মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল বুধবার ব্যাপক রক্তক্ষয়ী অভিযানের মাধ্যমে রাজধানী কায়রোর দুটি অবস্থান থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের সরিয়ে দিয়েছে। কয়েক ঘণ্টার ওই অভিযানে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে মুরসিপন্থীরা দাবি করেছে। তবে সরকার নিহতের সংখ্যা ২৭৮ জন বলে স্বীকার করেছে। খুব সকালে কায়রোর ওই অভিযানের পর রাজধানীর বাইরেও ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য শহরেও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শুধু মিনা প্রদেশেই নিহত হন ৪১ জন। আর উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেকজান্দ্রিয়াতে নিহত হন ১০ জন। এসব হত্যাকাণ্ডের দায়দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এল বারাদি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দেশে জরুরি অবস্থা করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সাতটা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে রাজধানী কায়রো এবং ১৩টি প্রদেশে।
আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ ছিল। এদিকে মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। এর পর থেকে তাঁকে পুনর্বহালের দাবিতে কায়রোর রাব্বা আল-আদাবিয়া মসজিদের পাশে এবং কায়রোর কেন্দ্রস্থলে আল-নাহদা স্কয়ারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন ব্রাদারহুডের কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের হটাতে এর আগে গত ২৭ জুলাই রাব্বা আল-আদাবিয়া মসজিদের পাশে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে প্রায় ৮০ জন নিহত হয়।
এর পরও তাদের সরকার সেখান থেকে তাদের সরাতে পারেনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।