স্পষ্ট হয়ে যায় যে সরকার দুর্বল হয়ে পড়েছে, এবং পুলিশ বাহিনী দিয়ে আর পারছে না। ক্ষমতার মসনদ কেপে উঠেছে, যেকোন সময় ভেঙে উঠতে পারে পুরো সরকার ব্যবস্থা। মিডিয়ার হলুদ সাংবাদিকতার কথা আর কি বলব, দেশের সীমান্তে যেভাবে ভারতীয়রা আমাদের জনগনকে যেভাবে পাখির মত গুলি করে মারছে অথচ মিডিয়ায় এটার ব্যাপারে কোন খবর নাই। উল্টো সরকার সেই বিজিবিকে ঢাকায় ও চট্রগ্রামে মোতায়েন করছে।
সীমান্ত ফাকা রেখে সীমান্ত বাহিনীকে দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যে কত কঠিন হবে আওয়ামী সরকারের জন্য তা খুব শিগ্রই তারা বুঝতে পারবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।