আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে নিজ থেকে খাচায় ঢুকল "বাংলার খল ডিপজল"।



তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ২৪ Click This Link অবশেষে পুলিশের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছেন পুলিশ পেটানো মামলার পলাতক আসামি চলচ্চিত্র অভিনেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোয়ার হোসেন ডিপজল। মামলার পর বারো দিনের পলাতক থেকে নানা নাটকীয়তার জন্ম দেওয়ার পর পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন তিনি। রোববার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় আত্মসমর্পণ করেন ডিপজল। এসময় তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি আত্মসমর্পণ করলাম। ঈদের আগের দিন গত ১৬ নভেম্বর সকালে রাজধানীর গাবতলী পর্বত সিনেমা হলের সামনে তিন রাস্তার মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আলতাফ উদ্দীনকে পিটিয়ে জখম করে নতুন করে আলোচনায় উঠে আসেন ওই এলাকারই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

ওই দিন বিকেলেই পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে কনস্টেবল আলতাফ বাদী হয়ে ডিপজলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন রাজধানীর দারুস সালাম থানায়। তার সন্ধানে গত ১২ দিন রাজধানীর ও পাশ্ববর্তী এলাকায় সাড়াঁশি অভিযান চালিয়ে-ও ডিপজলের হদিস পায়নি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা খান বাংলানিউজকে জানান, ডিপজলকে গ্রেপ্তারে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য তার ব্যবহৃত সকল মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা হয়। তবে তার ব্যবহৃত ফোনগুলোর সংযোগ বন্ধ থাকায় সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা যায়নি। দারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মালেক বাংলানিউজকে জানান, মামলার পর গাবতলীর কোটবাড়িতে তাঁর নিজের বাড়ি, ডিপজল সপরিবারে যেখানে অবস্থান করেন পুরোনো ডিওএইচএসে তার ফ্যাট, সাভারের ফুলবাড়িয়ার স্যুটিং স্পট, জিঞ্জিরার শ্বশুরবাড়ি ও আদাবরে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।

এ ছাড়া এফডিসিসহ সম্ভাব্য স্থানগুলোতে বাড়ানো হয় গোয়েন্দা নজরদারি। ডিপজল সাভারে অবস্থান করছেন-এমন তথ্যের ভিত্তিতে সাভারের ফুলবাড়িয়ায় ফাহিম স্যুটিং স্পট নামে তার নিজের স্যুটিং স্পটে অভিযান চালানো হয় তবে কোথাও তার হদিস পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, পুলিশের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ডিপজলের ঘনিষ্ঠদের চাপ দেওয়া হয়। বলা হয়, ডিপজলকে আজ না হোক কাল গ্রেপ্তার হতেই হবে, তার চেয়ে ভালোয় ভালোয় সে পুলিশের হাতে ধরা দিলে কিছুটা হলেও সহানুভূতি পাবেন। ডিপজলকে ঘনিষ্টরা বিষয়টি তাকে জানালে সেখান থেকে ইতিবাচক মনোভাব পাবার পরই শুরু হয় দৌড়ঝাপ।

সূত্রমতে, ডিপজলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি পুলিশের জন্যে প্রেস্ট্রিজ কর্নসান হওয়ায় একপর্যায়ে মতাসীন রাজনৈতিক দলের একাধিক সাংসদ ধর্ণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে। তবে সেখান থেকে ইতিবাচক মনোভাব না আসায় শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মহানগর পুলিশের মিরপুর জোনের উপ কমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘হতে পারে। ’ উল্লেখ্য গত ১৬ নভেম্বর গাবতলী তিন রাস্তার মোড়ে ডিপজলের গাড়িটি থামানোর সংকেত দেন ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু গাড়িটি সংকেত না মেনে মূল সড়কে চলে আসে।

এ সময় ভিড়ের মধ্যে কনস্টেবল আলতাফ গাড়িটি থামান। ডিপজল এতে প্তি হয়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে এসে ওই ট্রাফিক সদস্যের ইউনিফর্মের কলার চেপে ধরেন। এরপর অকথ্য গালাগালি করে তাঁকে চড়-থাপড় ও পিস্তল বের করে হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ওই ট্রাফিক পুলিশ। আহত অবস্থায় তাকেকে উদ্ধার করে তাকে ভর্তি করা হয় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে। এ ব্যাপারে আত্মসমর্পণের আগে যোগাযোগ করা হলে মনোয়ার হোসেন ডিপজল বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার জন্যে আমি অনুতপ্ত ও দু:খিত।

আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি আত্মসমর্পন করতে যাচ্ছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।