কাঁচাপাকা রাস্তার ঠিক মাঝামাঝি, সাইকেলে বসে ছিল নৌকার মাঝি।
যার কথা বলছি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষক, একজন সাহিত্যিক, একজন নাট্যকার এবং একজন চলচিত্র পরিচালক, তিনি ডক্টর হুমায়ুন আহমেদ। আমার প্রিয় লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম। গতবারের বইমেলায় খুব আগ্রহ নিয়ে তার একটি বই আমি কিনি যার নাম "নলীনি বাবু B.SC"। পঠকদের কেমন লেগেছে আমি জানিনা শুধু একটি লাইনের উপরে আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, তিনি বইটির শুরু দিকে লিখেছেন, "অম্ল শরীরের এসিডকে নিউট্রালাইজ করবে", বলাই বাহুল্য এসিড শব্দটির বাংলা অর্থ অম্ল।
একটি বইতে তিনি লিখেছেন "৯ একটি মৌলিক সংখ্যা", একবার নয় তিনি বইটিতে একাধিক বার এই কথা বলেছেন
তিনি লিখেছেন "প্রস্রাব মানুষের কিডনিতে জমা থাকে", লিখেছেন " পৃথিবীতে কোন levorotatory অনু নেই, levorotatory সব কিছু পৃথিবীর বাইরের অন্য জগতের" , এবারের বইমেলায় প্রকাশিত ম্যাজিক মুনশিতে "ব্ল্যাক ম্যাজিক" কিভাবে করতে তার একটি পদ্ধতির বর্ণনা করেছেন। ইদানিং তিনি বিভিন্ন বইতে বিভিন্ন মাদক দ্রব্যের সেবন পদ্ধতি, তার আধ্যাত্নিক প্রয়োগ, "সর্গীয় অনুভুতি" ইত্যাদির বিষদ বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছেন। যেমন তিনি তার "শুভ্র গেছে বনে" বই তে লিখেছেন কি করে ইয়াবা সেবন করতে হয়, এগুলো কী দেশের যুব সমাজকে মাদক সেবনের প্রতি আরো উতসাহিত করবে না? আমারতো মনে হয় এসব বই নিষিদ্ধ ঘোষনা করা উচিত।
একজন শিক্ষক হয়ে তিনি কেন এসব লিখছেন বা লেখেন আমার জানা নেই। মানুষ বুড়িয়ে গেলে ফুরিয়ে যায়, সেটাই কি তিনি প্রমান করতে চান? আমি আশা করি তিনি আবার ভাল কিছু লিখবেন, আগের মত ভাল কিছু লেখা আমাদের উপহার দিতে পারবেন, তিনি সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশাই করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।