এই আটজন হলেন- সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বড় স্ত্রীর ছেলে শাহাদাত হোসেন, নিহত শামীমা বেগমের খালাতো ভাই রাজীব, তার বন্ধু সোহেল ওরফে সোহাগ ও আশরাফ, বাড়ির নিরাপত্তা কর্মী আবদুস সাত্তার, গাড়ি চালক আবুল বাদশা, নাছিরউদ্দিন মিঠু ও অয়ন কিবরিয়াও আছেন। এদের মধ্যে শেষ দুজন পলাতক।
গত ১৯ এপ্রিল গভীর রাতে রফিকুল ইসলামের ঝাউচরের বাড়িতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী শামীমা ইসলাম সুমা, শ্যালক কুতুবদ্দিন রানা ও দুই গৃহপরিচারিকা রেখা ও মনিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনার পরদিন নিহত শামীমার ভাই মামুন অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (তদন্ত) সাহিদুর রহমান গত বুধবার আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দিলেও বিষয়টি প্রকাশ পায় সোমবার রাতে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে নিহত শামীম রেজা এবং চেয়ারম্যানের ছোট ভাই হাবিবুর রহমানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ৫০ জনকে।
শামীম রেজা ১৬৪ ধারায় আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে বিবরণ এবং তাতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন বলে এর আগে জানিয়েছিল পুলিশ।
শামীম রেজার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে একাধিক মামলার আবেদন করেছে তার পরিবার।
তদন্ত কর্মকতা সাহিদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় মোট পাঁচজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
সে অনুযায়ী দশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করা হয়।
এদের মধ্যে চেয়ারম্যানের ভাই হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এবং মৃত্যুর কারণে শামীম রেজাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুরুতে এ মামলার তদন্তভার সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ তরফদারের ওপর থাকলেও শামীমের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় অরূপসহ থানার উপ-পরিদর্শক পল্টু ঘোষ ও সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) উত্তম প্রাসাদ পাঠককে প্রত্যাহার করা হয়। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব যায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।
আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানন্দিতে পাঁচ আসামি বলেছিলেন, সম্পত্তি দখলই ছিল এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে মূল কারণ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।