আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাইলের দাম ২২০০ (বাইশ শত) টাকা

Digital Bangladesh Warriors - fb.com/openbd
এই সপ্তাহের মধ্যে এর দাম ৫০০০ পাঁচ হাজার টাকা চাই। এইটাই একমাত্র বাস্তব রাস্তা। ডাইল বন্ধ হউক। সবাই জানে কে কে জড়িত। লিংক দিয়ে সমৃদ্ধ করুন।

সরেজমিন চোরাচালান - ২ ফেনসিডিল কারখানাগুলো শুধুই বাংলাদেশের জন্য হিলি স্টেশনের পেছনে ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলা। স্টেশনের অদূরেই এ জেলার ত্রিমোহনী মোড়। এখানে পুলিশ ফাঁড়িও আছে। এ পুলিশ ফাঁড়ির কাছাকাছিই রয়েছে শন্টু ভৌমিক, টুম্পা ভৌমিক, অনীল আর ফড়িংয়ের ফেনসিডিল কারখানা। অনীল এলাকায় কাকাবাবু নামে পরিচিত।

তার বাড়িতে ঢুকতে গেলে দুর্গন্ধে নিজের অজান্তেই নাক চেপে ধরতে হয়। নর্দমা আর ডাস্টবিনে ঘেরা এ বাড়িতেই বসবাস করে অনীল কাকার ছেলে দুলাল। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। একটি তেল চিটচিটে পর্দা ঝুলছে। দুলাল নিজেই বারান্দায় বসে বালতিতে বানানো ভেজাল আর নকল ফেনসিডিল বোতলজাত করছে।

অনীল জানায়, তাদের কাছে আসল জিনিসও আছে। যারা কম দামে খেতে চায়, তাদের জন্য এই নকল ফেনসিডিলের ব্যবস্থা। ফার্মেসি থেকে কিনে আনা কম দামের কফ সিরাফ, গুঁড়া চা পাতার পানি আর হালকা ঘুমের ট্যাবলেট (পরিমিত) মিশিয়ে নকল ফেনসিডিল বানানো হচ্ছে। অনীলের দাবি, এর মান আসল ফেনসিডিলের চেয়ে খুব একটা খারাপ না। তারা ব্যবহৃত ফেনসিডিলের পুরনো বোতল টোকাইদের কাছ থেকে কিনে নেয়।

এ ছাড়া বাজার থেকে ওই বোতলের মতোই দেখতে অন্য বোতল কিনে এনে নিজেদের ছাপানো লেবেল এঁটে তাতেও নকল ফেনসিডিল ভরে বিক্রি এবং সরবরাহ করে। বিক্রির জন্য আছে নানা কৌশল। এমনকি ফেনসিডিল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন পর্যন্ত বসানো আছে। আর এসবের জন্য স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফকে সপ্তাহ চুক্তিতে রুপি দিতে হয়। বাংলাদেশের দিনাজপুরের হিলি ও জয়পুরহাটের সঙ্গে ভারতের প্রায় ৭২ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।

কালের কণ্ঠের সরেজমিন অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, এই দীর্ঘ সীমান্তের ওপারে অন্তত ৩০টি এবং এপারে অন্তত ৭০টি নকল ও ভেজাল ফেনসিডিল তৈরির কারখানা রয়েছে। কারখানাগুলো সীমান্তের আশপাশের লোকালয়ের বাসাবাড়িতে গড়ে উঠেছে। রাতের আঁধারে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এসব নকল ও ভেজাল ফেনসিডিল প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ হাজার বোতল করে পাচার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। বিডিআর ও সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, ভারতের অভ্যন্তরের ফেনসিডিলের কারখানাগুলো হলো সাইন্দ্যপাড়া, তেরকাতি, শ্রীরামপুর, আগ্রা, গোসাইপুর, নন্দীপুর, হাসপাতাল মোড়, দক্ষিণ পাড়া, সীমান্ত শিখা মোড়, হিলি বাজার, গোবিন্দপুর, ত্রিমোহনী মোড়, চকপাড়া, বকশিগঞ্জ, বৈকণ্ঠপুর, শ্যামবাজার, কামারপাড়া, ঠাকুরকুড়া, ঘাসুড়িয়া ও হাড়িপুকুরে। এসব অবৈধ কারখানা সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত।

