আইসোনা....শক খাইবা.....
শাহরিয়ার নাফিস। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপেনিং এ নির্ভরতার নাম, আক্রমনাত্বক ব্যাটিংয়ের দ্যূতি ছড়ানো উইলোবাজ, গোছানো এক ক্রিকেটারের নাম। এক সময় নাফিসের ব্যাটে চড়ে জিতেছিলো বাংলাদেশ। বোর্ড, নির্বাচক থেকে শুরু করে, দর্শকরাও নিশ্চিত ছিলেন, টিম বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব নাফিসই পেতে যাচ্ছেন। কিন্তু মাঝখানে সেই যে খেই হারালেন, অধিনায়কত্ব দূরে থাক, দলে থাকাটাই মুশকিল হয়ে গেলো।
আইসিএলে গিয়ে বিতর্কিত হবার পর দ্বার রুদ্ধ হয়ে যাওয়া বেশ কজন ক্রিকেটারের মধ্যে নাফিসের নামটিও ছিলো। কিন্তু খোদাকে ধন্যবাদ, স্ট্রাগল করে ঠিকই তিনি নিজেকে ফেরত আনতে পেরেছেন।
ভাগ্য ভালো, সুযোগটা দারুনভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ফিফটির দেখা না পেলেও, পরের ম্যাচে ৭৩ বলে ৭৩ রানের এক ঝকমকে ইনিংস খেলে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।
কিন্তু আমার ভাবনা অন্য জায়গায়।
নাফিস সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ তামিমের ইনজুরিতে। পত্রিকায় দেখছি, তিনি নিজেও বলছেন, তামিম আসলে স্থান ছেড়ে দিতে হবে তাকে। মানে হলো, তামিম ফেরত আসলে তিনি দল থেকে বাদ পড়বেন। এখানেই আমার আপত্তি। তামিমকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিনি কেন দল থেকে বাদ পড়বেন?
প্রশ্নটা এ কারণে তুলছিনা যে, তিনি এ সফরে ভালো করছেন বলে।
হয়তো দেখা যাবে পরের ম্যাচেই তিনি ফ্লপ মারবেন। কিন্তু একটা দুটো ম্যাচ একজন পরীক্ষিত খেলোয়াড়ের জন্য সাফিশিয়েন্ট নয় কোনোমতেই। ইংল্যান্ড দলে কেভিন পিটারসেন, পল কলিংউডরা ধারাবাহিকভাবে খারাপ খেললেও দলে তাদের জায়গা থাকে। কারণ, তারা পরীক্ষিত বলেই। বাংলাদেশ দলের বর্তমান লাইনআপে রকিবুল এর জায়গায় নাফিসকে খেলানো যায়।
এতে করে দলের ব্যাটিং গভীরতা আরো বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। Mashrafeনাফিসের মতো খেলোয়াড়দের দলে জায়গা পাওয়া উচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।