আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুদা'র বেহুদা বচন!

আসুন আমরা সবাই একটি পরিচয়ে একাত্ব হয়। পরিচয়টি হলো 'বাংলাদেশী'।

আবার শুরু হয়েছে হুদা'র বেহুদা বচন। উনি ভাল আইনজীবি-আইন পেশায় বেহুদা কথা চলে। কারনে অকারনে মিথ্যা বা সত্যকে জোর গলায় বিশ্বাসযোগ্য বা অবিশ্বাসযোগ্য তথ্য দিয়ে প্রমান করতে পারলেই হলো।

রাজনীতিতে এসব চলে কী! না, চলে না। উনি এখন মিডিয়া সম্রাট হতে চাচ্ছেন। আওয়ামী মিডিয়া উনাকে এখন পামপট্রি দেবে, উনি বেহুদা বকবক করেবেন। অবশ্য অতীতেও এমন করেছেন। এতে কিছু্ এসে যায়না।

তবে উদ্বেগের কারন হলো, এই বয়সে এমন রাজনৈতিক অপরিপক্কতা উনার কাছ থেকে আশা করি নাই। উনি এতই বিচক্ষণ হয়ে উঠেছেন যে, মূল্যবান কথাগুলো দলের নেতাদের সাথে বা উচ্চ কমিটিতে আলোচনা না করে মিডিয়া বন্ধুদের বেঁছে নিয়েছেন। তার উপদেশ হয়তো কাজে আসতো। কিন্তু কেনো উনি সঠিক যায়গায় বলেন না? দলের শৃঙ্খলা মেনে চলেন না? দলের হয়ে যখন কথা বলেন, তা আবার যদি হয় বড় কোনো ইস্যু নিয়ে, তখন উনার ভাবা উচিৎ সেটা দলের সামগ্রীক মঙ্গলের জন্য কতটা যুক্তিযুক্ত। ভাল বা মন্দ, সত্য বা অসত্য যা বলার তা প্রথমে দলের সিনিয়রদের সাথে আলাপ করা অবশ্যই জরুরী ছিল।

আপনি দলের ফোরামে ঝগড়া করুন, বিবাদ করুন; তারপর একশত বার পদত্যাগ করুন। সেটা গণতান্ত্রিক ও বিচক্ষণতার পরিচয় বহণ করবে। এভাবে মিডিয়ায় কাছে বেহুদা আস্ফালন আপনার সুস্থু বুদ্ধিবৃত্তির পরিচায়ক নয়। আমার মনে হয়, এই বহিষ্কারাদেশ মেনে নিয়ে, আপনি (নাজমূল হুদা) দল থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় হোন। অবসরে বই-টই কিছু একটা লিখে ফেলুন।

আপনার মন্ত্রীত্বের কুফল-সুফল--এইসব কিছুএকটা। প্রকাশক লাগবে না। আপনি নিজেই ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন ইনশাল্লাহ্। আল্লাহ্ আপনাকে কম দিয়েছে কী, বিএনপিও তো কম দেইনি। যাহোক, এই সব বেহুদা বকবক না করে, দয়া করে গঠনমূলক কথা বলুন।

মিডিয়া আপনাকে ডুবিয়েছে, আরও ডুবাবে। কামনা করি আপনি সুস্থু থাকুন, ভাল থাকুন; আর বই লেখুন। আমরা পড়ে আপনার দৌড় বুঝতে চাই। মিডিয়াতে চঞ্চলমতি বেগুদা বচন বন্ধ করুন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।