এর মধ্যে বড় কারখানাগুলো হচ্ছে হিলি বাজারের দক্ষিণে ভারতের অভ্যন্তরে শন্টু ভৌমিক, টুম্পা ভৌমিক ও ফড়িংয়ের বাড়িতে এবং হাড়িপুকুরের আতিয়ার রহমান, নাজির উদ্দীন, আশরাফুল, মাহবুবুুল আলম ও নজরুলের বাড়িতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের কয়েকজন ফেনসিডিল ব্যবসায়ী কালের কণ্ঠকে জানায়, আসল ফেনসিডিলের ব্যবসায় লাভ যেমন বেশি, ঝুঁকিও তেমনি বেশি। অনেকে লোকসান দিয়ে পথের ভিখারিও হয়ে গেছে। আর এ কারণেই তারা এখন ভেজাল ও নকল ফেনসিডিল তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। জয়পুরহাটের ভুটিয়াপাড়া, কয়া, হাটখোলা, চেঁচড়া এবং দিনাজপুরের হিলি বিওপির উত্তর গোপালপুর, জিলাপিপট্টি, ফুটবল খেলার মাঠ, কালিবাড়ী, রেলওয়ের পিডবি্লউ এলাকা, চেকপোস্ট গেট, ধরন্দা, বাসুদেবপুর বিডিআর ক্যাম্পের অধীনের হিন্দু মিশন, হাড়িপুকুর, মংলা বিশেষ ক্যাম্পের অধীনের রাইভাগ, নন্দীপুর, ঘাসুড়িয়া ও মংলা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার বোতল ভেজাল ও নকল ফেনসিডিল বাংলাদেশে যাচ্ছে।

এ ছাড়া তারা তেলের বড় বড় গ্যালনে করে ফেনসিডিল বাংলাদেশে পেঁৗছে দেয়। সীমান্ত এলাকায় ইদানীং পাইপ দিয়েও ফেনসিডিল পাচার হয় বলে জানা গেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতার দূরত্ব কম হলে সাধারণত চিকন নল বা পানির পাইপ ব্যবহার করা হয়। ওপারে কারখানায় বা কোনো নিরাপদ স্থানে ড্রামে ফেনসিডিল রেখে ওই নল দিয়ে তা ক্রেতার কাছে থাকা পাত্রে সরবরাহ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ফেনসিডিল টেনে নেওয়ার জন্য ইলেকট্রিক যন্ত্রও ব্যবহার করা হয়।

তবে তা খুবই কম। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে জানা যায়, কিছু অভিযানে দেখা গেছে, মাটির নিচ দিয়েও অনেক সময় এ পাইপলাইন পদ্ধতিতে ফেনসিডিল পাচার হয়। সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, শুধু বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যেই এ কারখানাগুলো বানানো হয়েছে। ১০০ মিলিমিটারের বোতলের পাশাপাশি এখন ৫০ মিলিমিটার বোতলেও ফেনসিডিল পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে শুধু ১০০ মিলিমিটার পাওয়া যেত।

বোতলের গায়ে হিমাচল, বেঙ্গালুরু, কলকাতা ও লক্ষ্নৌ লেখা থাকলেও মূলত এগুলো স্থানীয়ভাবেই তৈরি। ১০০ মিলিলিটারের এক বোতল ফেনসিডিলের দাম ৬৫ থেকে ৭২ রুপি এবং ৫০ মিলিলিটারের দাম ৩৫ থেকে ৩৭ রুপি। পাচার হয়ে আসার পর ১০০ মিলিলিটার ফেনসিডিল এলাকাভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢাকায় সেটা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়। সড়কপথে প্রাইভেট গাড়িতে, ট্রেনে, পণ্যবোঝাই ট্রাকে এবং যানবাহনের পাটাতনে বিশেষ ব্যবস্থায়, বোরকা পরা নারীদের শরীরে বেঁধে, কোমল পানীয়র বোতলে ভরে এবং আরো অনেক কৌশলে পাচার হয় ফেনসিডিল।

