আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নগরবাসীকে শব্দদূষণের হাত থেকে রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর


শব্দ দুষণ হতে নগর বাসীদের রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর। মোবাইল কোর্ট ও ট্রাফিক পুলিশদের মাধ্যমে শব্দদূষণ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। শব্দদূষণ মানুষের চিন্তা, মননশক্তির উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যা মানুষের শৈল্পিক ও সৃষ্টিশীল কাজকে বাধাগ্রস্ত করে। শব্দদূষণের কারণে বধিরতা, কানে কম শোনা ইত্যাদি শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়।

এছাড়া শব্দদূষন হার্ট এটাক, স্ট্রোক এর ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। যারা হৃদরোগে আক্রান্ত, তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই নগরবাসীকে শব্দদূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ করতে হবে শব্দদূষণ। বাস্তবায়ন করতে হবে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা।

সংস্থাপন মন্ত্রণালযের অধীনে পারফরমেন্স ইমপ্র“ভমেন্ট প্রজেক্ট (পিপ) এর ম্যানেজমেন্ট এট দ্যা টপ (ম্যাট) এবং কোয়ালিশন এগেইনস্ট পল্যুশান এর উদ্যোগে ডাবি¬উবিবি ট্রাস্ট কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষজ্ঞগণ উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন। কর্মশালায় শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক ও করণীয় সম্পর্কে দুটি আলাদা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. তপন কুমার নাথ এবং ডাবি¬উবিবি ট্রাস্ট এর প্রকল্প কর্মকর্তা নাজনীন কবীর। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শব্দদূষণ নীরব ঘাতকের মত। এর নেতিবাচক প্রভাব অনেক। তাই পরিবেশ অধিদপ্তর শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।

কিন্তু হারে যানবাহন বাড়ছে সেহারে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের বা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকবল সংকট আছে। এক্ষেত্রে শব্দদূষণ বন্ধে যানবাহন মালিক, চালকদের শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বেসরকারি সংগঠন, গণমাধ্যম সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তপন কুমার নাথ বলেন, শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে পথনাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি যত্রতত্র পার্কিং নিষিদ্ধ করতে যে আইন রয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

রাস্তা শুধু গাড়ির জন্য নয়, পথচারীদের অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে। জেব্রা ক্রসিং এর মাধ্যমে রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নাজনীন কবীর বলেন, শব্দদূষণের ক্ষতিকর বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও চ্যানেলকে সচেতনতামূলক প্রতিবেদন, বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। বাণিজ্যিক বিবেচনায় না গিয়ে এসব কাজ জনস্বার্থেই করা দরকার। কর্মশালায় আলোচনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সুদত্ত চাকমা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এজিএম মীর মশিউর, ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস, ফেনী জেলা পরিষদ এর সচিব সায়মা ইউনুস, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, র‌্যাক এর নির্বাহী পরিচালক এটিএম শহিদুল ইসলাম, একলাব এর কর্মসূচী পরিচালক মোঃ শামসুল আলম, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা, ডাবি¬উবিবি ট্রাস্ট এর কর্মসূচী সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম সুজন, গ্রীণ বেল্ট এর মহাপরিচারক জসিম খাতাবী প্রমুখ।

কর্মশালায় উন্নয়ন প্রচেষ্টা, পিএসএস, এনকে ফাউন্ডেশন, এপিএসইউএস, ইএফপি, শিশু উন্নয়ন ফোরাম, র‌্যাক, মান ব উন্নয়ন সংস্থা, প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা প্রভৃতি সংগঠনের প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।