আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘মুজাহিদ বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবীদের ছাড় দেওয়া হবে না’

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। যুক্তি উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, একাত্তরের ৪ ডিসেম্বর ঢাকার চকবাজারে আলবদরের ব্যানার নিয়ে মুজাহিদ জনসমক্ষে বক্তৃতায় বলেন, দেশের বুদ্ধিজীবীদের ছাড় দেওয়া হবে না। এর সূত্র ধরেই ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ঘটে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ আজ রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোকলেছুর রহমান দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তি দেন। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় মুজাহিদ হাজির ছিলেন।


রাষ্ট্রপক্ষ আজ মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনা প্রথম তিনটি অভিযোগের বিষয়ে যুক্তি দেন। প্রথম অভিযোগের বিষয়ে মোকলেছুর রহমান বলেন, একাত্তরে ‘ইত্তেফাক’-এর তত্কালীন নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এর পক্ষে বিভিন্ন লেখা লেখেন। একাত্তরের ১৬ সেপ্টেম্বর জামায়াতের মুখপত্র ‘সংগ্রাম’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে তাঁকে ‘ভারতের দালাল’ উল্লেখ করে সমালোচনা করা হয়। এ সময় তিনি জামায়াত ও আলবদরের লক্ষ্যে পরিণত হন।
মোকলেছুর রহমান একাত্তরের একটি পত্রিকার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজাহিদ ৪ ডিসেম্বর ঢাকার চকবাজারে ‘আলবদর’ লেখা ব্যানারে একটি গাড়ি নিয়ে জনসমক্ষে বক্তৃতা করেন।

ওই বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ’ এই প্রতিবেদন পরদিন ‘দৈনিক পূর্বদেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর সিরাজুদ্দীনসহ অনেক বুদ্ধিজীবীকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সব বুদ্ধিজীবীকে একই কায়দায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একসঙ্গে হত্যা করা হয়। সিরাজুদ্দীনের ছেলে সাংবাদিক শাহীন রেজা নূরও তাঁর সাক্ষ্যে বলেছেন, আলবদররা তাঁর বাবাকে হত্যা করে।

যেহেতু একাত্তরে মুজাহিদ আলবদরের কমান্ডার ছিলেন, সেহেতু বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন এবং সেই সূত্রেই সিরাজুদ্দীন হোসেনকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া একাত্তরে ১৫ সেপ্টেম্বর মুজাহিদ ‘দৈনিক সংগ্রাম’-এ একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন, ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র, যুক্তি নয়’। এ থেকেও মুজাহিদের অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়।
মুজাহিদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগের বিষয়ে যুক্তি শেষে রাষ্ট্রপক্ষ তৃতীয় অভিযোগ বলতে শুরু করলে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আমরা ওই অভিযোগ দেখেছি। এ নিয়ে আপনাকে যুক্তি দিতে হবে না।

পরবর্তী দিনে আপনি অন্য চারটি অভিযোগের বিষয়ে যুক্তি দেবেন। ’ পরে আসামিপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ১৫ মে পর্যন্ত যুক্তি উপস্থাপন মুলতবি করেন। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।