আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েদের দাড়ি-গোঁফ হয় না কেন?

আমি একজন মেকানিক্যাল ইন্জ্ঞিনিয়ার

প্রকৃতি কতগুলো নিজস্ব বিচিত্র নিয়ম মেনে চলে। কোনো জীবের সারা শরীরে রোম, কারো বা দুটো পাখা। মোটামুটি স্তন্যপায়ী জীবের শরীরে রোম আর পাখিদের হয় পাখা। একদিকে চুল যেমন শরীরের উষ্ণতাকে বজায় রাখে তেমনি আবার রোদের ঝলসানি থেকেও বাঁচায়। স্পর্শের অনুভবে সাহায্য করে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, পুরুষদের দাড়ি গোঁফ হয় কেন, আর মেয়েদের হয় না? এর উত্তরটা দেখা যাক। জন্মের সময় বাচ্চাদের শরীরের হালকা রোম থাকে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ তা কড়া হয়ে উঠে। ছেলেমেয়েদের যৌবনোদ্গম ঘটে এগারো থেকে ১৩ বছর বয়সের মধ্যে। এই বয়সেই দেহের বিভিন্ন যৌন গ্রন্থীগুলো বাড়তে দেখা যায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ আর অন্যান্য যৌনগ্রন্থি এন্ড্র্রোজেন (androgen) নামে এক রকম যৌন হরমোন তৈরি করে শরীরে ছাড়তে থাকে।

মেয়েদের বেলায় তাদের অণ্ডাশয় থেকে যে যৌন হরমোন বের হয় তার নাম এস্ট্রোজেন (oestrogen)। যৌবনোদ্গমে এন্ড্রোজেনের কাজ হলো মুখে, বুকে চুল দাড়ির জন্ম দেওয়া, কণ্ঠস্বর ভারি করে তোলা। আর এস্ট্রোজেনের কাজ হলো মেয়েদের স্তনের আকার বড় করা। স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই শরীরে এই হরমোনগুলো অনেক অদল-বদল ঘটায়। একদিকে মেয়েদের শরীর যেমন কমনীয় হয়ে উঠে, অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে হয় কিছুটা কর্কশ।

এক ধরনের এস্ট্রোজেনের নাম হলো প্রোজেস্ট্রোজেন (progestrogen) যার কাজ হলো গর্ভ নিয়ন্ত্রণ করা। তাহলে দেখা যাচ্ছে, এন্ড্রোজেন ক্ষরণ না হওয়ার ফলে মেয়েদের দাড়ি গোঁফ হয় না।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।