শিশুদেরও ফেনসিডিল পাচার বা বহনকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। চোরাকারবারিরা ফেনসিডিল পাচারে বিরামপুর, ঘোড়াঘাট, গোবিন্দগঞ্জ, জয়পুরহাট ও বগুড়া রুট ব্যবহার করে টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকায় পাঠাচ্ছে বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, হিলি এলাকায় থেকে ফেনসিডিল ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে মাঠপাড়ার লোকমান হোসেন বেলাল ওরফে হুন্ডি বেলাল, মনতাজ হোসেন, চুড়িপট্টির হযরত আলী সরদার, শামীম সরদার, স্টেশনপট্টির কামাল হোসেন, হিলি বাজারের ফেরদৌস রহমান, পারভেজ, ফকিরপাড়ার সাজ্জাদ, নুর আলম, ফারুক, শাহাবুদ্দিন, সেলিম কমিশনার, নিলামকারী জাহিদ, অপু ওরফে পাবনাইয়া অপু, নোয়াখাইল্যা হারুন, কালীগঞ্জের মোফা, লেবার সুলতান, মধ্য বাসুদেবপুরের কাহের মণ্ডল, রায়হান হাকিম, চণ্ডীপুরের মিন্টু কমিশনার এবং সাতকুড়ির দেলোয়ার। বাংলাদেশের ফেনসিডিল ব্যবসায়ী আরমান আলী ও হযরত (ঢাকার ফুলবাড়িয়া এলাকার) কালের কণ্ঠকে জানায়, ভারত থেকে এসব নিম্নমানের ফেনসিডিল তাদের কেনা পড়ে বড় বোতল (১০০ মিলিমিটার) ৮০ রুপি এবং ছোট বোতল (৫০ মিলিমিটার) প্রায় ৪০ রুপি। কিন্তু ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ, বাংলাদেশের বিডিআর ও পুলিশ (জিআরপি, ডিবি, থানা), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন খাতে টাকা দিতে দিতে সীমান্ত এলাকা পার হয়ে গাড়িতে উঠতেই প্রতি বোতলের দাম দাঁড়ায় চার-পাঁচ শ টাকার মতো।

এরপর মূল গন্তব্যে পেঁৗছাতে পথেঘাটে আরো অনেক খরচ আছে। জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোজাম্মেল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ফেনসিডিল চোরাচালান এখন আগের চেয়ে অনেক কম। বর্তমানে বাজারে চড়া দাম দেখেই বোঝা যায়, সীমান্ত এলাকায় কড়াকড়ি আছে। এর পরও পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মাঝেমধ্যে ধরাও পড়ছে। এসপি এ কথা বললেও জয়পুরহাট সদর থানার ওসি আবু হেনা মোস্তফা কামাল বললেন অবাক হওয়ার মতো কথা।

তিনি জানান, তাঁর থানায় চোরাচালানিদের কোনো তালিকা নেই। এর কারণ হচ্ছে, জয়পুরহাট এলাকায় কোনো চোরাচালানি নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত এলাকার অঘোষিত করিডরগুলোতে বিডিআর প্রহরা আরো জোরালো না করা হলে ফেনসিডিল চোরাচালান রোধ করা সম্ভব নয়। তবে এর আগে দরকার এ এলাকায় চোরাচালান রোধে যাঁরা নিয়োজিত, তাঁদের এ ব্যাপারে আরো সততা দেখানো। ওপারে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্ত এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সৈয়দ হোসেন মির্জা ফেনসিডিল চোরাচালানের ব্যাপারে কালের কণ্ঠকে জানান, সীমান্ত এলাকায় উৎপাদন দূরে থাক, ফেনসিডিল বহন বা বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এ চোরাচালানি চক্রকে ধরতে তাঁদের নেটওয়ার্ক বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। কালের কণ্ঠে অস্ত্র চোরাচালান নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় তাঁরা এ বিষয়গুলো আরো সতর্কতার সঙ্গে নতুনভাবে খতিয়ে দেখছেন বলে তিনি জানান। স্টোরী ২ ভারতীয় ছিটমহল তেরঘর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল আসছে বেনাপোলে ভারতীয় ছিটমহল তেরঘরকে ল্যান্ডিং পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে গাতিপাড়া এবং দৌলতপুর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল পাচার হয়ে আসছে বন্দর নগরী বেনাপোলে। একটি শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে লাখ লাখ টাকার মাদক পাচার করে আনছে বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থল বন্দরে। এই বন্দর থেকে অভিনব কায়দায় বাস, ট্রাক, ট্রেন, কন্টেইনার, কভার ভ্যান, মটর সাইকেল এবং ভ্যানে করে পৌঁছে যাচ্ছে মরণনেশা ফেন্সিডিল ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে।

