)- নিউ ইয়র্কে সন্ত্রসী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করে আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন বাংলাদেশি যুবক কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিস।
নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট মঙ্গলবার নাফিসের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
ফেডারেল কোর্টের মুখপাত্র রবার্ট নারডোজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গ্র্যান্ড জুরি নাফিসের বিরুদ্ধে বিচার চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়ায় মঙ্গলবার তাকে ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হাজির করা হয়। শুনানিতে তিনি নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনাসহ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বিচারক ক্যারল ব্যাগলে আমন শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে কাজী নাফিসকে কারাগারে পাঠাতে বলেন এবং ৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন রাখেন।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসুলার মিনিস্টার শামসুল হক এবং নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল মো. শাহেদুল ইসলাম শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৭ অক্টোবর কথিত ‘স্টিং অপারেশনের’ মাধ্যমে নাফিসকে গ্রেপ্তার করে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ও এফবিআই। তারা জানায়, এই বাংলাদেশি যুবক এক হাজার পাউন্ড বিস্ফোরক দিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ভবন উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার ভ্যানে ‘সত্যিকারের বিস্ফোরক’ না থাকায় সেটি আর ফাটেনি।
২১ বছর বয়সী নাফিসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এই মামলা চলবে কি না- সে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয় ব্রুকলিনের গ্র্যান্ড জুরিকে।
গত ১৫ নভেম্বর গ্র্যান্ড জুরি নাফিসের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাদের দেয়া অভিযোগপত্র অনুমোদন করে।
এতে ‘ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্যে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা’ এবং ‘একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করার চেষ্টা’র অভিযোগ আনা হয়েছে নাফিসের বিরুদ্ধে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
নাফিসের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে হেইডি সিজার নামে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনীতিকরা নাফিসকে সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি পায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, কাজী নাফিস কারো সহায়তা চান না।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব মিসৌরীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন নাফিস। কিন্তু সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে ওই কোর্স শেষ না করেই জুনের শেষ সপ্তাহে নিউইয়র্কে একটি টেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি হন তিনি।
এফবিআই নাফিসকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।