এই ব্লগটি নোমান বিন আরমান'র দায়িত্বে প্রবর্তিত। এখানে মাঝেমধ্যে তিনি আসেন। numanbinarmanbd@gmail.com
নোমান বিন আরমান : আরবি একটি প্রবচন এখন মনে পড়ছে। রওযাতুল আদবে পড়েছিলাম, মান কাসুরা লুগাতুহু, কাসুরা গালাতুহু। এর ‘সারমর্ম’ ওই সময় ঠিকই বুঝেছিলাম।
এমন কি নিজেও অনেককে ‘ব্যাখ্যা’ করে বলেছি; কিভাবে কথা বেশি বললে, মানুষ ভুল করে।
এখন হালকা সংশয়ে পড়েছি। দ্বন্দ্বে আটকেছি। নিজেকেই প্রশ্ন করছি, কথা বেশি বললে, ভুল করেÑ একি পুরোপুরি সত্য? প্রমাণিত? এমন কি হতে পারে না, কথা বেশি বলতে যেয়ে সত্যটিই বলে ফেলে। বাস্তবতা স্বীকার করে নেয়।
মূলত এমন হয়। অহরহই হয়। তাহলে আরবি ‘প্রবচনের’ তাৎপর্য কি? আমার জানা নেই। বিষয়টি এখন এখানে রেখে তসলিমাকে নিয়ে একটু কথা বলি। ঠিক কথা বলাও নয়; তাকে তার মধ্যেই একটু স্মরণ করা।
http://www.numanbinarmansyl.blogspot.com
তসলিমা। তসলিমা নাসরিন। খ্যাতি ‘সু’ ‘কু’ দু’টোই তার জুটেছি। কোনটা বেশি, কোনটা কম সেটা আমাদের আপাতত জানার দরকার নেই। তাকে বিচার করি তার মধ্যেই।
ওতেই আশা করছি জীবনে কোনটি তার বেশি ‘জুটেছে’ জানতে পারব। যা বলছিলাম, বেশি কথায় কখনো কেউ কেউ ‘সত্য’ স্বীকার করে নেয়। নিজেরই বিরোধিতা করে। কখনো চেতনে। কখনো অবচেতনে।
কেমন করে?
তসলিমাকে পড়–ন : দেশে দেশে আমার দেহটি রক্ষা করার আয়োজন হয়েছে। আমার এই দেহটি কি এতই মূল্যবান যে একে রক্ষা করতে হবে? অনেকবারই প্রশ্ন করেছি। উত্তর দিয়েছি, না। আমার মত লক্ষ লক্ষ দেহ এই পৃথিবীতে নিরাপত্তাহীনতায় বেঁচে আছে। আমার জন্য কেন আলাদা নিয়ম হবে।
আমার এই দেহকে নিশ্চিহ্ন করা, এই দেহকে নিরাপত্তা দেওয়াÑ দুইই এই দুনিয়ার রাজনীতি। যে পশ্চিমা দুনিয়া আমাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে, সে পশ্চিমা দুনিয়ার কাছে আমার মত তৃতিয় বিশ্বের ক্ষুদ্র লেখিকার মূল্য এক বিন্দু নেই।
কিন্তু নিরাপত্তা দিচ্ছে এই দেখাতে যে তারা মানবাধিকারে বিশ্বাস করে। নিজেদের ভালোমানুষত্ব দেখানোর জন্য আমাকে ব্যবহার। যে-ই ভালো মানুষত্ব দেখানোর আর প্রয়োজন হবে না, তখন আমাকে লাত্থি দিতে এদের পা এতটুকু কাঁপবে না।
(আমি ভালো নেই, তুমি ভালো থেকে প্রিয় দেশ : দেহ রক্ষা, পৃষ্ঠা ২৫০)।
এটি যখন লেখছি, তখন একজন প্রশ্ন করলেন, ‘এতে জাতির লাভ কি’? তার প্রশ্নের অনুবাদ হচ্ছে এই লেখা পড়ে কী হবে। আপনারও কি মনে একি প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। একই কথা ভাবছেন। ‘ভূমিকা’টা পড়ার পরও।
বিপদে ফেলে দিলেন। একটু ভাবুন। মোকাবেলার একশটি কৌশল থাকে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আবার লেখাটি পড়–ন। আর প্রশ্নটি করুন তসলিমাকে, তিনি কি তার এই লেখাটুকু একটু পড়বেন।
একবার কি ভাববেনÑ তার এই অবচেতন মস্তব্য চিরন্ত সত্য। কাজ ফুরালে সত্যিই তাকে ‘লাত্থি’ দেয়া হবে। স্বাধীনতার দাবিদার। ‘মানবতার’ দাবিদার তসলিমা কি এখনো তবে এই শেষ উপহারটির জন্য ‘নষ্ট জীবন’ নিয়ে বেঁচে আছেন।
http://www.kalkontho.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।