সাপ্তাহিক প্রথম আলোর দৈনিক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান নিজামি বলেন, অতি সত্ত্বর বাংলার আনাচে কানাচের প্রতিটি ঘরে ঘরে সমকামীদের পক্ষে চূড়ান্ত পর্যায়ের বিপ্লব গড়ে তুলতে হবে আমাদের। কেননা সানি লিওনবৃন্দ যেমনভাবে আমাদের দেশের শিশু কিশোর তরুন যুবক বৃদ্ধগণের হৃদয়ের একাংশ দখল করে নিচ্ছেন তা ঊপলদ্ধি করার পর যখনি আমি মানব জাতির সহজ স্বাভাবিক প্রকৃতির বিরুদ্ধে অনশনে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু আবালের সমাগম করতে চেয়েছিলাম; তখন দেখি স্যান্ডির মত করে ধাত্রী মাতা আমাকে মহিলা বেশে রূপান্তরিত করে ফেলছে। আমি কোন উপায়ান্তর না দেখে অবশেষে মহাবিশ্বের যতগুলি মাজার আছে সবগুলোতে ৫ টাকা দামের একটি মোমবাতি এবং ১০ টাকা দামের এক প্যাকেট আগর বাতি জ্বালিয়ে দিয়েছি সাথে সাথে ৮ টাকা দামের একটি গোলাপ জল কিনে এর সুগন্ধি তরল ছিটিয়ে দিয়েছি মাঝারে বসবাস রত সকল ফকির গণের মাঝে। তিনি বলেন ভাইগণ, আমি যদি উপস্থিত সময়ে বুদ্ধি খাটিয়ে সানি লিওনের ভালবাসা হৃদয় থেকে ঠিক মত অপসারণ না করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে বিরত থাকতাম, তাহলে এতদিনে বাংলায় সমকামীদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেত। ভাতের অভাবে মরে যেত সকল সুন্দর দেহের অধিকারী সমকামীগণ।

আপনারা এখন যেভাবে গতরে গতরে প্রেম করতে পারেন! মাংসল পাছার অধিকারী কোন পুরুষের সঙ্গে, আমি যদি মহিলা হয়ে যেতাম তাহলে আপনাদের পক্ষে সেটা বাস্তবে রূপান্তরিত করা কোন ক্রমেই সম্ভব হতনা। কেননা নারী হিসেবে আমি তখন লেসবিয়ান হয়ে যেতাম, তবে কসম আল্লাহর আমি প্রকৃতির এই নিয়মকে ভেঙ্গেই ছাড়ব। বাংলায় আমি সমকামীগণের প্রসার ঘটিয়েই ছাড়ব। আমি দেখে নিব প্রকৃতি কিভাবে পাছার প্রতি ভালবাসা থেকে আমাকে বিরত রাখে। তিনি বলেন আপনারা জানেন আমি চরম পন্থায় উদারপন্থী একজন অগ্রজ কিশোর তাই লেসবিয়ানদেরকেও আমি অসমর্থন করে থাকতে পারি না।

ওদের পর্ণ মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করে ইতিমধ্যে আমি অনেক শৈল্পিক অঙ্গভঙ্গি রপ্ত করতে পেরেছি। ওদের কাজ কামের মধ্যে একটা আর্ট আছে। ওরা যা করে সব স্লোলি স্লোলি করে। তাড়াহুড়ো করে কিছু করে না। ওরা যেভাবে একে অন্যকে মজা দিতে জানে তেমনি আমরা সমকামীগণ একে অন্যকে অফুরন্ত মজা দিতে জানি শুভ্র দেহের যেখানে সেখানে।

তিনি ভাষণ প্রদানের একদম শেষ পর্যায়ে বলেন, ''একের লাঠি দশের বোঝা, তুমি ভয় পেওনা, তুমি থেমে যেওনা! এখনো পথের অনেক রয়েছে বাকি'' (Copied) ।