এক.
যানজট নিরসনের হাস্যকর অযুহাতে আগামী ১লা নভেম্বর থেকে ঢাকার ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বর্তমান যানজটের প্রধান কারণ প্রাইভেটকার উচ্ছেদের কোন উদ্যোগ না নিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১’র তিন মাস আগে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই হুট করে যানজট নিরসনের নামে নেয়া হকার উচ্ছেদের এই উদ্যোগ আসলে কতটা যানজট মুক্ত ঢাকার জন্য আর কতটা বিশ্বকাপ বাণিজ্যের প্রয়োজনের সাথে যুক্ত সে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। গত দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১০ এবং ভারতের কমনওয়েলথ গেমসের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় স্টেডিয়াম এবং তার আশপাশে ”বিশ্বমানের” পরিবেশ বজায় রাখার জন্য রাস্তার হকার এবং খুচরা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছিল। বিশ্বকাপে ফিফার চাহিদা অনুযায়ী ফিফার কর্পোরেট স্পন্সর যেমন: ম্যাকডোনাল্ড, কোক, বাডওয়াইসার ইত্যাদির মনোপলি নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম এবং স্টেডিয়ামের আসার রাস্তার রাস্তা ছাড়াও এমনকি যে কোন ব্যস্ত স্থানেও হকারদের বিকিকিনি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১১ সালের ফ্রেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ক্রিটের অন্যতম সহ আয়োজক বাংলাদেশ ।
আসন্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে মুনাফার খেলা বোধ হয় এখনই শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ২১ অক্টোবর এক সংবাদ সন্মেলনে যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ১লা নভেম্বর থেকে হকার উচ্ছেদের ঘোষণা দেন। যানজটের দুর্ভোগ থেকে জনসাধারণকে নিস্তার দিতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। Click This Link
হকার বা বস্তি উচ্ছেদের মতো ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অযুহাতে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে শাসক শ্রেণী এই কাজটি করে থাকে।
এর আগে সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের নামে লক্ষাধিক হকার উচ্ছেদ করা হয়েছিল। বর্তমান শাসকদলটিকে তখন উচ্ছেদকৃত হকারদের জন্য মায়কান্না কাদতে দেখা গেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ৮ ফেব্র“য়ারি ২০০৭ এ তার ওয়েবসাইটে বস্তি ও হকার উচ্ছেদ বিষয়ে লিখেছিলেন:
"I was watching the Bangladesh news the other day and the hawkers who had been evicted were being interviewed. One of them was in tears as he could no longer feed his family. I personally am quite shocked at the way all this was handled. Were these illegal? Without a doubt, yes. But ours is a country where seventy percent of the people live below the poverty line. These poor slum dwellers cannot afford the rents in legal apartments. The hawkers cannot afford to pay the rents on legal storefronts. What are they supposed to do?
The right thing to do would have been to rehabilitate them. It was the government’s duty to ensure that. Instead, from what I hear many of them are now turning to crime as they have no other alternative. So an inconvenience has been turned into a much bigger problem of public safety."
Click This Link
সজীব ওয়াজেদ জয়ের দল আওয়ামী লিগ এখন ক্ষমতায়। দলটির নির্বাচনী ইস্তেহারের আর্টিক্যাল ৪.২ এ বলা হয়েছিল:
”দারিদ্র বিমোচন, বেকার সমস্যার সমাধান এবং নাগরিকের জীবনকে অর্থবহ করার উদ্দেশ্যে একটি সার্বিক কর্মসংস্থান নীতিমালা করা হবে। ” কর্মসংস্থান বা কর্মসংস্থান নীতিমালা তো দূরের কথা এখন শাসকদলটি উঠে পড়ে লেগেছে লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান নষ্ট করে ”যানজট নিরসনের” কাজে।
এ বিষয়ে অবশ্য সজিব ওয়াজেদ জয়ের কোন প্রতিক্রিয়া বা মায়াকান্না খুজে পাওয়া যায়নি।
১৯৮৮ সালে পূর্বকোন পত্রিকায় ”ফুটপাত ইজ নট হেডপাত” নামের এক লেখায় অধ্যাপক আসহাবউদ্দিন আহমদ ১৯৬৯ সালের ৫ই মে ইয়াহিয়ার সামরিক শাসনের আমলে কয়েকজন ফুটপাত বাসীর উপর পুলিশের নির্মম আক্রমণের কথা স্মরণ করে লিখেছিলেন:
”এদেশে শোষণের কবলে পড়ে জমি ভিটেবাড়ি হারান বেআইনি নয়। এটা আইনসম্মত। এতে আইনগত কোন বাধা নেই। কিন্ত সর্বস্ব হারিয়ে কাজ ও আশ্রয়ের সন্ধানে শহরে এসে কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে না পেরে ফুটপাতে পিঠপাতা বেআইনি, যার শাস্তি হলো এলোপাথারি পিটুনি।
কারণ ফুটপাত তো পা পাতার জন্য, মাথা বা পিঠ পাতার জন্য নয়। ফুটপাত ইজ নট হেডপাত। ”
সূত্র: আসহাবউদ্দিন আহমদ রচনা সমগ্র-৩, মীরা প্রকাশন, ২০০৪
পাকিস্তান আমল পেরিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের আমল চলছে ৩৯ বছর পেরিয়ে গেল। কত সামরিক বেসামরিক সরকার এলো গেল। এখনও উপায় হীন মানুষের ফুটপাতে মাথা, পিঠ পাততে হয়, হকারি করে দিনগুজরাণ করতে হয় আর বিনিময়ে মাঝে মাঝেই অবৈধ দখলদার হিসেবে উচ্ছেদ হতে হয়, নিদেন পক্ষে পুলিশের লাথি গুতা তো খেতেই হয়।
দুই.
