আমি এবং আরণ্যক ছাইরংয়া বধ্যভূমিতে দাড়িয়ে দেখছি শেষ সূর্যাস্ত
জাগতিক মোহাবিষ্ঠতা ছেড়ে উঠে এসে
তিনি বসেছেন অপার্থিব ধ্যাণে,
সম্মুখে গোঁয়াড় প্রকৃতির আধিপত্য
পেছনে অস্থির সাংসারিক বন্ধন উপেক্ষার দৃঢ অহম;
মাঝে মাঝে অবাধ্য শুক্রাণুর দুরন্তপনায় নিদ্রালু
কামনার বীজগুলো অংকুরিত হতে গিয়ে
অভ্যাসের অনভ্যস্ততায় গুটিয়ে যায় ।
সাত আসমানের উপরে নাটকপ্রেমী দেবতারা
ঈর্ষান্বিত হয়, অসমাপ্ত কাহিনীর যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ
স্বর্গরাজ রাজদন্ড তুলে ধরেন অন্দর মহলের দিকে,
সাদামাটা পানসে অরণ্যের অবুজ বাতাস আন্দোলিত হয়
চঞ্চলা অপ্সরার মাতাল নৃত্যকলায়।
গভীর থেকে গভীরতর ভাবনার সমুদ্র মুহূর্তে শুকিয়ে যায়,
এবার তিনি চোখ মেলে তাকান,
সম্মুখে মাতাল কলোরোল, ভেতরে পাপিষ্ট প্রবৃত্তির
জয়-পরাজয়ের নিখাদ দ্বিধাদন্দ,
একদিকে ক্ষমতালিপ্সু সাধনার আরাধ্য চাষাবাদ
অন্যদিকে নিগুঢ় বাস্তব অমৃত আস্বাদনের হাতছানি;
শেষমেশ মাংসলোভী কামনার আগুনে আত্বাহুতির অভিপ্রায়ে
একটানে শরীর থেকে অপার্থিবতার পোষাক খুলে
তিনি লিপ্ত হন পার্থিব আদিম সংগমে,
দর্শক সারিতে উপবিষ্ট বিজিত দেবতাদের
হাততালিতে প্রকম্পিত হয় স্বর্গরাজ্য,
সুদীর্ঘ ব্রতসাধনায় ধ্যানস্থ ঋষির আরাধনার
মহাপ্রয়ান ঘটিয়ে আনন্দিত দেবরাজ
স্বর্গরাজ্যে ঘোষনা করেন জমকালো কামিনী মন্থন উৎসব।
খুধার্ত কামনাগুলো অবশেষে প্রশান্তিতে নিথর হলে
তিনি আবারো ফিরে যান একান্ত নিজস্বতায়;
শুধু ঋষি ও দেবতার খেয়ালী টাঁনা হেচড়ার
জারজ ফসল শকুন্তলাকে পড়ে থাকতে হয় পথের ধুলোয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।