তোমাকে ভাবাবোই সংগৃহিত :
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা যেন চরম অস্থিরতার সমার্থক এক নাম। কখনো দলীয় প্রধানের সমালোচনা, কখনো বিদেশি কূটনীতিকদের কটাক্ষ, নয়তো দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বা বিচারপতিদের দরোজায় লাথি মেরে সমালোচিত হওয়া যেন তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এসবের জন্য অনেকবারই মাশুল গুনতে হয়েছে বহু বিতর্কের এই খলনায়ককে।
সর্বশেষ বুধবার বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আরো একবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এই অঘটন ঘটন পটিয়স রাজনীতিক।
এর আগে লাগামহীন বক্তব্যের দায়ে বিএনপি ও গ্রুপিং করে জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার নজির যেমন গড়েছেন, তেমনি নির্বাচিত হওয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার উদাহরণও আছে তার।
দুর্নীতি, অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন, ঘুষ, চাঁদাবাজি আর অস্ত্র মামলায় কারাবাসে থেকেছেন বহুদিন। আবার কারাগারে থেকেই তুলেছেন বিএনপির বিকল্প কমিটির প্রস্তাব। এমনকি সেনাপ্রধানকে রাষ্ট্রপতি করার বিধান সংবিধানে সংযোজনের বহুল আলোচিত দাবিও তিনিই তোলেন।
এসব কারণে দলীয় পরিমণ্ডলে যেমন সমালোচিত হয়েছেন, তেমনি জনমনে যথেষ্ট হাসির খোরাক যুগিয়েছেন বিতর্কিত এই আইনজীবী। এমনকি আদালত তাকে ‘রঙ হেডেড’ আর ‘ওয়ার্থলেস’ আখ্যা দেন তাকে।
এমন সব হঠকারী কর্মকাণ্ডের জন্য ভোগান্তিটাও নেহায়েত কম হয়নি নাজমুল হুদার। তাই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে দলটির স্থায়ী কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে তার রাজনৈতিক নবযাত্রা শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে নানা কৃতকর্মের জন্য দলের মধ্যেই সাইড লাইনার হয়ে বসে থাকতে হয় তাকে।
১৯৮০ দশকের গোড়াতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় এলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়েও তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন হুদা। এ ঘটনার জের ধরে `৮৪ সালে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে এসে হুদাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য তালিকা থেকে বাদ দেন। ভুল স্বীকার ও ক্ষমা প্রার্থনা করায় অবশেষে ’৮৭ সালে ফের দলের ভাইস-চেয়ারম্যান করা হয় তাকে।
তথ্যমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৯৫ সালে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান নেন।
সে সময় তিনি বলেন, ‘আমরা এরশাদের বিরুদ্ধে তরুণদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলাম। ’
এমন বক্তব্যের পর মন্ত্রিত্ব হারালেও সে যাত্রা দলীয় পদ টিকে যায় নাজমুল হুদার।
যোগাযোগ মন্ত্রী থাকাকালে ২০০২ সালের ২৫ আগস্ট রাজধানীর যানজট নিরসন ও পরিবেশ দূষণকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুবিধার্থে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার প্রস্তাব করে দলের মধ্যেই বিরাগভাজন হন হুদা। ২০০২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর চার দলীয় জোট সরকারের নেওয়া উপজেলা পরিষদ পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও প্রবল অবস্থান নিয়ে সতীর্থদের রোষানলে পড়েন তিনি।
২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি জিয়াউর রহমানকে অবমূল্যায়ন ও বিএনপির মূল ভিত্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য মন্ত্রিসভা থেকে নাজমুল হুদাকে অপসারণ ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন দলেরই অপর সংসদ সদস্য মাহী বি চৌধুরী। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে একাত্তরে পাকিস্তানের অখণ্ডতা চেয়ে জামায়াত কোনো অপরাধ করেনি বলেও বক্তব্য দিয়েও বিতর্কিত হন তিনি।
তার সময়েই যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে চিহ্নিত করে টিআইবি। তার জন্যই এশিয়ান হাইওয়ের কাজ আটকে যায় বলে অভিযোগ আছে।
একদিকে ২০০৬ সালে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাসকে `স্টুপিড` ও `চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী` আখ্যা দিয়ে কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার লংঘনের দায়ে অভিযুক্ত হন হুদা।