পুজিবাদি অর্থনীতির থাবায় ক্ষত-বিক্ষত গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতি থেকে উচ্ছেদকৃত ভূমিহীন-কর্মহীন মানুষেরা ক্রমাগত জড় হয় মেট্রোপলিটন ঢাকায়- কোন রকমে জীবন ধারণের আশায়। কপাল ভালো হলে এদের কেউ কেউ ঢুকে যেতে পারে কলকারখানার ন্যূনতম মজুরীর জীবনে। কিন্ত বছরে ৩-৪ লক্ষ মানুষের এই ঢলের খুব সামান্য অংশকেই সামাল দিতে পারে শহুরে আনুষ্ঠানিক খাতের ক্রম সংকুচিত কর্মসংস্থান। ফলে বেশির ভাগই উপচে পড়ে ভেসে যায় নানান আনুষ্টানিক খাতের অনিশ্চিত স্রোতে- কেউ রিকশা-ভ্যান চালায়, কেউ ফুটপাতে হকারি করে, কেউবা নির্মাণ শ্রমিক, কুলি, মজুর, সবজি-বিক্রেতা, ফেরীওয়ালা, বস্তির মাদক বিক্রেতা, বাসাবাড়ির কাজের লোক-বুয়া-দারোয়ান, পতিতা-পতিতার দালাল কিংবা ভিক্ষুকে পরিণত হয়। এরা হলো কসমোপলিটান ঢাকার নেসেসারি ইভিল।
গুলশান-বনানি-বাড়িধারার নান্দনিক ইমেজের ব্যাকগ্রাউন্ড । এরা একই সাথে মহাখালি-ফার্মগেট-পল্টন-গুলিস্তানের ফুটপাতে নিম্নবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড় চোপড়, আয়না-চিড়–নি, গয়না-কসমেটিকস, মানিব্যাগ-বেল্ট-চশমা, কাচা তরিতরকারি কিংবা ফলমুলের সস্তা যোগান দাতা আর অন্যদিকে ফুটপাতের ”অবৈধ দখলদার” হিসেবে পথচারির স্বাধীন চলাচলের বাঁধা। পুজিবাদের এই রিজার্ভ আর্মির দ্বৈত ভূমিকা সম্পর্কে কার্ল মার্কস তার ”পুজি”গ্রন্থে লিখেছিলেন:
”তারা যেন পুঁজির হাল্কা পদাতিক বাহিনী- পুঁিজর প্রয়োজন অনুসারে তাদের কখনও এখানে, কখনও ওখানে ঠেলে দেয়া হয়। কুচকাওয়াজ যখন বন্ধ, তখন তাদের ডেরা ’তাঁবু’র মধ্যে! গাঁথনি তোলা, নর্দমা তৈরী, ইট তৈরী, চুনের ভাটিতে আগুন দেওয়া, রেলপথ তৈরী ইত্যাদি নানা কাজে এই যাযাবর শ্রমিকদের কাজে লাগানো হয়। এরা হচ্ছে উড়ন্ত মড়ক বাহিনী- যে এলাকার কাছে তাঁবু ফেলে সেই এলাকায় বসন্ত, টাইফয়েড, কলেরা, স্কার্লেট জ্বর ইত্যাদি রোগ বয়ে নিয়ে যায়।
”(পুঁজি- ১ম খন্ড, অধ্যায় ২৫, পরিচ্ছদ ৫, প্রগতি প্রকাশন, ১৯৮৮)
১৮৬৫ সালে লন্ডনের ৭ম পাবলিক হেলথ রিপোর্টে মহামারির জন্য লন্ডনের বস্তিবাসী শ্রমিকদেরকে দায়ী করা প্রসঙ্গে মার্কস এই কথাগুলো বলেছিলেন। কেবল রোগ-মহামারি নয় আজকের বাংলাদেশে এদেরকে সন্ত্রাস-অপরাধ থেকে শুরু করে যানজট এমনি বিদ্যুৎ সংকটরে জন্যও দায়ী করা হচ্ছে!! গত ১৩-০৩-২০১০ তারিখের প্রথম আলোতে ”সারা ঢাকাই হলিডে মার্কেট” শিরোনামের এক রিপোর্টে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়: ”হকারদের বসার জন্য তিন বছর আগে রাজধানীর কয়েকটি এলাকা নির্ধারণ করে ’হলিডে মার্কেট’ করা হয়েছিল। তা এখন সারা ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ে পুরো নগরই যেন হলিডে মার্কেট হয়ে গেছে। হকাররা এখন শুধু ফুটপাত নয়, রাস্তাও দখল করে নিয়েছেন। সরকার যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিপণিবিতানের পৃথক বন্ধের দিন চালু করেছে।
