অনেক ফাইট করতে হয়েছে। চ্যালেঞ্জ ছিল অনেক বেশি। লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা ভালো দিয়েছিলাম। তার পরও আদৌ চাকরিটি পাব কি না, তা নিয়েই মনে দ্বিধা ছিল। তবে চাকরিটি আমি পেয়েছি, এটি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।
’ অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডে চাকরি পাওয়ার পর প্রথম আলো ডটকমকে এভাবেই অনুভূতির কথা জানান ফারজানা আক্তার।
চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা, ফারজানা আক্তার চাকরির জন্য প্রবেশপত্রটিই হাতে পাচ্ছিলেন না। তাঁর দুই চোখে আলো নেই—এই ছিল অজুহাত।
গত ১ মে প্রথম আলো ডটকমে ‘চোখের আলো নেই বলে’ শিরোনামে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফারজানা আক্তারকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তারপর বিভিন্ন নারী ও মানবাধিকার সংগঠন ফারজানার পাশে দাঁড়ায়।
অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষও বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়। সবার সহযোগিতা এবং নিজের মেধা ও একাগ্র ইচ্ছায় অবশেষে চাকরিটি পেয়েছেন ফারজানা।
গতকাল বুধবার রাতে ফারজানার বন্ধুরা ইন্টারনেটে প্রকাশিত ফলাফল দেখে নিশ্চিত হয়েছেন, ফারজানার চাকরি হয়েছে। পরে ফারজানার পরিবারের সদস্যরাও ফলাফল দেখেছেন। রাতেই মুঠোফোনে ফারজানা চাকরি পাওয়ার খবরটি জানান।
জীবনে প্রথম চাকরি পাওয়ায় ফারজানা কতটা খুশি তা মুঠোফোনেই আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। আর এ চাকরি পাওয়ার জন্য প্রথম আলো ডটকমসহ অন্যদের ধন্যবাদ জানাতেও কার্পণ্য করেননি ফারজানা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।