ভারতীয় ৫৭ রুপী মূল্যের এই ফেন্সিডিল ঢাকাছাড়া বিভাগীয় শহরে বিμি হচ্ছে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকার মধ্যে। ব্যবসাটি অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এই ব্যবসায় পুজি খাটাচ্ছে। সরেজমিনে বেনাপোল চেকপোষ্ট থেকে ৩ কিঃমিঃ দক্ষিণে গাতিপাড়া ও দৌলতপুর গ্রামের মাঝে যেয়ে দেখা গেল ভারতীয় ১৩ ঘর নামক ছোট্ট ছিটমহল। পূর্বে এই ছিটমহলের ভিতর বিএসএফ-এর একটি ক্যাম্প ছিল। প্রায় ৩ বছর আগে বিএসএফ এই ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

ভারতীয় ১৩টি পরিবার বাস করার কারণেই ছোট্ট এই ছিটমহলের নাম ১৩ ঘর। কিন্তু এখন আর ১৩ পরিবার ঐ ছিটমহলে বসবাস করে না। সর্বমোট ৬/৭ পরিবার ঐ ছিটমহলে বাস করে। ভারতীয় ভূ-খন্ড দখলে রেখে মাদকসহ অন্যান্য চোরাচালান ব্যবসা করার জন্যই ঐ সকল পরিবারের বাস। যাদের সকলেরই ঘরবাড়ি, ফসলের জমি সবই রয়েছে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বনগাঁ শহরের আশেপাশে।

১৩ ঘর ছিটমহলের দু’পাশে সমতল ভূমিতে রয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের দুটি পোষ্ট। বাংলাদেশের সমতল ভূমি গাতিপাড়া গ্রামের মাটির সাথে মিশে আছে ১৩ ঘর ছিটমহল। সামনে ছোট হাওড় ও পরে মেহেন্দীর টেক নামে একটি টিলা। যেখানে বাস করে ৪টি পরিবার। এলাকাবাসী জানায়, বর্ষা মৌসুমে নৌকা এবং শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটেই বনগাঁ শহরে যাতায়াত করে।

ভারত এবং বাংলাদেশের শক্তিশালী সি-িকেট একত্রিত হয়েই ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে। ওপারের একটি সূত্র জানায়, ফেন্সিডিল বাংলাদেশে পাচারে বিএসএফ কোন বাধা দেয় না। ফলে বনগাঁ শহর থেকে অনায়াসে ১৩ ঘর ছিটমহলে ফেন্সিডিলের চালান চলে আসে। যেখান থেকে প্রায় প্রত্যেক ঘরেই ল্যান্ড করে ফেন্সিডিল। তবে ঐ ছিটমহলে লক্ষ্মী বৌদির কথা সবারই জানা।

সেই সবচেয়ে বেশি ফেন্সিডিল মজুদ রাখে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গাতিপাড়ার পাকা রাস্তা থেকে ১৩ ঘর ছিটমহলের লক্ষ্মী বৌদির ঘর পর্যন্ত আসা-যাওয়া করতে চোরাচালানীদের সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। যার কারণে এই রুটেই বেশি ফেন্সিডিল পাচার হয়ে আসছে। বেনাপোল বন্দর থেকে ৩৮ কিঃমিঃ রাস্তা পেরিয়ে ফেন্সিডিল চলে যায় যশোর শহরে। প্রশাসনের টোকেন সিস্টেম থাকার কারণে কোথাও ফেন্সিডিলের চালান আটক হয় না।

ফেন্সিডিল বহনের জন্য বাস, ট্রাক বা ট্রেন কভার ভ্যান ছাড়াও বিশেষ সিস্টেমে ট্রাকে ডবল পার্ট বডি তৈরী করা হয়। বর্তমানে ফেন্সিডিল বহনের জন্য ভ্যানগাড়িরও ডবল পার্ট বডি তৈরী হচ্ছে। ভ্যানের কাঠের তৈরী বডির নাট খুলেই কাগজে ১০ পিচ করে ফেন্সিডিল বেঁধে মোট ২২৫ পিচ ফেন্সিডিল বডিতে লুকিয়ে আবার নাট আটকিয়ে দেয়া হয়। অপরদিকে মোটর সাইকেলে ৩ জন আরোহীর মাঝখানে বসা ব্যক্তির গায়ে বিশেষ জ্যাকেটে পকেট সিস্টেম করে ১২০ বোতল ফেন্সিডিল বহন করা হচ্ছে।
 



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।