কিন্তু ফুটপাত ও রাস্তার দোকান যানজটের অন্যতম কারণ হলেও হকার উচ্ছেদেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। তাদের দোকানে ব্যাবহ্রত অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগও কিছুটা হলেও বিদ্যুৎ সংকটে ভূমিকা রাখছে। ”
অর্থাৎ মিডিয়া বলছে, যানজট নিরসনের জন্য সরকার অনেককিছু করলেও যানজটের "আসল কারণ" হকার কর্তৃক ফুটপাত দখল বিষয়ে কিছুই করছেনা। লক্ষণীয় বিষয় হলো ঢাকা শহরের যানজটের সত্যিকার অর্থে মূল কারণ প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ বা উচ্ছেদ বিষয়ে তেমন কোন কথাবার্তা বলা হয়না। ফুটপাত দখল কি করে যানজটের প্রধান কিংবা অন্যতম কারণ হয় সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশানের আওতায় রাস্তার পরিমাণ হলো ১৮৩৮ কিমি যার মধ্যে মাত্র ৩৮৮ কিমি রাস্তায় ফুটপাত রয়েছে। হকাররা যে এই পুরো ৩৮৮ কিমি ফুটপাতেই ব্যাবসা করছে তা নয়। গুলশান, পল্টন, মতিঝিল, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, মিরপুর রোড, মিরপুর-১,১০,১১,১২ , মালিবাগ, মালিবাগ, মৌচাক, মহাখালি, খিলগাও ইত্যাদি এলাকার অফিস, স্কুল ও অন্যান্য বাণিজ্যিক স্থাপনার পাশের ফুটপাতে যেখানে লোকসমাগম বেশি সেখানেই কেবল হকারদের ব্যাবসা। বলা হয়, পথচারি যদি হকারদের কারণে ফুটপাত দিয়ে চলতে না পারে, তবে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করায় যানজটের সৃষ্টি হয়। কি হাস্যকর অযুহাত! ঢাকা শহরের যে কোন প্রধান সড়কের কোন ওভার ব্রিজে উঠে দাড়ালেই দেখা যায় শত শত প্রাইভেটকার পুরো রাস্তা জুড়ে আছে।
এদের ফাঁকে ফাঁকে দুয়েকটা পাবলিক বাস বা সিএনজি চোখে পড়ে। কই, কোথাও তো দেখা যায়না, মানুষ হাটতে গিয়ে রাস্তা দখল করে ফেলায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে! মানুষকে যদি রাস্তাদখল করে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, তবে সেটা ঘটে অফিস সময়ে পাবলিক বাসের জন্য লাইন ধরে অপেক্ষা করার বেলায়। বিগত সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে লক্ষাধিক হকারকে ফুটপাত থেকে বিনা পূর্নবাসন ও বিনা-ক্ষতিপূরণে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তখন কি ঢাকা শহর যানজট মুক্ত হয়ে গিয়েছিলো নাকি!
তিন.
