জানতে চাই, জানাতে চাই চারদিকে লাল-নীল আলোর ছড়াছড়ি আর হৈ-হুল্লোড়। এমন পরিবেশে সোফায় বসে বড় বড় হুক্কায় সিসা টানছে তরুণ-তরুণীরা। একটু পরপরই হাতবদল হচ্ছে হুক্কা। হিন্দি গানের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে হুক্কায় সিসা টানার গভীর নেশা। চার দেয়ালের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ধোঁয়া।
অভিজাত পরিবারের তরুণ-তরুণীদের কাছে নেশার নতুন উন্মাদনা হুক্কায় সিসা টানা।
বিভিন্ন ফলের নির্যাসই সিসার মূল উপাদান। বাংলাদেশে মূলত দুবাই থেকে এর উপাদান আসে। অধিকাংশ লাউঞ্জে সিসার উপাদানের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেটের গুঁড়া, হেরোইন ও বিভিন্ন যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ নেশাজাতীয় নানা ট্যাবলেটের গুঁড়া। এছাড়াও গাঁজার বিশেষ রাসায়নিক অংশ মিশিয়ে এর উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে।
সিসা সেবন সিগারেটের চেয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ গুণ বেশি বিপজ্জনক। সিসার কারণে মানুষ উচ্চমাত্রার কার্বন মনোক্সাইডজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, একবার সিসা সেবনে একটি সিগারেটের চেয়ে ৪/৫ গুণ বেশি কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণ করা হয়ে থাকে। উচ্চমাত্রার কার্বন মনোক্সাইডে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে এবং অচেতন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বর্তমানে স্মার্টনেসের নতুন মাত্রা কি তাহলে সিসা? নাকি যে ছেলে বা মেয়েটা সিসা টানে না, সে পুরাই ক্ষেত? নাকি বাবার টাকা আছে, তাই সিসা টানা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।