আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যশোরে ৩২ দলের ঐতিহ্যবাহি হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন উৎসবমুখর মানুষের চোখেমুখে খুশির ঝিলিক; অন্যরকম উৎসবে মেতেছে তিন গ্রামের মানুষ



চান্দুটিয়া বাজারে শুক্রবার সকাল থেকেই শ’য়ে শ’য়ে মানুষের উৎসবমুখর আগমন। সবার চোখেমুখে খুশির ঝিলিক; এক অন্যরকম উৎসবের দিন এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে। কারণ এখানে শুরু হয়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহি হা-ডু-ডু খেলা। গ্রামদেশের মানুষের লুকায়িত উচ্ছ্বাস উৎসবে যেন প্রাণ পেয়েছে ৩২ দলের খেলার এ আয়োজনে। চারিদিকে উৎসবের বহির্প্রকাশ ঘটছে মানুষের আনন্দময় চলাফেরায়, শিশুদের নতুন জামা গায়ে কোলাহল।

বসেছে খেলনা, মিষ্টি-মিঠাইয়ের দোকান। যশোর সদরের দেয়াড়া মডেল ইউনিয়নের একটি গ্রাম চান্দুটিয়া। ¯^vaxbZvhy‡×i আগ থেকেই এখানে ¯^í পরিসরে আয়োজন করা হত হা-ডু-ডু খেলার। মুক্তিযুদ্ধের পর ২/৪ টি দলে খেলা চলত এখানে। তবে ২০০২ সাল থেকে এখানে আয়োজন করা হয় ৩২টি দলের mgš^‡q বিশাল হা-ডু-ডু প্রতিযোগিতার-জানালেন বর্ষীয়ান আরশাদ আলী।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র আনন্দ আর বিনোদনের জন্য বছরের পর বছর চলছে আমাদের এ আয়োজন। তিনি জানান, এ খেলাকে কেন্দ্র করে এতদঞ্চলে প্রত্যেকের বাড়িতে AvZ¥xq-¯^R‡bi সমাগম ঘটে। এক বছর ফাঁকা রেখে পরের বছর- এভাবে চলছে এ খেলা। যশোরের অন্যতম বড় বাওড় বুকভরার পাশে চান্দুটিয়া বাজার। বাজারের সাথেই চান্দুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ স্কুলের বিশাল মাঠজুড়ে চলছে হা-ডু-ডু খেলা প্রতিযোগিতা। তিনটি গ্রাম চান্দুটিয়া, আরিচপুর ও গোবিন্দপুরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আয়োজন করেছে এ ঐতিহ্যবাহি খেলার। আয়োজক সংস্থা ঐতিহ্যবাহি ৩২ দল হা-ডু-ডু প্রতিযোগিতা কমিটির সভাপতি গোলাম মোসত্মফা বাংলানিউজকে বলেন, এই ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ৪৩৫ জন সদস্যের mgš^‡q গঠন করা হয়েছে কমিটি। এখানে কোন দলবাজি নেই। চিনত্মা-চেতনায়, মতে পার্থক্য থাকলেও খেলার ব্যাপারে সব এক আমরা।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাজার কমিটির সভাপতি ওয়াজেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি শুক্রবার এই মাঠে খেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম শুক্রবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ১৬ দল। নকআউট পদ্ধতিতে এ খেলায় পরের শুক্রবার খেলবে বাকি ১৬ দল। এভাবে চলবে খেলা। আর ফাইনাল খেলাটি হবে কোরবানির ঈদের পরদিন।

কেননা তখন এ অঞ্চলের যেসব মানুষ বাইরে থাকে সবাই ছুটিতে বাড়ি ফেরে। গতবার এই খেলায় প্রায় ১৭ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। এবার ফাইনাল খেলার দিন যাতে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ তা উপভোগ করতে পারে সে আয়োজন করা হয়েছে। মেলার আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য স্থানীয় ইউপি সদস্য তোরাব আলী জানান, এ আয়োজনে খরচ অনেক। কমিটির সদস্যরা চাঁদা দিয়েছেন, বাজার কমিটি আর টিকিট বিক্রি থেকে এ আয়োজনের খরচ মেটানো হবে।

টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ১৫ ও ৩০ টাকা করে। আর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা খেলা উপভোগ করবে বিনে পয়সায়। আয়োজকরা জানান, এবারের খেলায় শুধু ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা থেকে একটি দল এসেছে। বাকি টিম যশোরের বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের। একটি গ্রাম থেকে একটি দল খেলায় অংশ নিচ্ছে।

এবারের খেলায় বিশেষ আকর্ষণ দুজন। এদের একজন আলমনগরের টাইগার কবির অপরজন ‘মিলসেট’ হিসেবে থাকবেন খুলনার নারায়ণ। খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন সেলিম রেজা শ্যামল। #

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।