কসমোপলিটান জীবনের নেসেসারি ইভিল এই হকার-বস্তিবাসীরা হলো শাসক শ্রেণীর বলির পাঠা, সময় সময় এরা ভুলে যায় নেসেসারি বা প্রয়োজনীয় অংশটুকুর কথা, ভুলে যায় কোন পরিস্থিতিতে পুজিবাদের অর্থনৈতিক উদ্বাস্তু এই মানুষগুলো রেলালাইনের পাশে মানবেতর বস্তি জীবন যাপন করে, কিংবা ফুটপাতে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে পুলিশের লাথি-গুতা খেয়ে হকারি করে। অপরাধ, চুরি, ছিনতাই বেড়ে গেছে- উচ্ছেদ করো বস্তি, মাদক দ্রব্য অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে- চালাও বস্তি ভাঙার অভিযান, যানজট বেড়ে গেছে- ভেঙে ফেল হকারের স্থায়ি-অস্থায়ি আস্তানা।
আর এখন নতুন যুক্ত হয়েছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ভ্যেনু ও তার আশপাশের এলাকার পরিবেশ বিশ্বমানের রাখা। যে পুলিশ-মাস্তান-রাজনৈতিক চক্র নিয়মিত বখরা খেয়ে এদেরকে ফুটপাতে ব্যাবসা করার ”অনুমতি” দেয়, তারাই তখন নুনের কথা ভুলে গিয়ে নেমকহারামির মতো বুটের লাথি চালায় হকার আর তার ব্যাবসা পণ্যের উপর। এই হকারদেরই নিয়মিত ক্রেতা মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত মিডিয়াই উচ্ছেদের খবর দেখে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, জানযট মুক্ত ঝকঝকে ঢাকার স্বপ্নে বিভোর হয়, বড়জোর বিবেকী যন্ত্রণায় ভাবে:”আহা, পুনর্বাসন না করে হকার উচ্ছেদ করা মোটেই ঠিক হয় নি। তাড়াতাড়ি এদের পুনর্বাসন করা উচিত। ” ব্যাস, এই পর্যন্তই।
একবার উচ্ছেদ হওয়ার পর কিছু দিন পর্যন্ত হকাররা ঘাপটি মেরে থাকে, সামান্য কিছু জমানো টাকা-পয়সা খরচ করা দিনগুজরান করার চেষ্টা করে, তারপর সুযোগ বুঝে আবারও লাঠির-বাড়ি, বুটের লাথি কিংবা অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির ঝুকি নিয়ে আবারও ফুটপাতে পসরা জমানো শুরু করে।
পুজিবাদী রাষ্ট্রে বেকার সমস্যার পূর্ণ সমাধান হয় না বলেই কেবল বাংলাদেশের ঢাকাতেই নয়, লন্ডন, টোকিও, হংকং, সিংগাপুরের ফুটপাতে দরিদ্র মানুষকে ব্যাবসা করতে দেখা যায়। কিন্তু সেসব স্থানের হকারদেরকে অন্তত পুলিশের লাথিগুতা খেয়ে চাঁদার বিনিময়ে অবৈধ দখলদার হিসেবে ব্যাবসা করতে হয়না, কর্মসংস্থান দিতে ব্যার্থ রাষ্ট্র লাইসেন্সের বিনিময়ে রাস্তার পাশে আত্মকর্মসংস্থানের জায়গা করে দিয়েছে। এমনকি পাশ্ববর্তী দেশভারতে সম্প্রপ্তি ”ষ্ট্রিট ভেন্ডর বিল ২০০৯” এর মাধ্যমে কাগজে কলমে হলেও হকারদের অধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে যদিও সাম্প্রতিক কমনওয়েলথ গেমসের সময়ে ভারতে বিপুল সংখ্যক হকার উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। যাই হোক, আমার বক্তব্য হলো, হকারির মতো অনিশ্চিত একটা আত্মকর্মসংস্থানকে বেকার সমস্যার সমাধান কিংবা রাষ্ট্রীয় খাতে কর্মসংস্থানের বিকল্প বলে মনে করার কোন যুক্তি নেই।
কিন্তু যতদিন রাষ্ট্র নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুষ্ঠু ব্যাবস্থা করতে না পারছে ততদিন জানজট নিরসন, নগরের সৌন্দর্য বর্ধন কিংবা বিশ্বমানের পরিবেশ সৃষ্টি ইত্যাদি কোন অযুহাতেই নাগরিকের কর্মসংস্থানের উপায় কেড়ে নেয়ার কোন অধিকার রাষ্ট্রের নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।