আমি ব্লগ লেখার চাইতে ব্লগ পড়তে ভাল বাসি।
আলোচিত বিতর্কিত পাগলা মনের আধিকারী হুমায়ুন আহমেদ তার সর্বশেষ সিনামাটি বানাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সমকামী জীবন নিয়ে, আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এধরনের কাহিনীর সিনেমা কতটুকো প্রযোজ্য?!!
১০০% প্রযোজ্য।
সমাজের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে অন্যায়কে লুকিয়ে রাখা। মানুষের চোখে লজ্জা ঢুকিয়ে দেওয়া। যা হচ্ছে গোপনে হচ্ছে।
তুমি চোখ বন্ধ করে থাক। ঐদিকে তাকিও না। প্রতিবাদ করোনা । মনে করো কিছু হচ্ছেনা। সমাজের এই অন্যায়ের জন্য সবাই অত্যাচারীত অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে, আর যারা আত্যাচারকারী তারা অন্ধকারে যেখানে সমাজের কেউ প্রবেশ করবেনা, প্রতিবাদ করবেনা সেখানে তাদের অত্যাচার চালিয়ে যাবে।
বাহিরের দেশে ক্যাথেলিক চার্চ গুলোতে এই অত্যাচার প্রতিনিয়ত চলত। সবাই চোখ লজ্জায় কিছু বলতনা। কিন্তু আজ যখন তা সবজায়গায় প্রকাশ পেল তখন এর বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে প্রতিবাদ গড়ে উঠল। আমাদের এতিম অনেক মাদ্রাসাতেও হয়ত এধরনে অত্যাচার চলছে। কিন্তু এটি একটি গোপন বিষয় বলে কেউ হয়ত বা মুখ খুলছেনা।
কিন্তু সবাই যখন বুঝবে এটি কোন লজ্জার বিষয় না এটি প্রতিবাদের বিষয় তখন হয়তবা তারা আর মুখ বন্ধ করে রাখবেনা।
একসময় আমরা এইডস সম্পর্কে যানতামনা, পরিবার পরিকলপনা সম্পর্কে জানতামনা। টিভিতে দেখালে আমরা টিভির চ্যানেল চেঞ্জকরে দিতাম, বলতাম এগুলো কি নোংড়া জিনিষ দেখাচ্ছে। কিন্তু এই নোংড়া ব্যাপারই আমাদের সবাইকে এসকল ব্যাপারে সচেতন করেছে।
সিনেমার কাহিনী থেকে স্পষ্টতই বলা যায় কম বয়সী ছেলেরা যারা মেয়ে সেজে গান গেয়ে বেড়াত তাদের উপর যে যৌন নির্যাতন চলত তা নিয়ে এই ছবি।
আমাদের যে সকল মানবাধিকার কর্মী তারা শহর মুখি, আইন আদালত ও তাই । এই সিনামা মাধ্যমে যদি এদের চোখ খুলে দেওয়া যায় তবেই আমি এই সিনেমাকে সার্থক বলতে পারব। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে সিনেমার চিত্রনাট্য অভিনয় উপস্থাপনের উপর। দেখা যাক হুমায়ুন আহমেদ সমাজের বন্ধ করে থাকা চোখ খুলে দিতে পারে কিনা।
তবে যারা এর বিরোধিতা করছে তাদের জন্য একটা কথা বলতে চাই।
" চোখ বন্ধ করে হাগলে এটা ভাবার কোন কারন নাই যে কেউ আপনাকে দেখছেনা। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।