আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরিকল্পনাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যাচ্ছেন যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সামনেই তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মতিঝিল থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতারের পরও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের বিরুদ্ধে। আবার দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন ওয়াহিদুল ইসলাম আরিফ ও সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল। তাদের নামেও চলছে দেদার চাঁদাবাজি।

মামলার খরচের কথা বলে তাদের ঘনিষ্ঠজনদের ব্যাপক চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ভারতের কলকাতার হোটেল ছেড়ে এবার যাদবপুরের টালিগঞ্জ ফিল্মপাড়ার পাশর্্ববর্তী একটি অভিজাত বাসায় উঠেছেন পলাতক যুবলীগ নেতা আরিফ ও চঞ্চল। তার সঙ্গে রয়েছেন পলাতক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদপুরের শামীম ও বাড্ডার ইন্ডিয়ান বাবু। তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে আবারও দুবাই ফিরে গেছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদত হোসেন। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের প্রয়োজনে তিনি আবারও কলকাতায় আসবেন।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মিল্কি হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণবিষয়ক উপ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক মাঝেমধ্যেই তেজগাঁও এলাকায় প্রকাশ্যে শোডাউন করছেন। ঈদ উপলক্ষে শুভেচ্ছা দিয়ে ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে দিয়েছেন তেজগাঁও-গুলশান-রমনা এলাকা। তার পক্ষ থেকে এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বিত্তশালীদের কাছে পেঁৗছানো হয়েছে বিশেষ বার্তা। বিশেষ করে চঞ্চলের এলাকাগুলো নতুন করে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে আরিফ ও চঞ্চল দেশ ছেড়ে পালানোর পর নিরাপত্তার কথা ভেবে ভুক্তভোগীরা নীরবে সন্ত্রাসীদের দাবি পূরণ করে যাচ্ছেন।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, চাঁদাবাজি সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাননি। তবে বিজি প্রেসের অভ্যন্তরে রংধনু ক্লাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, পলাতক আরিফের অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন তারই ঘনিষ্ঠ মতিঝিল থানা যুবলীগের সহসভাপতি মাহমুদ উল্লাহ মধু। ইতোমধ্যেই তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিত্তশালীদের কাছে আরিফের মামলার খরচের বিষয়ে বার্র্তাও পেঁৗছে দিয়েছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। এদিকে মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কিসমত হায়াৎ জানান, শহিদুল ও পাপ্পুকে রিমান্ডে নিয়ে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

টিপুকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে কয়েকজন সন্দেহভাজনদেরও খোঁজা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২৯ জুলাই মধ্য রাতে মিল্কি গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে খুন হন। দুই দিন পর মামলার প্রধান আসামি জাহিদ সিদ্দিকী তারেক বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

ইতোমধ্যে হত্যা মামলায় নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।