আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায়রে সোনার বাংলা ! সোনারগাঁওয়ে চাচাকে বেঁধে দুই ভাতিজীকে ধর্ষণ : মুক্তিপণ আদায়



সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) চাচাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে আপন দুই ভাতিজীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর নাটক সাজিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেছে ধর্ষকরা। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউপির পাঁচআনী গ্রামে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গতকাল সন্ধ্যায় শাহ আলম (৪০) নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার বালাপুকুর গ্রামে বসবাসকারী আবদুল কাদেরের কলেজপড়ুয়া দুই মেধাবী মেয়ে গত শুক্রবার সকালে তার চাচা মাহাবুবের বাড়ি সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পাঁচআনী গ্রামে আসে।

শুক্রবার দুপুরে দুই বোন চাচার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চৌধুরীগাঁও গ্রামে তাদের ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরে রাত ৮টার সময় চাচার সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে মঙ্গলেরগাঁও গ্রামের নির্জন এলাকায় এলে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী খোকন, ইমদাদ ও শাহ আলমের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের পথ গতিরোধ করে এবং সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি নির্জন বাগানে নিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা চাচা মাহাবুবকে বেদম মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে তার চোখের সামনে দুই ভাতিজীকে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনায় সন্ত্রাসীরা চাচাকে ফাঁসিয়ে দিতে সবাইকে নগ্ন করে দুই ভাতিজীকে জড়িয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তোলে। সন্ত্রাসীরা নগ্ন ছবি প্রকাশের হুমকি দিয়ে মাহাবুবের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

রাতেই মাহাবুবের পরিবারের সদস্যরা ১০ হাজার টাকা দিয়ে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তাদের ছাড়িয়ে নেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। পরে গতকাল বিকালে মাহাবুবের পরিবার ও ধর্ষিত দুই বোন সোনারগাঁও থানায় এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে পুলিশের কাছে ধর্ষণের লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয়। পুলিশ তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় ধর্ষক স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী শাহ আলমকে মঙ্গলেরগাঁও গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। সোনারগাঁও থানার ওসি ইউনুস আলী জানান, বর্বরোচিত ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা নেয়া হয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাহ আলম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেফতারের ব্যাপারে বিভিন্ন স্থানে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, বর্বরোচিত এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.