ঈদের বন্ধ ও জামায়াতের ডাকা টানা দুই দিনের হরতালের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট দেখা দিয়েছে। জাহাজ থেকে যে অনুপাতে কন্টেইনার নামা হচ্ছে সে অনুপাতে বন্দর ইয়ার্ড থেকে কন্টেইনার খালাস হচ্ছে না। ফলে ঈদের পরদিন থেকেই ইয়ার্ডে কন্টেইনারের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি হওয়া কন্টেইনার রাখার ধারণ ক্ষমতা থেকে বর্তর্মানে কন্টেইনারের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এখানকার আমদানি কন্টেইনারের ধারণ ক্ষমতা ২৩ হাজার ৩৭৫ টিউসের বিপরীতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ইয়ার্ডে কন্টেইনার ছিল ২৫ হাজার ১৪৭ টিউস।
জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামা অব্যাহত থাকায় জট আরও তীব্র আকার ধারণ করার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমদানি পণ্য ভর্তি কন্টেইনারসহ বন্দরে রপ্তানি পণ্যভর্তি, বেসরকারি আইসিডিগামী ও খালি কন্টেইনারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৯৪০টি।
জানা গেছে, ঈদের দিন বন্দরে কন্টেইনার ওঠা-নামা থেকে শুরু করে সব ধরনের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। ঈদের পরদিন শনিবার সকাল থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত মোট কন্টেইনার লোড-আনলোড হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৮৫টি। এরমধ্যে আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনার নেমেছে দুই হাজার ৭৩১টি।
তবে আমদানিকারকরা কোনো কন্টেইনার খালাস করেননি। বন্দর ইয়ার্ডে আমদানিকারকদের পক্ষে পণ্য খালাসে নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্টগুলোর বেশিরভাগ কর্মী এখনো ঈদের ছুটিতে থাকায় কন্টেইনার থেকে পণ্য খালাস স্বাভাবিক গতিতে হচ্ছে না। অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি মো. সায়েদুজ্জামান বলেন, পণ্য খালাসে নিয়োজিত সিএন্ডএফ কর্মীদের অনেকেই এখনো ছুটিতে। তাই পুরোদমে কাজ শুরু হয়নি। এছাড়া ২৪ ঘণ্টা বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা এবং টানা দুই দিনের হরতালের কারণে কন্টেইনার জট তীব্র হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
এদিকে বন্দর সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইয়ার্ডে এখনো অনেক কন্টেইনার রাখার জায়গা রয়েছে। হরতাল হলেও চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। হরতালের প্রথম দিন মঙ্গলবার ৮০১ টিউস কন্টেইনার বন্দও থেকে খালাস হয়েছে। বুধবার মোট ৩০টি জাহাজে কাজ চলেছে। পণ্য খালাস করে ৮টি জাহাজ বন্দও ছেড়েছে আরও ১০টি জাহাজ ভিড়বে।
এতে আশঙ্কা করার কিছু নেই। দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।