ভয়েজার বাংলাদেশ, আপনার নিশ্চিন্ত ভ্রমন এ আমরা অঙ্গিকার বদ্ধ. চট্টগ্রাম থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে পাহাড়ী শহর বান্দরবানের অবস্থান। এ জেলার আয়তন ৪৪৭৯ বর্গ কিলোমিটার। বান্দরবান জেলার উত্তরে রাঙ্গামাটি জেলা, দক্ষিণে আরাকান (মায়ানমার), পূর্বে ভারতের মিজোরাম ও মায়ানমার, পশ্চিমে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা। বান্দরবান জেলা এর নৈসর্গিক বৈচিত্র্যের জন্য বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিনডং (উচ্চতা ১০০৩ মিটার) বান্দরবান জেলায় অবস্থিত, যা বিজয় বা মদক মুয়াল নামেও পরিচিত।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং (উচ্চতা ৮৮৩ মিটার) এবং সর্বোচ্চ খাল রাইখিয়াং এই জেলায় অবস্থিত। এখানকার অন্য দুটি দর্শনীয় স্থান হল চিম্বুক পাহাড় ও বগা লেক। এ জেলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে , সাংগু ও মাতামুহুরী নামের দুটি নদীর উৎপত্তি ও সমাপ্তি এ জেলার অভ্যন্তরেই।
মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্যের সমাহার ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সম্মিলনে গড়ে ওঠা বান্দরবান পার্বত্য জেলা -যেন শিল্পীর ক্যানভাসে আঁকাবাকা এক অপরুপ ছবি। সাংগু ও মাতামুহুরী নদী বিধৌত ও সর্পিল ঢেউ খেলানো অসংখ্য ছোট বড় পাহাড় সমৃদ্ধ এ জনপদ ১১ টি নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী ও বাংলা ভাষাভাষী মানুষের বিচিত্র জীবন প্রবাহে ঐশ্বর্য্যমন্ডিত হয়েছে।
দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে তাই এটি পরিণত হয়েছে পরম আকর্ষনীয় এক স্থানরুপে। এ জেলায় রয়েছে দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে অসংখ্য অনাবিস্কৃত গিরিশৃঙ্গ, সুউচ্চ প্রবাহমান জলপ্রপাত ও তটিনী, জলধারা বা পাহাড়ী ঝিড়ি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।