১. কনফুসিয়াস: যিনি চীনে পরিচিত কঙজি নামে। কঙজি শব্দের অর্থ গুরু বা শিক্ষক। তিনি মানুষের নৈতিক শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। কনফুসিয়াসের মতে সকল অবস্থায় সততা, সত্যবাদীতা এবং পরিমিতিবোধ থাকা একজন প্রকৃত শিক্ষিত ভদ্রলোকের বৈশিষ্ট্য।
২. সক্রেটিস: গ্রিসের লোকেরা মনে করত সক্রেটিস পৃথিবীর সকলের চেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি।
সক্রেটিস মনে করতেন, অর্থ-সম্পদের চেয়ে আত্ম-জ্ঞান উন্নয়নই মানুষের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন। একারণে সক্রেটিসের দর্শনের মূল কথাই হল, ‘নিজেকে জানো। ’
৩. প্লেটো: প্লেটো ছিলেন সক্রেটিসের একজন শিষ্য। এথেন্সের মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য তিনি একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যা প্লেটোর একাডেমি নামে পরিচিত।
সমগ্র রচনার মধ্যে রিপাবলিক প্লেটোর সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ। এ গ্রন্থে তিনি একটি আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা দেন।
৪. এরিস্টটল: প্লেটোর ছাত্র এরিস্টটল ছিলেন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক। ৩৩৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি লাইসিয়াম নামে ভিন্ন একটি বিদ্যালয় গড়ে তোলেন। এরিস্টটল যুক্তিবিদ্যার জনক।
সৎচরিত্র ও সুশৃঙ্খল সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল এরিস্টটলের নৈতিক বিধানের মূল প্রেরণা। এরিস্টটলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম পলিটিক্স। পলিটিক্স এ তিনি তাঁর রাষ্ট্র দর্শন সম্পর্কে আলোচনা করেন।
৫. আল ফারাবি: মধ্যযুগের অন্যতম সেরা দার্শনিক আল ফারাবি। তাঁর মতে, ‘দর্শনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আত্মার পবিত্রতা অর্জন।
এবং মানবজীবনের পরম লক্ষ্য দর্শনের জ্ঞান অর্জন। ’ মুসলিম বিশ্বে আল ফারাবিকে দ্বিতীয় শিক্ষক (মুয়াল্লেম আল সানি) বলা হয়।
৬. থমাস একুইনাস: মধ্যযুগের রাষ্ট্র বনাম গীর্জা এই দ্বন্দের নিরসনকারী দার্শনিক থমাস একুইনাস পৃথিবীতে অন্যতম সেরা দার্শনিকের মর্যাদা লাভ করেন। তিনি যুক্তির ভিত্তিতে ধর্মকে গ্রহণীয় করে তোলার চেষ্টা চালান।
৭. রেনে ডেকার্ত: আধুনিক দর্শনের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয় রেনে ডেকার্তকে।
সন্দেহ বা সংশয়ই ছিল ডেকার্তের দর্শনের মূল। এই সংশয় থেকেই জন্ম হয় তাঁর বিখ্যাত সূত্রের। ‘আমি চিন্তা করি, সুতরাং আমি অস্তিত্বশীল। ’
৮. জন লক: জন লককে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান দার্শনিক। লক তাঁর জ্ঞানতত্ত্বের জন্য বিশেষভাবে খ্যাত।
লকের মতে যখন কোন শিশু জন্মগ্রহণ করে তখন তার মন থাকে সাদা স্লেটের (টেবুলা রাসা) মত। তার বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাস্তব জগত ও পারিপার্শ্বিকতা থেকে ইন্দ্রিয়সমূহের মাধ্যমে সাদা স্লেটে অভিজ্ঞতার দাগ অঙ্কিত হতে থাকে।
৯. হেগেল: হেগেলের দর্শন পৃথিবীর সবচেয়ে জটিলতম দার্শন। যুক্তিবিদ্যায় হেগেলের দ্বান্দিক পদ্ধতি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। তাঁর মতে, চিন্তা অগ্রসর হয় তিনটি ধাপে।
এ ধাপ তিনটি হল নয়, প্রতিনয় ও সমন্বয়।
১০. মার্কস: কার্ল মার্কসকে বৈজ্ঞানিক সাম্যবাদ এবং দ্বন্দমূলক ঐতিহাসিক বস্তুবাদী দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি নিয়ে মার্কসের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল বিপ্লবাত্মক, যা বর্তমানে মার্কসবাদ নামে পরিচিত। মার্কসবাদ এর মূল কথা হল শ্রেণি বৈষম্য এবং শ্রেণি সংগ্রাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।