২০০৮ সালের ১৫ এপ্রিল কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় তার আইনজীবীর মাধ্যমে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) সরকারের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপির ১২ জনের বিকল্প কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন তিনি।
২০০৯ সালের ৩ মে এক জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের আহবান জানিয়ে বলেন, ``এ কমিটির অনেকেরই স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া উচিত। ``
একই বছরের ২৩ মে মহাসচিব হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করে মহাসচিব নিয়োগে খালেদা জিয়ার একক ক্ষমতার সমালোচনা করেন তিনি।
ওই বছরেরই ২ জুলাই তাকে ``রঙ হেডেড পারসন`` ও ``ওয়ার্থলেস`` আখ্যা দেন তৎকালীন বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদের বেঞ্চ।
সে বছরেরই ১৯ ডিসেম্বর এক জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ``বিএনপির রাজনীতি আর নয়, এবার ডিগবাজি দেবো।
ডিগবাজি দিলে বিএনপিতে মূল্যায়ন হয় বেশি। ``
ওই সময় আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগও করেন তিনি।
২০১০ সালের ২২ আগস্ট দুই নেত্রীকে একত্রে বসানোর উদ্যোগ নেন নাজমুল হুদা। এ লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে শুরু করেন ছোটাছুটি।
একই বছরের ১৯ নভেম্বর তিনি বলেন, ``আইনজীবীদের ভুলের কারণেই খালেদাকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে।
অবশ্যই হাইকোর্টের আদেশের বিরদ্ধে স্থগিতাদের চাওয়া প্রয়োজন ছিলো। ``
ওই বছরেরই ২১ নভেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, খালেদা জিয়ার সমালোচনা ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ভুল স্বীকার করে ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর বিএনপিতে ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানান তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ফিরিয়ে নেওয়া হলেও ভাইস-চেয়ারম্যান পদ আর ফিরে পাওয়া হয়নি তার।
গত ২৩ মে শেখ হাসিনাকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি আহবান জানান তিনি।
এ আহবানে বিএনপি প্রধান সাড়া না দেওয়ায় বুধবার বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
এর আগে ২০০১ সালের ১১ জানুয়ারি দুই বিচারপতির শপথগ্রহণকালে বিচারপতিদের দরজা-জানালায় লাথি মেরে ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে আরো ১৬ জনের সঙ্গে নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেও জননিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। একই বছরের ১৬ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে মালামাল ক্রোক করার নির্দেশ দেন আদালত।
২০০৫ সালের ১০ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাসমালিক-শ্রমিকদের এক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েও সাংবাদিকদের বের করে দেন তিনি। সে সময় তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃত করার অভিযোগ তোলেন।
প্রতিবাদে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)সহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন নাজমুল হুদার খবর বয়কটের আহবান জানান।
২০০৫ সালের ১৮ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ``ভালো উদ্যোগ নিলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বাধা সৃষ্টি করা হয়`` বলে মন্তব্য করে ফের বিতর্কিত হন নাজমুল হুদা।
সর্বশেষ বিএনপি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী থাকাকালে ``বর্তমান সরকারের আমলে বিচার বিভাগ পৃথক হবে না`` বলে মন্তব্য করেও সমালোচিত হন তিনি। এছাড়া তার বুলেট ট্রেন, পাতাল রেল ও ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস হাইওয়ের ঘোষণা পরবর্তী সময়ে স্রেফ বাগাড়ম্বর বলে প্রমাণিত হয়।
২০০৫ সালের ৩ আগস্ট সরকার সমর্থক আইনজীবীদের কোন্দলে যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদাকে বহিষ্কার করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
জবাবে নাজমুল হুদা ও তার সমর্থকরা ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখা কমিটি বিলুপ্ত করে পাল্টা কমিটি গঠন করেন। এর ফলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আহবায়কের পদ হারান নাজমুল হুদা।
