তবু তুই রয়েছিস বলে, ঘাসফুলে জল দোলে...
বহু বহু দিন পর আজ বড় অবেলায় নীলমেয়ে আমার অনুভূতির সবটুকু ছুঁয়ে যায়। কাছে যেদিন আসা হয়েছিলো সেদিন আজ পর্যন্ত নীলমেয়ে আমাকে এতোটা গভীর করে কখনো ছুঁয়ে দেয়নি। আসলে দিতে পারেনি...
আজ দিলো। কীভাবে?
এর আগেও অনেক বার নীলমেয়ে ছাড়া আমার থাকতে হয়েছে। নীলমেয়েও থেকেছে আমাকে ছাড়া।
তবে সে একা থাকাথাকিতে একটা আনন্দ ছিলো। একটা আকুতি ছিলো। যে আকুতি আমাদের দুজনের কাছে বেশ লাগতো... কিন্তু এবারকার অবস্থা ভিন্ন। একেবারে অন্যরকম।
কথা ছিলো- এবারই প্রথম নীলমেয়ে আর আমি একসাথে ঈদের দিনটাকে রঙিন করবো।
কথা ছিলো ... কিন্তু কথা আমাদের কথাই রয়ে গেলো। পূরণ হতে পারলোনা কিছু হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে...
আমি আর নীলমেয়ে পরস্পরকে ছাড়া বাচিনা। তবে যদি আমরা ইচ্ছে করে দূরে থাকি তাহলে ভিন্ন কথা। কিন্তু আমাদের যদি বাধ্য করে আলাদা করে রাখা হয়... ??
মেয়ে, তোমার জন্য ভীষণ খারাপ লাগছে...
০২
তখন সবে মাত্র নীলমেয়ে এই নীলছেলেটার সাথে জোট বেধেছে। সেই সময়ে জোর করে নীলমেয়েকে রাখা হয়েছিলো দূরে।
নীলছেলেটা ইচ্ছে করেও, শত চেষ্টার পরেও তখন নীলমেয়েকে কাছে আনতে পারেনি... তখন কী সব কান্ড ঘটিয়েছিলো মেয়েটা। নীলমেয়েটা।
মেয়ে, আজও তুমি তাই করছো?! করলে অনেক কষ্ট হবে আমার। আর না করো তবেও কষ্ট হবে! কারণ, যদি সেদিনের মতো না করো, তবে ভাববো- তুমি এখন আমাকে সেদিনের মতো ভালোও বাসোনা...
যা-ই করোনা কেনো, আজকের কাটাকুটির কাজ শেষে হালকা কুসুম গরম পানিতে হাত মুছে অলিভওয়ের লাগিয়ো হালকা করে। না হলে হাত কুচকে যেতে পারে...
আর অবশ্যই খুব ভালো থেকো মেয়ে...
০৩
আমিও নীলমেয়ের মতো একা পড়ে আছি।
কিন্তু ইচ্ছে ছিলো...
কেনো এই একা থাকা। যাদেরকে এই প্রশ্নটা করা উচিৎ তাদেরকে করা যাবেনা। তাহলে তারা ভীষন করে নাখোশ হবে। তাই- আমার দিন জমিয়ে রাখার ডাইরিটাতে লেখে রাখলাম সব। নীলমেয়েকে একদিন দেখাবো আমার কষ্টের দিনের চিহ্নের দাগ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।