দেখলে মনে হতে পারে এটি একটি বিশাল কোরবানির গরুর হাট। তবে এটি কোনো হাট নয়, খামার। এখানেই কোরবানির গরুর কেনা-বেচা হচ্ছে। গরু নিতে আসছে শহর ছাড়াও দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে।
দিনাজপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার উলিপুরের মামুদপুর সারওয়ার অটো রাইস মিলের একটি অংশে বিশাল জায়গাজুড়ে রয়েছে এ গরুর খামার।
এখানে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২০০ গরু রয়েছে।
গতকাল গরুর খামারে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানির গরু কেনার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ আসছেন এখানে। খামারের মালিক সারওয়ার আশফাক আহমেদ লিয়ন জানান, তার খামারে ৪০ হাজার টাকা থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ২০০ গরু রয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, তার গরুগুলো মানসম্মত। গরুগুলোকে কখনোই রাসায়নিক কিছু খাওয়ানো হয়নি।
শুধু খুদ, চালের গুঁড়া, গমের ভূষি, খইল, খড় খাওয়ানো হয়েছে। প্রায় আট বছর ধরে তিনি এই খামারে গরু পালন এবং বিক্রি করে আসছেন। তিনি আরও জানান, এ খামার থেকে প্রতি কোরবানি ঈদে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা গরু কিনে নিয়ে যান। অনেকে এ খামারের নিয়মিত গ্রাহকও। এ খামারে গরু কিনতে আসা নোয়াখালীর মো. রজ্জব আলী, মনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক, ঢাকার মিজানুর রহমান, মারেজ আলী, সিলেটের আব্বাস আলী জানান, এ খামারে গরু কিনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
কারণ এখানে কোনো দালাল নেই, গরুকে রাসায়নিক কেমিকেল খাওয়ানো হয় না, ন্যায্যমূল্যে ভালো গরু পাওয়া যায়। তারা অনেকেই এ খামার থেকে প্রতিবছরই কোরবানির গরু কিনেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।