আমার রেসিপি'র সংগ্রহ, আপনাদের জন্য (www.vulusrecipe.com)
গরুর মগজ ভুনা রেসিপিটি দেখার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। মজার ব্যাপারকি জানেন? - আমার ব্লগস্পটের ব্লগে সাধারণত ভিজিট হয় প্রতিদিন ৮০-১২০টি, এর মধ্যে বেশকিছু পাঠক আসেন সামুব্লগ থেকে, কেউ নিয়মিত পাঠক। কিন্তু সর্বশেষ গরুর মগজ ভুনা রেসিপিটির জন্য সাইটের পেইজ ভিজিট হয়েছে ২১২ বার, আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে গুগলের সার্চে একেবারে টপে আছে এই গরুর মগজ ভুনা রেসিপিটি। ব্লগস্পটে সপ্তাহের জনপ্রিয় রেসিপি লিস্টটা দেখলেই বুঝবেন। - এজন্য সবাইকে আবারো অনেক ধন্যবাদ।
আজকে নিয়ে এলাম - গরুর কলিজা ভুনা রেসিপিটি।
অনেকেই হয়ত কলিজা খেতে পছন্দ করেননা, তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম আগেই। আপনাদের এই অপছন্দের যে কারণই থাক, আমার মনে হয়েছে কলিজা রান্নার পর এর কাঁচা (আঁশটে) গন্ধটাই হয়ত অনেকের বিরক্তির কারণ। তবে আমার হাতে কলিজা রান্না আমার ঘরে সবাই খুব পছন্দ করেন। অনেক আগে ঈদের দিন শ্বাশুড়ি কলিজা ভুনা করতেন, তখন একান্নবর্তী পরিবারে গরুর পাশাপাশি অন্তত দুটো খাসী (বা ছাগল) কোরবানী হত।
আমার শ্বশুর নিজ হাতে খাসীর চামড়া ছাড়াতেন, পশু জবাইয়ের ঘন্টা খানেকের মধ্যেই মাংস আর কলিজা পাঠিয়ে দিতেন অন্দর মহলে। ওইদিকে তাজা মাংসের ঝোল, কলিজা ভুনা আর হাতে বানানো চালের রুটি করে সবাইকে ডেকে পাঠানো হত। শ্বশুর তার চার ছেলেকে নিয়ে খেতে বসতেন, তখনো মাংস পুরোপুরি কাটা হয়নি। খাওয়া শেষ করে আবার সবাই চলে যেতেন মাংস কাটতে। দুপুর নাগাদ পুরুষদের সব কাজ শেষ, আর অন্দর মহলে শ্বাশুড়ীর সাথে আমরা প্রায় সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নাগাদ সেই মাংসের বিলি আর রান্নায় ব্যস্ত সময় কাটাতাম।
তখনতো এখনকার মত ফ্রিজ ছিলনা; তাই রান্না করে, জ্বাল দিয়ে আর কখনো রোদে শুকিয়ে মাংস সংরক্ষণ করা হত (মাংস সংরক্ষণের টুকিটাকি নিয়ে একটা লেখা তৈরি হয়ে আছে, সম্ভবত আগামী কোরবানীর ঈদের আগে ওয়েবসাইটে দেব)।
যাই হোক, অনেক গল্প করা হলো, এবার আসুন দেখা যাক কি করে করবেন গরুর কলিজা ভুনা ?
ব্লগস্পটের ব্লগে রেসিপিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।