বান্দরবান জেলায় তামাক চাষের কারণেই জনস্বাস্থ্য, বনভূমি, পানি, জলজ প্রাণী, পরিবেশ মারাত্মকভাবে তিগ্রস্ত হচ্ছে। তামাক চাষ করার কারণে উর্বরতা হারাচ্ছে কৃষি জমি এবং কৃষি জমিতে তামাক চাষ করায় খাদ্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তাই বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য, বনভূমি ও জলাশয় রা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তামাক চাষ বন্ধ করতে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর উদ্যোগে বান্দরবান জেলা প্রেসকাবের সামনে আজ বিকাল ৩টায় এক মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা উপরোক্ত দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, জমি তৈরি, বীজ বপন, পরিচর্যা, পাতা তোলা, গোড়া তোলা ইত্যাদি কারণে তামাক চাষের সময়কাল আগষ্ট থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৯ মাস। ফলে তামাকের কারণে ৩টি মৌসুমের ফসলের তি হয়।
তামাক পাতা প্রক্রিযাজাতকরণের জন্য ক্রমাগত বৃ নিধনের কারণে দেশের বনজ সম্পদ ধবংশ হয়ে যাচ্ছে। তামাক কোম্পানিগুলো নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে বৃরোপন অভিযান এর নামে এমন সব গাছ লাগাচ্ছে, যা পার্বত্য এলাকার পরিবেশের জন্য উপযোগী নয়। এছাড়া তামাক পাতা যখন চুল্লীতে আগুনের সাহায্যে তাপ দিয়ে শুকানো হয়, তখন ঐ এলাকার বায়ুদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। যা হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ ইত্যাদি রোগবালাই বৃদ্ধি করে।
বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষ প্রাকৃতিক পানিনির্ভর।
অথচ সাঙ্গু, মাতামুহুরীসহ পার্বত্য জেলা বান্দরবান এর নদী ও জলাশয়ের ঢালু উর্বর জমিতে তিকর তামাক চাষ করায় এ জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের রাসায়নিক গিয়ে নদী-জলাশয়ের পানিতে মেশায় সে পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। ফলে মৎস্য সম্পদসহ জলজ প্রাণীর জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে। পাশাপাশি এ পানি ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে আজ বিকাল ৩টায় বান্দরবান জেলা প্রেসকাবের সামনে আমাদের মানববন্ধন কর্মসূচীতে আমাদের সুদিনির্দিষ্ট দাবিসমূহ:
১. খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও কৃষি জমির উর্বরতা রার্থে খাদ্য উৎপাদনের জমি এবং নতুন কৃষি জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করা
২. পানি দূষণ রোধ ও মৎস্য সম্পদসহ জলজ প্রাণীর জীবন রার্থে নদী ও জলাশয়ের পাশ্ববর্তী জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করা
৩. বনজ সম্পদ রাসহ পরিবেশ রায় নতুন করে তামাকের চুল্লী নির্মাণ নিষিদ্ধ করা এবং বনজ বৃ ব্যবহার করে তামাকের চুল্লীতে তাপ দেয়ার মাধ্যমে তামাক পাতা শুকানো নিষিদ্ধ করা
৪. কৃষকদের উৎপাদিত খাদ্যশস্যের বাজার সৃস্টিতে সহযোগিতাসহ খাদ্যশস্য উৎপাদনে কৃষকদের সবরকম সরকারি সহযোগিতা করা
৫. তামাক চাষে সবরকম সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করা
৬. পার্বত্য এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রা, কৃষি ও বনজ সম্পদ রা, নদী ও জলজ সম্পদ রা, কৃষকদের দারিদ্রের দুষ্টু চক্র থেকে বের করে আনার ল্েয সচেতনতা সৃষ্টিতে জেলার সাংবাদিক, বেসরকারি সংগঠন ও তামাক বিরোধী জোটের স্থানীয় সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরালো করা
৭. বনায়নের নামে তামাক কোম্পানিগুলো বিদেশী গাছ লাগানো নিষিদ্ধ করা।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন কবি ও সাহিত্যিক চৌধুরী বাবুল বড়ৃুয়া, নারী উন্নয়ন কেন্দ্র'র নির্বাহী পরিচালক মং থোয়াই ম্রয় আগাপে’র নির্বাহী পরিচালক জয় বাহাদুর, নওজোয়ানের কর্মকর্তা মো: মাহাতাব, সাংবাদিক বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা, সাংবাদিক মিনারুল হক, সংসপ্তকের কর্মকর্তা রাজিব দাস, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর পে বান্দরবান আদালতে বিচারাধীন মামলার বাদী আমিনুল ইসলাম সুজন এবং ইপসা’র কর্মকর্তা মোঃ হারুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।