রাজপথ-গলি, মাঠ-ঘাট থেকে শুরু করে অভিজাত এপ্যার্টমেন্টের বহুতল গাড়ি পার্কিংসহ সর্বত্রই শুধু রক্ত আর রক্ত। ব্যাপক উৎসাহে চলছে মাংস বানানোর কাজ। আশে-পাশেই পড়ে আছে গরু বা খাসীর খন্ডিত মস্তক সমেত পুরো গায়ের চামড়া। আজ বুধবার সকালে ঈদ-উল-আযহার নামাজের পর এমনটাই ছিলো ঢাকার দৃশ্যপট। পুরো রাজধানীই যেন উৎসবমুখর এক বিশাল কসাই খানা।
নামাজের পর পরই শুরু হয়ে যায় গরু বা খাসী কোরবানী দেয়ার পর্ব। অলি-গলিতে ছড়িয়ে পরে পেশাদার-অপেশাদার কসাইদের ভীড়। কোরবানীর পর মাংস বানিয়ে কে কত দ্রুত রান্না করতে পারে- এমন প্রতিযোগীতাই যেন ছড়িয়ে পরে। অবশ্য এর আগে মাংস ভাগ-বাটোয়ারা সম্পন্ন করতে হয়েছে। অনেকে আবার আগে থেকে কসাই বা মাংস বানানোর শ্রমিক ঠিক না করে বিপাকে পড়েছেন।
একারণে উদভ্রান্তের মতো কসাই খোঁজার দৃশ্যও চোখে পড়েছে।
কোরবানীর ঈদের এই সকালে রাজধানীর প্রায় প্রত্যেক এলাকায় আরো যারা ছড়িয়ে পড়েছেন তাদের মধ্যে চামড়া ক্রেতাদের ভীড়টাও ছিলো চোখে পড়ার মত। এর মধ্যে বিভিন্ন মাদ্রাসার প্রতিনিধিদের সংখ্যাটাই বেশী। তবে এ প্রতিবেদন প্রস্তুত পর্যন্ত (সকাল সোয়া ১০টা) মাংস ভিক্ষুকদের ভীড় শুরু হয়নি।
অন্যদিকে, গাবতলী, আগারগাঁও, পুরান ঢাকার বাবুবাজার হাটসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি গরু-ছাগলের হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- হাটগুলোতে এখনো অনেক অনেক গরু-ছাগল রয়েছে।
সকালেও অনেক ক্রেতা হাটে এসেছে। এই ঈদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী দুই দিনও হাটে গরু-ছাগল কেনা-বেঁচা হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।