হাঁটি হাঁটি পা পা করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গতকাল ঊনিশ পেরিয়ে বিশে পা দিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ঊনিশ-বিশ বছর খুব একটা বেশি সময় নয়। তথাপি উল্লেখ করার মতো গালভরা কিছু অর্জন আছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের। ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় 'স্থাপত্য', 'কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং', 'ব্যবসায়ে প্রশাসন' এবং 'গ্রামীণ ও নগর পরিকল্পনা' - এই ৪টি ডিসিপ্লিন (বহুল প্রচলিত 'ডিপার্টমেন্ট' কে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ডিসিপ্লিন' বলা হয়) নিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ৫টি স্কুল (প্রচলিত 'ফ্যাকাল্টি')-এর আওতায় ১৮টি ডিসিপ্লিন এবং ১টি ইনিস্টিটিউটে সর্বমোট ৪ হাজারের অধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনা করছে।
ডিসিপ্লিনসমূহ হল
সাইন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি স্কুল
স্থাপত্য ডিসিপ্লিন,
কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন,
গ্রামীণ ও নগর পরিকল্পনা ডিসিপ্লিন,
ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন,
গণিত ডিসিপ্লিন,
পদার্থবিদ্যা ডিসিপ্লিন,
রসায়ন ডিসিপ্লিন।
ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায়ে প্রশাসন স্কুল
ব্যবসায়ে প্রশাসন ডিসিপ্লিন।
লাইফ সাইন্স স্কুল
এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন,
বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন,
ফিসারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন,
ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন,
সয়েস সাইন্স ডিসিপ্লিন,
পরিবেশবিদ্যা ডিসিপ্লিন,
ফার্মেসী ডিসিপ্লিন।
কলা ও মানবিকবিদ্যা স্কুল
ইংলিশ ডিসিপ্লিন।
সামাজিক বিজ্ঞান স্কুল
সোসিওলজি ডিসিপ্লিন,
অর্থনীতি ডিসিপ্লিন।
চারুকলা ইনিস্টিটিউট
অবকাঠামো হয়ত মন জুড়ায় না, উদ্ভাবন হয়ত দৃষ্টি আকর্ষণ করে না, কিন্তু শিক্ষা-গবেষণায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গর্ব করার মতো অর্জন। সেশনজট নেই, রাজনীতি নেই, অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই। অপরিপক্কতা আর অসাবধানতার কিছু অসংলগ্নতা রয়েছে, সময়ের সাথে যা হারিয়ে যাবে অপ্রয়োজনের অপ্রচলনে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী আরো শুভ হোক, আলোকময় হোক এই কামনা রইল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।