আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুহম্মদ নূরুল হুদার ডিম

মোহাম্মদ শাহাব উদ্দীন স লি মু ল্লা হ খা ন আমার জন্ম কক্সবাজার জলোয়। কহে যদি আমাকে জজ্ঞিাসা করনে এ জলোর ত্রসিীমানায় শ্রষ্ঠে কবি ক,ে আমি বলবি নঃিসন্দহেে তনিি কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। কক্সবাজার জলোয় জন্মগ্রহণকারী সকল কবি ও লখেকরে মধ্যে নঃিসন্দহেে তনিইি শ্রষ্ঠে। কয়কে বছর আগে তাঁহার লখো একটি সুপুষ্ঠ গ্রন্থ ‘ষাট বছররে কবতিা’ নাম ধারণ করয়িা বাহরি হইয়াছ। ে ‘ষাট বছররে কবতিা’ কথাটার অনকে র্অথ দাঁড়ায়।

এক র্অথ ষাট নম্বর বছরে লখো কবতিা, আরকে র্অথ ষাট বছর ধরয়িা লখো কবতিা। ষাট বছর বয়সে আসয়িা যনিি এক বছরে হাজার পাতার কবতিা লখিতিে পারনে তনিি সামান্য মানুষ নহনে। আর ষাট বছর ধরয়িা লখিতিছেনে তনিি এই র্অথ ধরয়িা লইলে কবুল করতিে হয় মায়রে পটে হইতে নাময়িাই তনিি লখো ধরয়িাছলিনে। তনিি তাঁহার কবতিার সমান বয়সী। খুব কম কবরিই এমন ভাগ্য! আমি যতদূর জান,ি তনিি কম করয়িা হইলওে চল্লশি বৎসর ধরয়িা লর্খিতিছেনে।

গত ইংরজেি ১৯৭২ সালে তাঁহার প্রথম গ্রন্থ যখন বাহরি হইল তখন আমি উচ্চ বদ্যিালয়রে দরজা পার হই নাই। তাঁহার বাড়ি আমার বাড়রি নকিটে বলয়িা আমি কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকে বশিষে আত্মীয় ধরয়িা লইয়াছলিাম। তখনও তাহাকে সাক্ষাতে দখেতিে পাই নাই। ‘শোণতিে সমুদ্রপাত’ গ্রন্থে একটি কবতিা ছলি ‘ফস্টাস এখন নরক’ে নাম। ে আমার দাদা চট্টগ্রাম বশ্বিবদ্যিালয়ে ইংরজেি সাহত্যি পড়তিনে বলয়িা আমি উচ্চ বদ্যিালয়রে ছাত্রাবস্থায় ক্রস্টিোফার র্মালাের ডক্টর ফসটাস নাটকরে নাম ও ঘটনা জানতিাম।

তাই মুহম্মদ নূরুল হুদার কবতিা পড়য়িা আমি উদ্বৃত্ত মজা পাইয়াছলিাম। পরে একদনি জানয়িা থাকবি যে তনিওি ইংরজেি সাহত্যি পড়তিনে। মুহম্মদ নূরুল হুদা আবষ্কিার করয়িাছলিনে : ‘দশম গ্রহরে আগে এ র্বাতাই আবষ্কিৃত হলো ফস্টাস এখন নরক। ে’ আমার বশে আমোদ লাগতিছেলি। অন্তত একটা ঠকিানা তাঁহার হইয়াছ।

ে মুহম্মদ নূরুল হুদা কনে সবিলি র্সাবসিে গলেনে না? এই প্রশ্ন আমি মধ্যে মধ্যে না করয়িা পারি নাই। কথাটা জাহরি করতিছেি সত্যরে খাতরি। ে ১৯৭৬ সালরে কোন এক সময়ে তাঁহার সহতি আমার প্রথম দখো হইল ঢাকায়। তনিি তখন বাংলা একাডমেীতে র্কমরত। তনিি কনে বশ্বিবদ্যিালয়রে শক্ষিক হইলনে না জজ্ঞিাসা করয়িা সদুত্তর পাই নাই।

১৯৬৪ সালে তনিি সে যুগরে প্রবশেকিা বা এসএসসি পরীক্ষায় দুই কি এক নম্বরে দাঁড়াইয়া পাস করয়িাছলিনে বলয়িা শুনতিাম। উত্তর পাই নাই এই প্রশ্নরেও। এই জাতীয় ভাল ছাত্ররা তো সরকাররে চাকরি করনে কংিবা কপালগুণে বশ্বিবদ্যিালয়রে জোয়াল পরধিান করনে। মুহম্মদ নূরুল হুদা কনে বাংলা একাডমেীর মতো আধা সরকারি দফতররে কাফন পরয়িা জীবন শুরু করলিনে? উত্তর পাই নাই এ প্রশ্নরে ও। আর একটা প্রশ্ন।

মুহম্মদ নূরুল হুদাও কি এখন নরক?ে নরক জায়গাটা দখেি নাই। কন্তিু কমবশেি তরিশি-চল্ল¬িশ বছর ঢাকা শহরটা দখেতিছে। ি তাই বলবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এখন ফস্টাসরে প্রতবিশেী। উইলয়িাম ব্লকে কহয়িাছলিনে নরক জায়গাটা খানকি লন্ডন শহররে মতন। সইে লন্ডন কি আজকিার ঢাকার চাহতিওে খারাব ছলি? যাই হোক, মুহম্মদ নূরুল হুদার কবতিা পড়া আমি এক প্রকার ছাড়য়িাই দয়িাছলিাম।

এই গত বৎসর যখন তাঁহার পতিা মহোদয় অনন্ত যাত্রার প্রস্তুতি লইতছেলিনে তখন আবার তাঁহার একগাছি কবতিা পড়লিাম। পড়য়িা বুঝলিাম মুহম্মদ নূরুল হুদা মরনে নাই। তনিি বাঁচয়িা আছনে এবং আছনে সইে নরক। ে এই নরকরে অপর নাম জীবন, প্রাণ অথবা খ্যাত। ি আমি যখন ছাত্র মাত্র তখন একবার তাঁহার কবতিা পড়য়িা মুগ্ধ হইয়াছলিাম।

আজ আরকেবার পড়য়িা বুঝলিাম তাঁহার ছুটি হয় নাই। তনিি এখনও মুগ্ধ করতিছেনে। সকল কবরিই কছিু শ্রষ্ঠে কবতিা থাক। ে মানে তাঁহার সকল কবতিা সমান মাপরে হয় না। মুহম্মদ নূরুল হুদা হুদার কবতিাও এই নয়িমরে ব্যতক্রিম নহ।

ে কারণ তনিি অনকে লখিয়িাছনে। তনিি আমাদরে জলোর শ্রষ্ঠে কব। ি আমি তাঁহার অক্ষম অনুসারী মাত্র। আমি তাঁহার মতন ডমি পাড়তিে পারি নাই, এ কথা সত্য। কন্তিু তাঁহার ডমি যে আকারে অনকে বড় একথা বলতিে অন্যায় কোথায়? ২৬ সপ্টেম্বের ২০১১ (নোট :লখোটি লখেক র্কতৃক সংশোধতি) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।