এ সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মাথায় জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে ফিরে এসে ২০০৬ সালের ২০ জানুয়ারি পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এ পদত্যাগের পর সাংবাদিকদের দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ``হাই কমান্ড নয়, আমি হাইয়েস্ট কমান্ডের কথায় চলি। ``
এ সবের বাইরে দুর্নীতি, ঘুষ কেলেঙ্কারি, অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন, চাঁদাবাজি আর অবৈধ অস্ত্রবাজিরও এন্তার অভিযোগ রয়েছে নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে।
২০০৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তার ধানমণ্ডির বাসায় অভিযান চালিয়ে ৩২ বোরের একটি পিস্তল ও ১৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয় ধানমণ্ডি থানায়। এরপর তার বিরুদ্ধে হয় দুর্নীতির মামলাও।
সড়ক ও জনপথের ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১০ জুন তার বিরুদ্ধে মামলা হয় মুন্সীগঞ্জ থানায়।
২০০৭ সালের ১১ মার্চ নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মামলা হয় ধানমণ্ডি থানায়।
এ মামলা থেকে স্ত্রীর অব্যাহতি চেয়ে আদালতে কেঁদে ফেলেন হুদা।
একই বছরের ২৭ আগস্ট হুদাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও তার স্ত্রীকে ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ঘুষের টাকা তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে জব্দ করার নির্দেশ অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
ওই মামলায় কারাবাসে থাকাকালে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর নতুন ফর্মুলা দিয়ে সেনাপ্রধানকে রাষ্ট্রপতি করার বিধান সংবিধানে সংযোজন করার আহবান জানান তিনি।
৫ জুন ২০০৭ সালের ৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয় পল্টন থানায়।
২০০৭ সালের ১০ জুলাই এক মামলায় সাক্ষীদের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা প্রভাবিত করছেন মর্মে অভিযোগে আদালত বর্জনের হুমকি দেন তিনি। পরদিন ১১ জুলাই হুদা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৮ কোটি ২ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
২০০৭ সালের ১৩ জুলাই বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার মহাসচিব পদ থেকে সিগমা হুদা ও জাতীয় কমিটির সদস্য পদ থেকে নাজমুল হুদাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০০৭ সালের ২৯ জুলাই হুদা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন তারই রাজনৈতিক সতীর্থ জিএম সিরাজ।
২০০৮ সালের ৯ জানুয়ারি ৭ কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
২০০৭ সালের ১১ জুলাই দায়ের করা দুদকের মামলায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের দায়ে ব্যারিস্টার হুদাকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল। একই সঙ্গে তাকে ১ কোটি টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরে ১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই রায়ে অবৈধভাবে উপার্জিত ১ কোটি ১৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও দোহারের বাগানবাড়ি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
এছাড়া জোট আমলে দোহারে ৬০ কোটি টাকা অবৈধ ব্যয়ের আভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
ভৈরব সেতু নিয়ে ১০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে ২০১০ সালের ৫ মে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। ৬ এপ্রিল রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।
নাজমুল হুদার এসব হঠকারী আচরণ কেবল দলীয় পরিমণ্ডলে নয়, পারিবারিক বলয় পর্যন্তও বিস্তৃত বলে জানা যায়।
২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা-১ (দোহার) থেকে আওয়ামী লীগের ব্যানারে নির্বাচনে নামা চাচা সালমান এফ রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, ``তার বিবেক বলে কিছু নেই। ``
**বিএনপি বিটের সাবেক সাংবািদক-প্রতিবেদক জাকারিয়া মণ্ডলকে িবশেষভাবে ধন্যবাদ।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।