আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈভ টিজিং ভাবনা..... নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করে যে উত্তরগুলো পেলাম।

http://www.facebook.com/Kobitar.Khata

প্রশ্নঃ ঈভ টিজিং সব কালেই ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এগুলো মহামারি আকার ধারণ করেছে, ঠিক কিনা? উত্তরঃ হ্যাঁ। প্রশ্নঃ ঈভ টিজিং মূল উপাদান যৌন উদ্দীপনা। যার কারণে এটা সাধারণত কিশোর তরুণেরাই করে থাকে। ঠিক কিনা? উত্তরঃ হ্যাঁ প্রশ্নঃ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্নোগ্রাফি মহামারি আকার ধারণ করেছে, রাস্তার পাশে, পত্রিকা দোকানে পর্নো ম্যাগাজিন পাওয়া যায়, রাস্তায় প্রকাশ্যে পর্নো সিডি বিক্রি হয়, ইন্টারনেটে ব্যাপকহারে পর্নো ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

এর এগুলো মোবাইলের মাধ্যমে তরুন সমাজের মধ্যে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। মোট কথা পর্নোগ্রাফি এখন খুবই সহজলভ্য একটি ব্যপার। হাত বাড়ালেই যে কেউ পেতে পারে, ঠিক কিনা? উত্তরঃ হ্যাঁ প্রশ্নঃ বিশেষ করে ডিশ এন্টিনা আসার পর থেকে হিন্দি চ্যানেলগুলোর আগ্রাসন ব্যাপক হারে বেড়েছে। আর হিন্দি সিনেমার গানের ভিডিওর মূল উপাদানই হলো যৌন সুড়সুড়ি, হিন্দি সিরিয়াল গুলোর মূল উপাদান সস্তা প্রেম, পরকীয়া। হিন্দি চ্যানেল গুলোও যৌন সুড়সুড়ির জন্য বেশ ভাল উপাদান।

ঠিক কিনা? উত্তরঃ হ্যাঁ প্রশ্নঃ গত কয়েক বছরে বাংলা সিনেমায় কাটপিস নামক গজব যুক্ত হয়েছিল। এমনকি সিনেমার ২য় শ্রেণীর নায়ক নায়িকারা নাকি সেগুলোতে নিজেরাই পর্নো রুপে আবির্ভুত হত। সেগুলোও একটি কারণ। ঠিক কিনা? উত্তরঃ হ্যাঁ প্রশ্নঃ মাত্র তিন চার বছরের ব্যবধানে আমাদের দেশের মেয়েরা পোষাকের দিক দিয়ে বেশ খোলামেলা হয়ে উঠেছে। ৫/৬ বছর আগেও মেয়েদের কামিজ ছিল হাটুর নিচ পর্যন্ত।

এরপর হঠাৎ করে সর্ট কামিজের আমদানি। সর্ট কামিজ সর্ট হতে হতে এখন মেয়েদের পাছার উপর চলে গেছে। কামিজের নিচ দিয়ে মেয়েদের পেট দেখা এখন কোন ব্যাপারই না। এছাড়া টিশার্ট জিনস সহ অন্যান্য চোট পোষাক পরা মেয়ে রাস্তায় বের হলেই দেখা যায়। নিজে ১৮/ ২২/ ২৫ বছর বয়স গুলো পার করে এসেছি বহু আগে এই পোষাকের একটি মেয়ে একটি ছেলের মনে কেমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে সেটা ভালই জানা আছে।

আনেকেই হয়তো সুশিল সেজে বেশ ভাল ভাল কথা বলবেন। কেউ যদি বলতে চায় যে এইসব পোষাকের মেয়েদের দেখে উদ্দীপ্ত হয়না তবে বলব তবে বলব আপনি এখনি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনি পুরুষত্বহীনতায় ভুগছেন। ঠিক কিনা? উত্তরঃ হ্যাঁ প্রশ্নঃ সব ছেলে কি ঈভটিজিং করে? যদি না করে তবে কেউ করে কেউ করে না কেন? উত্তরঃ সবার মনমানসিকতা সমান না। সবার কন্ট্রোল পাওয়ারও সমান না।

আবার এর সাথে শিক্ষা, রুচিবোধের ব্যপারও জড়িত । সবাইকে দিয়ে সব কাজ হয়না। ভদ্র, সুশিক্ষায় শিক্ষিত, রুচিবোধ সম্পন্ন ছেলেরা কখনই ঈভ টিজিং করে না। কিন্তু তারমানে এই না যে রাস্তায় একটি খোলামেলা পোষাকের মেয়ে দেখলে তাকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা করে। মনে মনে ঠিকই সেও মেয়েটিকে নিয়ে ভাবে।

(কেউ যদি একমত না হন তবে আপনিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। ) যে ঈভ টিজিং করে আর যে করেনা তাদের মধ্যে ব্যবধান এইটুকু। ঠিক কিনা? উত্তরঃ হ্যাঁ প্রশ্নঃ শুধু আইন করে কি ঈভ টিজিং বন্ধ করা যাবে? উত্তরঃ কখনই না। শেষ কথাঃ ঈভ টিজিং কখনই শূণ্যের কোঠায় আনা যাবে না। তবে এই মহামারি থেকে অবশ্যই অনেকাংশে রেহাই পাওয়া যাবে যদি- ১. তরুন যুবকদের যৌন উদ্দীপ্ত করার হাতিয়ার গুলো তাদের কাছ থেকে সরানো যায়।

যেমন পর্নো ম্যাগাজিন, ভিডিওর সহজলভ্যতা বন্ধ করতে হবে। ২. ছেলে মেয়েরা ইন্টারনেট ও মোবাইল দিয়ে কি করছে তার উপর অভিবাবকদের কঠিন নজরদারি বাড়াতে হবে। ৩.ছেলে মেয়েরা কাদের সাথে মেলামেশা করছে তার খবর রাখতে হবে। ৪. পোষাকে আশাকে রুচিশীল হতে হবে। আধুনিকতার নামে অর্ধ নগ্ন পোষাক পরা থেকে বিরত থাকতে হবে।

রুচিশীল ও শালীন পোষাক পরতে হবে। ৫.হিন্দি চ্যানেলের আগ্রাসন কমাতে হবে। ৬.শুধু নারী না, মানুষকে শ্রদ্ধা করতে হবে এই মন্ত্রনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। ৭. সবচে বেশী প্রয়োজন সামাজিক সচেতনাতা। সামাজিক সচেতনতার মানে এই না যে '' তোমরা ঈভ টিজিং করো না।

'' সামাজিক সচেতনা বলতে আমি বোঝাচ্ছি যে যে কারণ গুলোর কারণে ঈভ টিজিং হয়ে থাকে সেই কারণ গুলো চিহ্নিত করে তা নির্মূল করা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।